ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ, পাকিস্তান- কোনো দলেরই এ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সময়টা ভালো যাচ্ছে না। হতাশাই দল দুটির নিত্যসঙ্গী। সেখানে পাকিস্তানকে ক'দিন আগে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারিয়েছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের এই সিরিজ হার ‘ভূত’-এর মতো তাড়া করে বেড়াচ্ছে রমিজ রাজাকে।
ক'দিন আগেও লিটন দাসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টিতে হেরেছিল টানা ৬ ম্যাচ। সেই বাংলাদেশ এরপর লিখেছে প্রত্যাবর্তনের গল্প। শ্রীলঙ্কায় ঐতিহাসিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছেন লিটনরা। লঙ্কাজয়ী দলটাই বাংলাদেশ খেলিয়েছে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে। ঢাকার মিরপুরে লিটন-মোস্তাফিজুর রহমানরা ফলও পেয়েছেন হাতেনাতে। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে টানা চার ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ জিতে নিল পাকিস্তান সিরিজও।
মিরপুরে গত ২৪শে জুলাই পাকিস্তানকে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে হারালে তিন সংস্করণেই হারানোর কীর্তি গড়ত বাংলাদেশ। তবে শেষ টি-টোয়েন্টি ৭৪ রানে জিতে পাকিস্তান এড়িয়েছে ধবলধোলাই। তবু সিরিজটা তো বাংলাদেশ জিতেছে ২-১ ব্যবধানে। বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজে ধারাভাষ্যকার হিসেবে কাজ করেছেন বলে রমিজ সবকিছু কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করতে পেরেছেন।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে গতকাল সোমবার (২৮শে জুলাই) রাতে পাকিস্তানের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করতে গিয়ে রমিজ বাংলাদেশ সিরিজ নিয়ে একরাশ হতাশা প্রকাশ করেছেন। পাকিস্তানি ধারাভাষ্যকার বলেন, ‘খুব সহজেই হয়তো পাকিস্তানকে বলা যায় যে এমন কিছু হতেই পারে। ভাগ্য খারাপ ছিল। কিন্তু এটা তো সত্য যে বাংলাদেশের কাছে তারা (পাকিস্তান) সিরিজ হেরেছে। বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তান তিন ম্যাচের সিরিজ হেরে গিয়েছে।’
রমিজ বলেন, ‘এখনো বুঝতে পারছি না যে আমি কী বলব, কোথা থেকে শুরু করব আর কোথায় গিয়ে শেষ করব। পাকিস্তানকে লোকেরা ফেবারিট দল মনে করেন। কিন্তু কঠিন পিচে বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ের জারিজুরি ফাঁস হয়ে গেল। কোন পরিস্থিতিতে কীভাবে খেলতে হবে, সেই বুদ্ধি খাটাতে হবে।’
বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ফিফটি করে খাদের কিনারা থেকে পাকিস্তানকে প্রায় জিতিয়েই দিয়েছিলেন ফাহিম আশরাফ। তবে ফাহিমকে দারুণ এক কুইকারে বোল্ড করে ম্যাচটা বাংলাদেশের দিকে নিয়ে আসেন রিশাদ হোসেন। সেই ম্যাচে ৪ ওভারে ৪২ রান খরচ করলেও রিশাদ গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের জয়ে দারুণ অবদান রেখেছেন।
পাকিস্তানি ধারাভাষ্যকার বলেন, ‘বাংলাদেশ নিয়মিত বোলার রিশাদকে নিয়ে পরিকল্পনা করেছে। সে পিটুনি খেলেও ঠিকই তাকে (রিশাদ) চার ওভার বোলিং করিয়েছে। এর থেকে সুযোগ তো অবশ্যই পাওয়া যায়। একজন বোলারের ওপর কতটা আস্থা রাখতে হয়, এখান থেকেই বোঝা যায়।’
অলরাউন্ডার হিসেবে আছেন হুসেইন তালাত, ফাহিমরা।
পাকিস্তানি ধারাভাষ্যকার বলেন, ‘পাকিস্তানকে নতুন করে গড়ে উঠতে হবে। দলটি নিয়ে পুনরায় ভাবতে হবে। এত অলরাউন্ডার না নিয়ে বিশেষজ্ঞ ব্যাটার-বোলার নিতে হবে। একেক জনকে নিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে।’
খবরটি শেয়ার করুন