শুক্রবার, ৩রা অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** তেহরান থেকে রাজধানী অন্যত্র সরিয়ে নেবে ইরান, নেপথ্যে পানি *** গাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের *** ৪৭ দেশের ৪৪৩ স্বেচ্ছাসেবীকে অপহরণ করেছে ইসরায়েল *** মর্ত্য ছেড়ে কৈলাসে ফিরলেন দুর্গতিনাশিনী *** শহিদুল আলমের জাহাজ এখনো আটক হয়নি, দিলেন ভিডিওবার্তা *** পাকিস্তানকে হারিয়ে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ শুরু *** এনসিপিকে শাপলা দিলে মামলা করব না, তবে ইসি দিতে পারে না: মান্না *** শুধু থালাবাটি নয়, এনসিপির জন্য আছে লাউ-বেগুন-কলাসহ ৫০ প্রতীক *** ঝড় উপেক্ষা করে গাজার পথে ফ্লোটিলা, শহিদুল আলমের ভিডিও বার্তা *** ইসরায়েলি সব কূটনীতিককে কলম্বিয়া থেকে বের হয়ে যাওয়ার নির্দেশ প্রেসিডেন্ট পেত্রোর

ডেঙ্গু পরিস্থিতি

রাজধানীর যে ১১ এলাকা ‘রেড জোন’

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৫:১৮ অপরাহ্ন, ২৩শে জুলাই ২০২৩

#

দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে আলাদা ইউনিট করে এবং শয্যা বাড়িয়েও রোগীর চাপ সামাল দেয়া যাচ্ছে না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন গত কয়েক দশকে এবারই ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। সারা দেশের মধ্যে রাজধানীতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি বেশি নাজুক অবস্থায় রয়েছে।

এ অবস্থায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ১১টি এলাকাকে ‘রেড জোন’ ঘোষণা করেছে স্থানীয় সরকার।

রেড জোনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ছয়টি এলাকা রয়েছে। এর মধ্যে আছে যাত্রাবাড়ী, মুগদা, কদমতলী, জুরাইন, মানিকনগর ও সবুজবাগ। উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) পাঁচ উচ্চঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মধ্যে রয়েছে- উত্তরা, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, তেজগাঁও ও বাড্ডা।

 জাতীয় ম্যালেরিয়া ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় গত ১৮ থেকে ২৭ জুন জরিপ চালিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। দুই সিটির ৯৮টি ওয়ার্ডে পরিচালিত জরিপে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগের বাহক মশার প্রজননস্থল শনাক্ত, পূর্ণাঙ্গ মশা ও লার্ভার ঘনত্ব পরিমাপ ও ম্যাপিং করা হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশি লার্ভা পাওয়ার অর্থ ঢাকায় এবার এডিস মশাও বেশি পাওয়া যাবে।

অধিদফতর জানিয়েছে, রাজধানীর ১৮ শতাংশ বাড়িতে এডিস মশার লার্ভার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। সাধারণত কোনো এলাকার ৫ শতাংশ বাড়িতে এই লার্ভা পাওয়া গেলে ওই পরিস্থিতিকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ধরা হয়।

ডেঙ্গুতে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও যুবকরা। আক্রান্তদের ৮০ ও মারা যাওয়াদের ৬০ শতাংশের বয়স ৪০ এর নিচে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

এ অবস্থায় রোগীদের নিয়ে স্বজনদের উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা বাড়ছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক পর্যালোচনা বলছে, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ৬০ শতাংশের বয়স ৪০ এর নিচে। একইভাবে ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সিদের মধ্যে আক্রান্ত হচ্ছেন ৮০ শতাংশ ৷

 ডেঙ্গু আক্রান্তরা বলছেন, জ্বরসহ নানা উপসর্গ দেখা দেয়ার পরও চিকিৎসকের পরামর্শ না নেয়ায় সমস্যা অনেক বেশি হচ্ছে।

এদিকে সর্বশেষ শনিবার পর্যন্ত চলতি বছরে ১৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। অবস্থার ভয়াবহতা বলছে আগামী দুই মাস আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।

আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ এস এম আলমগীর হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, ডেঙ্গুর পিক টাইম এখনো শুরু হয়নি। বিশ্বব্যাপী জ্বলবায়ুর যে প্রভাব, তাতে সামনে বৃষ্টি বাড়বে না কমবে, কেউ জানে না। পাশাপাশি উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, যেখানে-সেখানে ভবন নির্মাণের কারণে আগস্ট-সেপ্টেম্বরে নিঃসন্দেহে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

আরো পড়ুন: চালের কোন সংকট নেই, সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে নজরদারির তাগিদ

এদিকে মৃত্যু কমাতে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মুগদা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. নিয়াতুজ্জামান। তিনি বলেন, হাসপাতালে দেরিতে চিকিৎসা নিতে আসার কারণে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। সবার আরও সচেতন হওয়া জরুরি।

মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, ‘উপসর্গ দেখার সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালে ভর্তি হওয়া উচিত। এ বিষয়ে যেন কেউ কালক্ষেপণ না করে।’

এম/


রাজধানী ডেঙ্গু পরিস্থিতি রেড জোন

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250