বৃহস্পতিবার, ৩১শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৬ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** জুলাই সনদ আইনের ঊর্ধ্বে: সালাহউদ্দিন আহমদ *** ইসিতে আয়-ব্যয়ের হিসাব দিল বিএনপি-জামায়াতসহ ২৯ দল *** সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে পর্তুগাল *** রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হবে উভয় কক্ষের সদস্যদের গোপন ভোটে *** ১৮৫ বছরের পুরোনো বুনো মহিষের শিং পাহাড়পুর জাদুঘরে হস্তান্তর *** প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের ৩৬তম সভা অনুষ্ঠিত *** শিক্ষকের বিকল্প হবে চ্যাটজিপিটি *** শক্তি ও মালিকানা যার হাতে, তাকেই ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে হবে: মির্জা ফখরুল *** পিআর পদ্ধতিতে হবে ১০০ সংসদীয় আসনের উচ্চকক্ষ, ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্ত *** কিছু দিনের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা: আইন উপদেষ্টা

যেসব ঠাণ্ডা খাবার শরীরের তাপমাত্রা বাড়ায়

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১১:০৫ অপরাহ্ন, ১৪ই জুলাই ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

গরমকালে খেতে মজা লাগে এরকম অনেক খাবারই দেহে বিরূপ প্রভাব ফেলে। তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে বাড়ে ঠাণ্ডা খাবার খাওয়ার আকাঙ্ক্ষা।

রেফ্রিজারেটরে রাখা ঠাণ্ডা ফলমূল, সালাদ ও পানীয় গরমে আরামদায়ক লাগে বলে ঠাণ্ডা খাবারের চাহিদা বেশি। 

ঠাণ্ডা খাবার ক্ষণিকের জন্য আরামদায়ক হলেও এগুলো আসলে দেহ ঠাণ্ডা করার পরিবর্তে তাপমাত্রা উৎপাদন করে।

ভারতের আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ ডা. ভারা ইয়ানামান্দ্রা টাইমসঅবইন্ডিয়া ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে কিছু তথাকথিত ‘ঠাণ্ডা’ খাবারের তালিকা সম্পর্কে জানান।  

>> বরফ পানি

গরমকালে বরফ ঠাণ্ডা পানি পান খুব সতেজকারক মনে হলেও এটা আসলে দেহ শীতলকারক নয় বলে আয়ুর্বেদে বিবেচনা করা হয়। বরফ ঠাণ্ডা পানি পান আসলে হজম ক্রিয়া ধীর করে এবং দেহে পুষ্টি শোষণে বাধা দেয়।

>> দই

দইকে যদিও সতেজকারক বিকল্প খাবার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে এটা আসলে হজমের ক্ষেত্রে ভারী এবং উষ্ণ প্রকৃতির। এটা আয়ুর্বেদে ‘অভিসন্ধি’ হিসেবে বিবেচিত যা প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে। গরমকালে পরিপাক ক্রিয়া অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই দই খাওয়া হজমে গোলযোগ, ফোলাভাব ও শরীর ভারী হয়ে আসার অনুভূতি সৃষ্টি করে।

>> আইস ক্রিম

গরমে আইসক্রিম খুব মজাদার খাবার মনে হলেও এটা অনেক বেশি চিনি ও চর্বি সমৃদ্ধ যা হজম করা কঠিন। এর ফলে আইস ক্রিম খাওয়া দেহে বাড়তি তাপ উৎপাদন করে। আইসক্রিম খাওয়া হজমক্রিয়াকে দুর্বল ও ধীর করে। ফলে দেহে টক্সিন বা আমা উৎপাদন হয়। যার ফলে হজমে অস্বস্তি, অবসাদ ও ভারিভাব অনুভূত হয়।

>> লেবু

যদিও আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে লেবুকে উপকারী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে ব্যক্তির নির্দিষ্ট ‘দশা’ বিবেচনে করে গরমকালে লেবু খেতে নিরুৎসাহিত করা হয়।

লেবু ভিটামিন সি সমৃদ্ধ হওয়াতে ঠাণ্ডা খাবার হিসেবে বিবেচিত। এর টক ও গরম শক্তির কারণে হজমের আগুন বা হজম গতি বৃদ্ধি করে। ফলে দেহের উষ্ণতাও বৃদ্ধি পায়।

পিত্ত  দশা আছে এমন ব্যক্তিদের স্বাভাবিকভাবেই উষ্ণতা বেশি। গরমকালে লেবু খাওয়া পিত্ত দশা আরও বাড়িয়ে তোলে। আর এর ভারসাম্যহীনতা বুক জ্বালাপোড়া করা, অ্যাসিডিটি ও ত্বকের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

>> টমেটো

আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে টমেটোকে উষ্ণ খাবার বিবেচনা করা হয়, যা গরমকালে না খাওয়াই ভালো। পিত্ত দশা আছে অথবা পিত্তে ভারসাম্যহীনতা আছে এমন ব্যক্তিদের গরমে টমেটো খাওয়া ক্ষতিকর।

আরো পড়ুন: উচ্চ রক্তচাপ এড়াতে ৫ খাবারে লাগাম টানতে হবে

টমেটো টক ও স্বাদে কিছুটা অম্লীয়, যা পিত্ত দশা ও দেহের তাপ বাড়িয়ে তোলে।

গ্রীষ্মকালে বেশি পরিমাণে টমেটো খাওয়া প্রথমে পিত্ত দশা ও পরে নানান রকম লক্ষণ যেমন- অ্যাসিডিটি, বুক জ্বালা পোড়া, ত্বকে ফুসকুড়ি অথবা প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে।

এম এইচ ডি/

ঠাণ্ডা খাবার শরীর তাপমাত্রা টমেটো রেফ্রিজারেট

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন