মঙ্গলবার, ২১শে অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৫ই কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** জন্ম নিয়েই বাপের সঙ্গে পাল্লা দিয়ো না—এনসিপি নেতাদের গোলাম পরওয়ার *** দীপাবলিতে ভারতীয়দের শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলাদেশি হাইকমিশনের ভিডিও প্রকাশ *** ভারতের সঙ্গে ১০ চুক্তি বাতিলের তথ্য প্রকাশ, যা বললেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা *** ‘জামায়াত ও আ. লীগ মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ’ *** সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত ও আ.লীগের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান *** সংখ্যালঘুদের বিপদে ফেলবেন না, সরকারকে মির্জা ফখরুল *** বড় পুঁজির স্বপ্ন দেখা শ্রীলঙ্কাকে ২০২ রানে থামাল বাংলাদেশ *** সালমান শাহর মৃত্যুর ২৯ বছর পর হত্যা মামলা করার নির্দেশ *** নির্বাচনে সেনা এক লাখ, পুলিশ দেড় লাখ ও ছয় লাখ আনসার মাঠে থাকবে *** বিএনপির কার্যালয়ে সাংবাদিক হেনস্তার ঘটনায় এনসিপির নিন্দা ও উদ্বেগ

ঘুরে আসুন পুরান ঢাকার ঐতিহাসিক সেরা তিন জায়গা

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১১:৪২ অপরাহ্ন, ১০ই ডিসেম্বর ২০২৩

#

ছবি : সংগৃহিত

বিশাল শপিং মল, রেস্টুরেন্ট, লাইব্রেরি কিংবা জাদুঘর—ঢাকায় ঘুরে বেড়ানোর মতো অনেক জায়গা আছে। বাংলাদেশের প্রাণকেন্দ্র এই রাজধানী। তবে আমাদের প্রায়ই মনে থাকে না, আজকের এই ব্যস্ত মহানগরী ঢাকার আছে চারশ বছরের ইতিহাস। আর সেই ইতিহাসের কিছুটা ছাপ এখনও পাওয়া যায় পুরান ঢাকায়। গৎবাঁধা জীবনের ক্লান্তি কাটিয়ে উঠতে পরিবার বা বন্ধুদের সাথে মিলে এসব ঐতিহাসিক স্থানে ভ্রমণ হতে পারে চমৎকার। 

চলুন জেনে নিই পুরান ঢাকার তিনটি সুন্দর ঐতিহাসিক নিদর্শনের নাম- 

লালবাগ কেল্লা  


বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে লালবাগ এলাকায় অবস্থিত লালবাগ কেল্লা মোগল স্থাপত্যের এক অনন্য নিদর্শন। ১৬৭৮ সালে বাংলার তৎকালীন সুবেদার আজম শাহ এর নির্মাণ কাজ শুরু করেন। তিনি দিল্লি চলে যাওয়ার পর প্রায় এক বছর কাজ বন্ধ থাকার পর সুবেদার শায়েস্তা খাঁ’র উদ্যোগে আবার নির্মাণ কাজ শুরু হয়। মূল তিনটি ভবনের সমন্বয়ে এই স্থাপনা গঠিত: মসজিদ, পরী বিবির সমাধি এবং দেওয়ান-ই-আম বা দরবারহল। আরও আছে বেশ কিছু ফোয়ারা, যা শুধু বিশেষ উপলক্ষে চালু করা হয়। এছাড়া সর্বসাধারণের জন্য শায়েস্তা খাঁ’র বাসভবনে তৈরি করা হয়েছে একটি জাদুঘর। 

আরো পড়ুন : কুষ্টিয়ার এই স্থানগুলো ঘুরে দেখেছেন কি

আহসান মঞ্জিল 


পুরান ঢাকার ইসলামপুরের কুমারটুলি এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে আহসান মঞ্জিল অবস্থিত। এক সময় এটি ঢাকার নবাবদের আবাসিক প্রাসাদ ও জমিদারির কাছারি হিসেবে ব্যবহৃত হতো। তবে বর্তমানে এটি ব্যবহৃত হচ্ছে জাদুঘর হিসেবে। এর প্রতিষ্ঠাতা নওয়াব আবদুল গণি। তৎকালীন ঢাকায় এত সুন্দর ভবন আর ছিল না। জানলে অবাক হবেন, ঢাকা শহরে এই আহসান মঞ্জিলেই প্রথম বৈদ্যুতিক বাতি জ্বলেছিল। 

তারা মসজিদ 

 

আরমানিটোলার আবুল খয়রাত সড়কে অবস্থিত তারা মসজিদ পুরান ঢাকার অন্যতম বিখ্যাত স্থাপনা। ১৮ শতকে ঢাকার তৎকালীন জমিদার মির্জা গোলাম পীর মোগল স্থাপত্যরীতি অনুসরণ করে এই মসজিদ তৈরি করেন। তখন লোকমুখে এর নাম হয় ‘মির্জা সাহেবের মসজিদ’। সাদা মার্বেলের গম্বুজের ওপর নীলরঙা তারায় খচিত নকশার কারণে এটি তারা মসজিদ হিসেবে পরিচিতি পায়। 

আপনি যদি পরিবার বা বন্ধুদের সাথে মিলে একইদিনে তিনটি স্থাপনা-ই দেখতে চান, আপনার উচিত আগে থেকে পরিকল্পনা করে রাখা। কাদের সঙ্গে যাবেন এবং কোন জায়গার পর কোন জায়গায় যাবেন ঠিক করুন। ব্যক্তিগত গাড়ি না থাকলে আপনি বেছে নিতে পারেন উবারের মতো রাইডশেয়ারিং সার্ভিসগুলো। 

এস/ আই.কে.জে/

পুরান ঢাকা তিন জায়গা

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250