শুক্রবার, ৩রা অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** তেহরান থেকে রাজধানী অন্যত্র সরিয়ে নেবে ইরান, নেপথ্যে পানি *** গাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের *** ৪৭ দেশের ৪৪৩ স্বেচ্ছাসেবীকে অপহরণ করেছে ইসরায়েল *** মর্ত্য ছেড়ে কৈলাসে ফিরলেন দুর্গতিনাশিনী *** শহিদুল আলমের জাহাজ এখনো আটক হয়নি, দিলেন ভিডিওবার্তা *** পাকিস্তানকে হারিয়ে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ শুরু *** এনসিপিকে শাপলা দিলে মামলা করব না, তবে ইসি দিতে পারে না: মান্না *** শুধু থালাবাটি নয়, এনসিপির জন্য আছে লাউ-বেগুন-কলাসহ ৫০ প্রতীক *** ঝড় উপেক্ষা করে গাজার পথে ফ্লোটিলা, শহিদুল আলমের ভিডিও বার্তা *** ইসরায়েলি সব কূটনীতিককে কলম্বিয়া থেকে বের হয়ে যাওয়ার নির্দেশ প্রেসিডেন্ট পেত্রোর

দুদকের মামলায় ডিআইজি মিজানের ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৪:০৬ অপরাহ্ন, ২১শে জুন ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিং আইনে দুদকের করা মামলায় পুলিশের সাময়িক বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২১ জুন) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মো. মঞ্জুরুল ইমামের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

এছাড়া এ মামলার অপর তিন আসামি মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী জাহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিন রায় ঘোষণার সময় মিজানকে কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। এছাড়া জামিনে থাকা ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান আদালতে হাজির হন। এই তিনজনকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। আর মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার ওরফে রত্না রহমান পলাতক।

মিজানকে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬(২) ধারায় ৩ বছর, ২৭(১) ধারায় ৬ বছর এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে ৫ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সবগুলো সাজা একত্রে চলবে বলে তাকে ৬ বছর সাজা ভোগ করতে হবে। 

অপরদিকে বাকি তিনজনকে ২৭(১) ধারায় ৩ বছর ও মানি লন্ডারিং আইনে ৪ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। সবগুলো সাজা একত্র চলবে বিধায় তাদেরকেও ৪ বছর সাজা ভোগ করতে হবে।

গত ৫ জুন একই আদালত উভয় পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এদিন ধার্য করেন। ওইদিন আসামি ডিআইজি মিজানকে আদালতে হাজির করা হয়। জামিনে থাকা আসামি তার ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগনে মাহমুদুল হাসান আদালতে হাজিরা দেন। তবে তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

আরো পড়ুন: জাহাঙ্গীরকে মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত আইনানুগ ছিল না : হাইকোর্ট

মামলাটিতে চার্জশিটভুক্ত ৩৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। গত ১২ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ সর্বশেষ সাক্ষী হিসেবে আদালতে সাক্ষ্য দেন।

২০২০ সালের ২০ অক্টোবর ডিআইজি মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন একই আদালত। মিজান ছাড়াও অপর আসামিরা হলেন- মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান।

২০১৯ সালের ২৪ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ বাদী হয়ে ডিআইজি মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তিনি।

মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ করা হয়।

এসি/  আই. কে. জে/ 


ডিআইজি মিজান কারাদণ্ড

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250