মঙ্গলবার, ২১শে অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৬ই কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** আন্দোলনরত শিক্ষকরা নবউদ্যমে শ্রেণিকক্ষে ফিরবেন, আশা প্রধান উপদেষ্টার *** ২৯ বছর পর সালমান শাহের মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের *** সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করবে বিএনপি *** তরুণ-তরুণীদের আত্মরক্ষামূলক প্রশিক্ষণ দেবে সরকার *** শিক্ষকদের আন্দোলন প্রত্যাহার, ফিরছেন ক্লাসে *** চীন সফরে যাবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প *** তেলাপোকা মারতে গিয়ে পুরো অ্যাপার্টমেন্টেই দিলেন আগুন *** এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ *** সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে প্রধান উপদেষ্টাকে ৬ আন্তর্জাতিক সংগঠনের চিঠি *** জন্ম নিয়েই বাপের সঙ্গে পাল্লা দিয়ো না—এনসিপি নেতাদের গোলাম পরওয়ার

তফসিল ঘোষণা ঘিরে রাজধানীতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৫:০৭ অপরাহ্ন, ১৫ই নভেম্বর ২০২৩

#

আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) বলছে, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির যে কোনো চেষ্টা হলে কঠোর হবে পুলিশ।

সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি–জামায়াতের চলমান অবরোধের মধ্যে বুধবার (১৫ নভেম্বর) ঘোষণা হতে যাচ্ছে আসন্ন নির্বাচনের তফসিল। সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে আসন্ন তফসিল ঘোষণা করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখতে বুধবার দুপুরে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে যান ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান। তিনি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে কথাও বলেন।

পরে ডিএমপি কমিশনার সাংবাদিকদের বলেন, ‘নিরাপত্তা বিঘ্ন করার মতো কিছু ঘটলে কঠোর অবস্থানে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।’

হাবিবুর রহমান বলেন, ‘তফসিলকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখতে এসেছি। নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন হলে সে আন্দোলনে সহযোগিতা করব। কিন্তু আন্দোলনের নামে যদি কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়, তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।’

এদিকে তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সামনে মোতায়েন করা হয়েছে বিজিবি।

নির্বাচন নিয়ে দেশের দুই বড় রাজনৈতিক শক্তি আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে টানাপোড়েনের মধ্যেই ঘোষণা হতে যাচ্ছে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল। গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির সমাবেশে সহিংসতার পর দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতাই এখন কারাগারে। যারা বাহিরে আছেন তারাও খুব একটা প্রকাশ্যে আসছেন না। ২৮ অক্টোবরের পর থেকে সারা দেশে ধারাবাহিক ভাবেই হরতাল ও অবরোধের মতো কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। 

নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দল বিশেষ করে বিএনপি ও তাদের জোট সঙ্গীদের আনতে আওয়ামী লীগের ওপর চাপ আছে। আমেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলো দুই দলকে সংলাপে আনতে নানা তৎপরতা চালাচ্ছে। এরই মধ্যে দেশের তিনটি প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিকে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়ে চিঠি দিয়েছে আমেরিকা সরকার।

অবশ্য সংলাপের সব সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে। বুধবার সকালে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস মার্কিন সরকারের চিঠি নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে দেখা করেন। পরে কাদের সাংবাদিকদের জানান, এখন আর সংলাপের সুযোগ নেই।

কাদের বলেন, ‘বিএনপিকে আমরা অনেক আগে থেকেই বলে আসছিলাম, শর্ত ছাড়া সংলাপে আসলে তখন আমরা বিবেচনা করব। কিন্তু এখন আর সেই সুযোগ নেই।’

এদিকে বিএনপি বলে আসছে, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে তারা অংশ নেবে না। এর অংশ হিসেবে গত কয়েক বছরে সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, সেগুলোতে কোনো প্রার্থী দেয়নি বিএনপি ও তাদের জোটসঙ্গীরা। দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে যারা প্রার্থী হয়েছিলেন তাদের অনেককেই আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এখন সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে রাজপথে নানা কর্মসূচি পালন করছেন দলটির নেতা–কর্মীরা।

আওয়ামী লীগও বলে আসছে, উচ্চ আদালতের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্ত হওয়ায় এটি আর ফিরিয়ে আনার সুযোগ নেই। আগামী নির্বাচন হবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদে রেখে, নির্বাচন কমিশনের অধীনে।

ওআ/

তফসিল

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250