মঙ্গলবার, ২৪শে জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১০ই আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ‘যুদ্ধবিরতির’ পর সবাই নিজেকে ‘বিজয়ী’ দাবি করছে *** এক সপ্তাহের মধ্যে পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসতে পারে ইরান *** ধর্ষণ মামলায় জামিন পেলেন নোবেল *** কাতারকে ধন্যবাদ ইরানের *** একনেকে ৮ হাজার ৯৭৪ কোটি টাকার ১৭ প্রকল্প অনুমোদন *** ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির ঘোষণা তার প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদেরও চমকে দেয় *** যুদ্ধবিরতি ভেঙেছে ইরান—দাবি ইসরায়েলের, কঠোর জবাব দেওয়ার নির্দেশ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর *** যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান ইরানের *** আগামী বছর মুক্তি পাচ্ছে সৌরভ গাঙ্গুলীর বায়োপিক *** ইরানের পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে যা বললেন রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী

কিছু ফল-সবজির খোসা ফেলে দেয়া মানেই বোকামি

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:৩৫ অপরাহ্ন, ২৫শে অক্টোবর ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

বেশিরভাগ সময় আমরা ফল ও সবজির খোসা ফেলে দিয়ে খাই। তবে কিছু ফল এবং সবজি আছে যেগুলো খোসাসহ আপনি খেতে পারবেন বা খোসা আলাদা করেও খেতে পারেন। কেননা, এসব খোসা যেমন স্বাস্থ্যকর তেমনি সুস্বাদু।

তাই চলুন জেনে নিই আপনি যেসব খাবারের খোসা অপ্রয়োজনীয় মনে করে ফেলে দিচ্ছেন সেসব খাবারের উপকারিতা–

 মিষ্টি আলু

আলুর মতো মিষ্টি আলু সিদ্ধ করে খোসা ফেলে দিয়ে খাচ্ছেন তো ভুল করছেন। মিষ্টি আলুর খোসায় আছে বিটাক্যারোটিন, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি এবং ই। এটি খোসাসহ খেলে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ে। খোসা ফেলে দিলে এর খাদ্য উপাদানের অর্ধেক থেকে বঞ্চিত হতে হবে।

শসা

শসার খোসায় থাকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, খনিজ ও প্রচুর ফাইবার। আরও থাকে বিটা ক্যারোটিন ভিটামিন এ, সি এবং কে। চোখ ভালো রাখতে, ওজন কমাতে, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল কমাতে শসার খোসার জুড়ি নেই। শসায় থাকা ইনসলিউবল ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। তাই শসার খোসা ফেলে দিয়ে খাওয়ার মতো বোকামি আর নয়।

বেগুন

বেগুনের খোসায় আছে ফাইট্রোনিউট্রেন্ট। এটি কোষের ক্ষয় রোধ করে। এছাড়া এর খোসায় ফাইবারও রয়েছে যা হজমে সহায়তা করে।

লাউ

লাউয়ের খোসা ভিটামিন, আয়রন, ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ। লাউয়ের খোসা খেলে গ্যাস্ট্রিক, বদহজম এবং পাইলসের সমস্যা কমে যায়। লাউয়ের মতো লাউয়ের খোসাও বিভিন্নভাবে রান্না করে খেতে পারেন।

আরো পড়ুন : রূপচর্চায়ও আপেলের তুলনা নেই

 কুমড়া

কুমড়ার খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এগুলো হৃদরোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে। আবার এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্টগুলো ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে বাঁচায়। কুমড়ার খোসায় প্রায় প্রতিটি খাদ্য উপাদান রয়েছে, যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সবসময় কাজ করবে। তাই কুমড়ার খোসা ফেলে না দিয়ে ভাজি কিংবা ভর্তা করে খেতে পারেন।

গাজর

গাজরে ক্যারটিনয়েড রঞ্জক পদার্থ রয়েছে। এ উপাদানটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। গাজরে ক্যালরি এবং সুগারের উপাদান খুবই কম। তাই কোলেস্টেরল এবং ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে এটি ভালো কাজ করে। গাজরের সালাদ বা জুস যেটাই বানাবেন খোসাসহ বানালেই উপকৃত হবেন।

 টমেটো

টমেটোর খোসায় ফ্ল্যাভোনয়েড ন্যারেনজেনিন থাকে। এটি যেমন ত্বকের জন্য কার্যকর তেমন শরীরের জন্যও।

লেবু

লেবুর খোসা ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। এর খোসায় আছে ফ্ল্যাভোনয়েড, যা শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে বিবেচিত। তাই লেবুর খোসা খেলে ক্যানসারের ঝুঁকি কমে সঙ্গে হাড় ও দাঁত ভালো থাকে।

আপেল, নাশপাতি, পেঁয়ারা

অনেকে মনে করেন খোসাসহ ফল খেলে হজমে সমস্যা হয়। কিন্তু ব্যাপারটি আসলে উল্টো। ফলের খোসায় থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। আবার ফলে থাকা ভিটামিনের বেশির ভাগ থাকে খোসার মধ্যে। আপেল, নাশপাতি এবং পেয়ারার মতো ফলগুলো কখনও খোসা ছিলে খাওয়া উচিত না। 

এস/ আই. কে. জে/ 

 

পুষ্টিগুণ ফল-সবজি খোসা

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন