ছবি: সংগৃহীত
আমেরিকার কাছ থেকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শক্তিশালী করতে বাংলাদেশের কোন সংস্থা ২৯ মিলিয়ন ডলারের (প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা) অর্থায়নের জন্য নির্বাচিত হয়েছিল, তা নিয়ে দেশে–বিদেশে আলোচনা চলছে। বৈদেশিক অর্থায়নে পরিচালিত এনজিওখাত নিয়ে গবেষণার অভিজ্ঞতা রয়েছে দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশের’ (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গঠিত দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামানের।
যোগাযোগ করা হলে ড. ইফতেখারুজ্জামান সুখবর ডটকমকে বলেন, ‘২৯ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার বিষয়ে ট্রাম্পের দাবিটি অস্বাভাবিক। আমার মনে হয়, আমেরিকার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) অর্থায়ন বাতিলকে বৈধতা দিতে এখানে বাংলাদেশের নাম ব্যবহার করা হয়েছে। কারণ, এভাবে বাংলাদেশের কোনো সংস্থার অর্থ নেওয়ার সুযোগ নেই।’
তিনি বলেন, ‘মাত্র দুজন ব্যক্তির পরিচালিত প্রতিষ্ঠানে (এনজিও) এতো বিশাল অঙ্কের টাকা (২৯ মিলিয়ন ডলার) ছাড় হওয়ার সুযোগ নেই। বিদেশি অনুদান বাংলাদেশে আসতে যে আইনি কাঠামো রয়েছে, তা খুবই শক্তিশালী। আর ২৯ মিলিয়ন ডলার যদি বাংলাদেশের কোনো সংস্থাকে আমেরিকা দিয়েও থাকে, তাহলে সেটি আমেরিকার কর্তৃপক্ষের দুর্বলতা।’
তিনি বলেন, ‘কারণ, ১ ডলারই হোক আর ২৯ মিলিয়ন ডলারই হোক- সরকারের অনুমোদন ছাড়া কোনো অর্থ ছাড় হওয়া অসম্ভব। আর এককভাবে কোনো সংস্থার ২৯ মিলিয়ন ডলার পাওয়ার খবরটিই অস্বাভাবিক।’
তবে ইউএসএআইডির অর্থায়ন বন্ধ হওয়ায় বাংলাদেশের সামাজিক ও সেবাসহ বিভিন্ন খাতে প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন ড. ইফতেখারুজ্জামান।
হা.শা./কেবি