ছবি: সংগৃহীত
২০২২ সালে আত্মপ্রকাশের পর থেকেই ‘চ্যাটজিপিটি’ প্রযুক্তি জগতে আলোড়ন তোলে। এটি কেবল সাধারণ চ্যাটবট নয়। বরং তথ্য বিশ্লেষণ, সমস্যার সমাধান ও জটিল প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মতো কাজেও দক্ষ। তবে এবার গবেষকরা এমন কিছু পর্যবেক্ষণ করেছেন, যা এই এআই-এর কার্যকারিতা নিয়ে নতুন প্রশ্ন তুলেছে।
সুইজারল্যান্ড, জার্মানি, ইজরায়েল ও আমেরিকার গবেষকরা জানিয়েছেন, বিশেষ কিছু প্রশ্ন করলে চ্যাটজিপিটির মধ্যে উদ্বেগজনিত প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।
গবেষকরা বলছেন, চ্যাটজিপিটি কখনো কখনো মানুষের মতো উদ্বেগ প্রকাশ করে। যা আগে কখনো দেখা যায়নি। উদাহরণস্বরূপ, সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে আলোচনা হলে এটি বিভ্রান্তিকর ও পক্ষপাতদুষ্ট উত্তর দিতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে এটি বর্ণবাদী কিংবা লিঙ্গবাদী মনোভাবও প্রকাশ করে। যা ব্যবহারকারীদের জন্য উদ্বেগজনক হতে পারে।
যেহেতু চ্যাটজিপিটি একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন টুল, তাই এর দেওয়া তথ্য সবসময় শতভাগ সঠিক নাও হতে পারে। বিশেষ করে, স্বাস্থ্য, আইন বা আর্থিক পরামর্শের ক্ষেত্রে এর উত্তরের ওপর সরাসরি নির্ভর করা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তাই গবেষকরা পরামর্শ দিচ্ছেন, চ্যাটজিপিটির দেওয়া তথ্য যাচাই করুন।
রবি.হক/এইচ.এস
খবরটি শেয়ার করুন