তেহরানের বিপ্লব স্কয়ারে ইরান ও হিজবুল্লাহর পতাকা হাতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে করছেন সাধারণ মানুষ। ছবি: এএফপি
ইরান-ইসরায়েলের সংঘাত আজ বুধবার (১৮ই জুন) গড়াল ষষ্ঠ দিনে। পাল্টাপাল্টি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দুইপক্ষের বহু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। এরই মধ্যে ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনে ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরাও। তবে এখনো চুপ ইরানের প্রতিরক্ষা বলয়ের অন্যতম শক্তি হিজবুল্লাহ।
গত শুক্রবার (১৩ই জুন) ইরান ইসরায়েলের পাল্টা হামলা চালানোর পরপরই এক বিবৃতিতে লেবানন-ভিত্তিক গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, আপাতত তারা এ যুদ্ধে জড়াবে না। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, ‘কেন?’ খবর আল জাজিরার।
যদিও ইসরায়েল এখনো লেবাননের বিভিন্ন এলাকা—বিশেষ করে দক্ষিণে এবং মাঝে মাঝে বৈরুত উপকণ্ঠেও—হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এরপরও হামলা থেকে বিরত রয়েছে হিজবুল্লাহ। চলমান উত্তেজনার মধ্যে হিজবুল্লাহর এমন নীরব ভূমিকায় তৈরি হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। তবে কী দুর্বল হয়ে পড়েছে গোষ্ঠীটি? উঠছে এমন প্রশ্নও।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সত্যিকার অর্থেই অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়েছে ইরান সমর্থিত এ সশস্ত্র গোষ্ঠী। তাদের মতে, হিজবুল্লাহর অস্ত্র সক্ষমতা কমে গেছে বলেই তারা এখনো পাল্টা হামলা চালাচ্ছে না।
কারণ, হিজবুল্লাহ যদি নতুন করে কোনো সামরিক তৎপরতা শুরু করে, তবে সেটি ইসরায়েলের পক্ষ থেকে আরও তীব্র পাল্টা প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিতে পারে। যা দেশ পুনর্গঠনের প্রচেষ্টাকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করতে পারে। তবে হিজবুল্লাহর অস্ত্রভান্ডার একেবারে শূন্য হয়ে গেছে, ব্যাপারটা এমনও নয় বলে মনে করেন অনেকে।
বিশ্লেষকদের কেউ কেউ বলছেন, ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহর সামরিক ভান্ডারের বড় একটি অংশ ধ্বংস হয়ে গেলেও এখনো তাদের কাছে বিধ্বংসী বেশ কিছু অস্ত্র আছে। বিশেষ করে, ইসরায়েলের উল্লেখযোগ্য ক্ষতি সাধনের মতো বেশ কিছু ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এখনো অবশিষ্ট রয়েছে হিজবুল্লাহর ভান্ডারে।
এরপর ইসরায়েলের পাল্টা আক্রমণ সামাল দিতে যে পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র প্রয়োজন, তা আপাতত তাদের কাছে নেই বলেই মত অনেকের।
বিশ্লেষক করিম সাফিয়েদ্দিনের ভাষ্য—হিজবুল্লাহর যে সামরিক সক্ষমতার অভাব রয়েছে এরই প্রমাণ ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে তাদের এ নির্লিপ্ততা। তার মতে, বর্তমানে হিজবুল্লাহর সক্রিয় সামরিক হস্তক্ষেপের সক্ষমতা নেই।
খবরটি শেয়ার করুন