ছবি : সংগৃহীত
সুপারফুড হলো এমন খাবার যা বেশিরভাগ পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য উপাদানে সমৃদ্ধ যা আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এই খাবারগুলোর বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় এবং পুষ্টির পাওয়ার হাউস হিসাবে প্রশংসা করা হয় যা আমাদের সামগ্রিক সুস্থতাকে রূপান্তরিত করতে এবং উন্নত করতে পারে। তবে বেশিরভাগ সময় এতে এক বা একাধিক অবাঞ্ছিত উপাদান থাকে। পুষ্টিবিদ শালিনী সুধাকর তার ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। যেখানে তিনি বলেছেন যে, তিনটি খাবারকে ‘সুপারফুড’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয় কিন্তু আসলে তা স্বাস্থ্যকর নয়। তাই চলুন জেনে নিই কোন ৩ সুপারফুড থেকে নিজেকে এড়িয়ে চলা উচিত সে সম্পর্কে-
১. গ্রিন টি
এটি আসলেই অবাক করার মতো বিষয়, পুষ্টিবিদ শালিনী সুধাকর বলেছেন যে,আপনি যদি এর স্বাদ পছন্দ করেন তবেই আপনার গ্রিন টি পান করা উচিত। অনেকে তাদের সুস্থতার জন্য গ্রিন টি পান কারণ এটি সব সময় ওজন কমানোর জন্য একটি সুপারফুড হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। বিশেষজ্ঞের মতে, গ্রিন টিতে চুমুক দেওয়ার পরিমাণ কখনোই আপনার ওজন কমাতে বা পেটের চর্বি কমাতে কাজ করে না। এতে যে সামান্য পরিমাণ মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট আছে তা দিয়ে আপনার স্বাস্থ্যকে পরিবর্তন করতে পারে না।
২. প্যাকেটজাত জুস
জুসের পুষ্টিগুণ আছে কিন্তু এটি যেভাবে প্রক্রিয়াজাত করা হয় তা ফাইবারকে সরিয়ে দেয়। প্যাকেটজাত জুসে চিনি, কৃত্রিম রং এবং ইমালসিফায়ার বেশি থাকে যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, বিশেষ করে শিশুদের। আপনি যদি ফলের উপকারিতা পেতে চান, তাহলে ফলের রস না খেয়ে আস্ত ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন এই পুষ্টিবিদ।
আরো পড়ুন : সত্য বলা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী
৩. হেলথ ড্রিংকস
বাজারে পাওয়া হেলথ ড্রিংকস গুঁড়া দুধ, চিনি এবং কৃত্রিম গন্ধ যুক্ত। যদিও এগুলো দুধকে সুস্বাদু করতে পারে, তবে তা আপনার বা আপনার সন্তানের সামগ্রিক সুস্থতার জন্য পর্যাপ্ত পুষ্টি সরবরাহ করবে না।
উপরে উল্লিখিত খাবারের কিছু স্বাস্থ্যকর বিকল্প
যেহেতু পুষ্টিবিদ শালিনী সুধাকর এই তিনটি সুপারফুডের আশেপাশের মিথকে উড়িয়ে দিয়েছেন, তাই এখানে কিছু স্বাস্থ্যকর বিকল্প রয়েছে যা আপনার খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন-
১. ভেষজ চা
গ্রিন টিয়ের পরিবর্তে আপনার অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি, ওজন কমানো এবং সামগ্রিক সুস্থতার জন্য ভেষজ এবং মসলা মিশ্রিত চা খাওয়ার চেষ্টা করুন। পুষ্টিবিদদের মতে, অতিরিক্ত ওজন কমানো এবং স্বাস্থ্যকর জীবন পাওয়ার একমাত্র উপায় হলো সুষম খাবার খাওয়া এবং ক্যালোরি ঝরানো।
২. ফল খান
পুষ্টিবিদ সুধাকর পরামর্শ দেন যে, ফলের জুস ঘরে তৈরি করা হলেও তা না খাওয়া। জুসিং পদ্ধতি আঁশযুক্ত উপাদানগুলোকে সরিয়ে দেয় এবং এটি শুধুমাত্র চিনি দিয়ে পূর্ণ থাকে। যাতে স্বাদ থাকলেও কোনো পুষ্টি থাকে না।
৩. ঘরে তৈরি হেলথ ড্রিংকস
বাজার থেকে প্রসেসড হেলথ ড্রিংক পাউডার না কিনে ঘরেই তৈরি করুন। সাধারণ কোকো পাউডার ব্যবহার করুন বা দুধের স্বাদের জন্য বাদামের মিশ্রণ যোগ করুন। পুষ্টিবিদ সুধাকর বলেছেন যে, যদি এরপরও প্রক্রিয়াজাত হেলথ ড্রিংকস পাউডার খেতে চান তবে দিনে এক চামচের বেশি খাবেন না। সেইসঙ্গে এটি থেকে কোনো স্বাস্থ্য উপকারের আশা করবেন না।
এস/ আই.কে.জে/
খবরটি শেয়ার করুন