বৃহস্পতিবার, ৩১শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৬ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** এই সরকারের এক্সিট পলিসি চিন্তা করার সময় এসেছে: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য *** জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় সব পদক্ষেপ নেবে নয়াদিল্লি *** ইসরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা চান দেশটির ৩১ বিশিষ্ট নাগরিক *** এক সাপুড়ের প্রাণ নেওয়া সাপকে চিবিয়ে খেলেন আরেক সাপুড়ে *** তিন বাহিনীর প্রধান নিয়োগ রাষ্ট্রপতির হাতে রাখার প্রস্তাব *** ডাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্যানেল দিচ্ছেন উমামা, যোগদানের আহ্বান ফেসবুকে *** ১৫ই আগস্টের মধ্যে চাকসুর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা *** ‘প্রিয় বন্ধু’ ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের *** আইন ও বিচার বিভাগে পদায়ন বিধিমালা জারি *** এনসিপির অনুরোধে সমাবেশের স্থান পরিবর্তন ছাত্রদলের

গার্মেন্টস শ্রমিকদের স্বস্তি দেবে টিসিবি পণ্য

সম্পাদকীয়

🕒 প্রকাশ: ০৪:২৭ অপরাহ্ন, ৪ঠা অক্টোবর ২০২৪

#

ছবি- সংগৃহীত

গত ১লা অক্টোবর থেকে দেশের ৪০ লাখ পোশাক শ্রমিককে সরকারি বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা টিসিবির (ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ) ভর্তুকি মূল্যের পণ্যসামগ্রী প্রদানের কার্যক্রম চালু হয়েছে। টিসিবির আওতায় শ্রমিকরা পাচ্ছেন ভোজ্যতেল, ডাল, চিনি ও চালসহ নিত্যপণ্য।

দেশের প্রধান রপ্তানি খাতের বিপুল সংখ্যক পোশাক শ্রমিকদেরকে ন্যায্যমূল্যে পণ্য সরবরাহের সিদ্ধান্ত  নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি খাতে যে সকল শ্রমিক কাজ করেন তাদের অধিকাংশই নারী। পোশাক খাতের শ্রমিকদের ১৮ দফা দাবির অন্যতম দাবি ছিল ন্যায্যমূল্যে পণ্য পাওয়ার অধিকার। সরকার দাবি পূরণের অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছে। বলাবাহুল্য, এতে করে অন্য প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকদের প্রত্যাশাও বেড়ে যাবে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও মুদ্রাস্ফীতির সংকটকালে শ্রমজীবী মানুষরাই সবচেয়ে বেশি অস্বস্তিতে আছেন। পর্যায়ক্রমে সকল শ্রমিকদেরকে টিসিবির পণ্যের আওতায় আনতে হবে।

আগেও শ্রমিকদের ক্ষুদ্র একটি অংশ টিসিবির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হলেও অধিকাংশ শ্রমিকরা তালিকার বাইরে ছিল। শ্রমিক ও মালিকপক্ষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল টিসিবির ভর্তুকি মূল্যের পণ্যসামগ্রী যেন শ্রমিকদের দেয়া হয়।অবশেষে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেই দাবি পূরণ করেছে।

বাজার মূল্যের চেয়ে প্রায় অর্ধেক মূল্যে নিত্য ও ভোগ্যপণ্য কেনার সুযোগ পাওয়া এই চরম দুর্দিনে খুবই ভাগ্যের ব্যাপার।ইতোমধ্যে শ্রম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আপাতত শ্রমঘন এলাকায় (সাভার, আশুলিয়া, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ) টিসিবির মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করা হবে। এ ছাড়াও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিকেও শ্রমঘন এলাকায় সম্প্রসারিত করা হবে। শ্রমিকদের জন্য স্থায়ী রেশন ব্যবস্থার জন্যও ভবিষ্যতে নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করার পরিকল্পনার কথাও বলা হয়েছে।


শ্রম মানুষদের স্বস্তি দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ প্রশংসার দাবি রাখে। বর্তমান দ্রব্যমূল্যের ক্রমবর্ধমান ঊর্ধ্বগতির সময়ে শুধু  হতদরিদ্র নয়, নিম্নবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণির  মানুষ যারা সীমিত টাকা উপার্জন করেন তাদের পক্ষে সংসার চালানো কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছে। তাদের কাছে ন্যায্যমূল্যে ওএমএস, টিসিবির পণ্যই ভরসা। তাই যত সংখ্যক মানুষকে ন্যায্যমূল্যে পণ্য সরবরাহ করা যাবে তত জনগণ স্বস্তি পাবে।

আই.কে.জে/



 

টিসিবি

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন