বুধবার, ৩০শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৪ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** একাত্তর নিয়ে বক্তব্য, সমালোচনার মুখে আসিফ নজরুলের দুঃখ প্রকাশ *** জুলাই সনদের খসড়ার সঙ্গে ‘মোটামুটি’ একমত বিএনপি *** বিনা অনুমতিতে নূরুল কবীরকে প্রেস কাউন্সিলের সদস্য করা হয়েছে, প্রত্যাহারের অনুরোধ *** জনসংখ্যা বাড়াতে প্রত্যেক শিশুকে বছরে ৬২ হাজার টাকা করে দেবে চীন *** প্রেস কাউন্সিলের সদস্য হলেন মাহফুজ আনাম, নূরুল কবীরসহ ১২ জন *** ইসরায়েলি দুই মন্ত্রীকে নেদারল্যান্ডসে ঢুকতে দেবে না দেশটির সরকার *** ডাকসু নির্বাচন ৯ই সেপ্টেম্বর *** আর কাউকে প্রতীকী মূল্যে জমি দেবে না সরকার: অর্থ উপদেষ্টা *** প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের ৩৪ হাজার শুন্য পদ পূরণে উদ্যোগ *** প্রাথমিক পর্যায়ে ঐকমত্যের খসড়া আজকালের মধ্যে পাবে রাজনৈতিক দলগুলো: আলী রীয়াজ

শামুক কুড়িয়ে ২ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৪:৩১ অপরাহ্ন, ২রা ডিসেম্বর ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

নড়াইল জেলার বিল অঞ্চলে শামুক কুড়ানো থেকে আয় হচ্ছে বছরে প্রায় ১৫ কোটি টাকা। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এখানকার শামুক পাড়ি দিচ্ছে যশোর, খুলনা, বাগেরহাটসহ বিভিন্ন জেলায়। মৌসুমি এ কাজে সরাসরি জড়িত হয়েছে ২ হাজারেরও বেশি মানুষের।

নড়াইলে প্রায় ৮ লাখ মানুষ বসবাস করা এই জেলা বিল ও মাছের ঘের দিয়ে বেষ্টিত। প্রতি বছরের মতো এবারও বিল থেকে শামুক কুড়িয়ে মৌসুমি কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে কয়েক হাজার নারী-পুরুষের। নারী-পুরুষ মিলে প্রতিদিন ৫০০-৬০০ টাকা আয় করে সংসারে এনেছেন সচ্ছলতা। শামুকের ভেতরের অংশের পাশাপাশি খোলারও বাড়ছে ব্যাপক চাহিদা। যা এ অঞ্চলের অর্থনীতিতে এনেছে নতুন গতি।

নড়াইল শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে বিল অঞ্চলের হুগলাডাঙ্গা গ্রামের নারী-পুরুষ  প্রতিদিন ভোরের আলো ফুটতেই ছোট নৌকা নিয়ে যান শামুক কুড়াতে। কুড়িয়ে আনা শামুকের ভেতরের অংশ বের করে বিক্রি করেন মাছ ব্যবসায়ীদের কাছে এবং খোলাটা বিক্রি করেন খোলা ব্যবসায়ীদের কাছে।

আরও পড়ুন: ৪৪ কেজির বাঘাইড় ধরা পড়লো পদ্মায়, বিক্রি ৪৮ হাজার টাকায়

প্রতিদিন একেকজন নারী-পুরুষ ২০ থেকে ২৫ কেজি শামুক বিক্রি করে। তাদের আয় হয় ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা।

শুধু হুগলাডাঙ্গা গ্রামে নয়, জেলার লোহাগড়া, কালিয়া এবং সদর উপজেলার শোলপুর বিল, ইছামতি বিল, কলোড়াসহ ১২টি বিলের শামুক কুড়িয়ে একেকজন প্রতিমাসে আয় করছেন প্রায় ১৫ হাজার টাকা। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এখানকার শামুক যাচ্ছে যশোর, খুলনা, বাগেরহাট, মাগুরাসহ বেশ কয়েকটি জেলায়।

নড়াইল সদর উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী জানায়, পড়া লেখার পাশাপাশি সে বর্ষার মৌসুমে প্রতিদিন সকালে বিল থেকে শামুক সংগ্রহ করে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বিক্রি করে থাকে।

কালিয়া উপজেলার আমবাড়িয়া গ্রামের দিনমজুর কালু মিয়া শেখ জানান, সংসার চালানোর জন্য তিনি বিল-খাল থেকে শামুক সংগ্রহ করে মৎস্য চাষিদের কাছে বিক্রি করে থাকেন। এতে তার প্রতিদিন প্রায় ৫০০ টাকা আয় হয়ে থাকে। যা দিয়ে তিনি সংসারের ব্যয় নির্বাহ করে থাকেন।

নড়াইল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এইচ.এম বদরুজ্জামান গণমাধ্যমকে জানান, মাছের খাদ্য হিসেবে শামুকের ব্যবহারকে আমরা নিরুৎসাহিত করে থাকি মৎস্য চাষিদের। কারণ কাঁচা শামুক খাওয়ানোর ফলে মাছের শরীরে রোগ জীবাণুর এবং গ্যাসের সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে ওই মাছ খেলে মানুষের শরীরেও নানা রোগ জীবাণু ছড়ায়। শামুক মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে। খাল বিলে বেশি পরিমাণ শামুকের বিচরণ থাকার কারণে পানি ও মাটির উর্বরতা বাড়ে এবং ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। শামুক মাছের খাবার হিসেবে ব্যবহার না করার জন্য ঘের মালিকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

এসি/কেবি

কর্মসংস্থান

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন