বৃহস্পতিবার, ২৩শে অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৮ই কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানালেন বিশ্বখ্যাত ইহুদিরা *** আরব সাগরে প্রায় ১০০ কোটি ডলারের মাদক উদ্ধার পাকিস্তান নৌবাহিনীর *** সরকারে থাকা ‘দলীয় উপদেষ্টা’ আসলে কারা *** জুলাই সনদ বাস্তবায়নে নভেম্বরে গণভোটের দাবি জামায়াতের *** পুলিশের বলা ‘ত্রিভুজ প্রেমের গল্প’ নিয়ে প্রশ্ন জোবায়েদের শিক্ষকের *** দেশের সব ভূমি অফিসে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ *** ‘উপদেষ্টা পরিষদে শুদ্ধি অভিযান জরুরি’ *** বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা পেলেই জুলাই সনদে স্বাক্ষর: নাহিদ *** শুক্র ও শনিবার বিমানবন্দরের শুল্কায়ন কার্যক্রম পুরোদমে চলবে *** সেন্ট মার্টিন নিয়ে ১২ নির্দেশনা সরকারের, প্রজ্ঞাপন জারি

মাছের বিভিন্ন রোগ ও প্রতিকারের উপায়

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:০৪ অপরাহ্ন, ২৭শে মে ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

মাছ চাষের জন্য আপনি যেভাবে পুকুর তৈরি করবেন এবং পুকুর সংস্কারের যেসব ব্যবস্থা নেবেন, তার ওপরই সারা বছরের মাছের ফলন নির্ভর করবে। এ সময় মাছের রোগ প্রতিরোধ করতে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে।

ছোট পোনার রোগ মৌসুমের শুরুতেই চোখে পড়তে পারে। যেমন- গায়ে ঘা, পোনার গায়ে কালগুটি রোগ কিংবা সাদাগুটি রোগ। সব সময় পোনাগুলোর প্রতি লক্ষ রাখতে হবে। রোগের লক্ষণ দেখামাত্র প্রতিকারের ব্যবস্থা নিতে হবে। মাছের পোনার কালগুটি রোগ হলে রোগাক্রান্ত পোনাগুলোকে প্রতি লিটার পানিতে ৩ এমজি পিকারিক অ্যাসিড গুলে ওষুধের মিশ্রণে ১ ঘণ্টা ডুবিয়ে রাখতে হবে। তারপর সেগুলোকে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে আবার পুকুরে ছাড়তে পারবেন। তাতে পোনার কালগুটি রোগের নিরাময় হবে।

মাছের পোনার সাদাগুটি রোগ হলে চারা পোনাগুলোকে প্রতি ৫ লিটার পানিতে ১ মিলিলিটার ফরমালিন গুলে ওষুধ মিশ্রণ তৈরি করে তাতে ৭-১০ দিন প্রতিদিন ১ ঘণ্টা করে ডুবিয়ে রাখতে হবে। ফলে চারার সাদাগুটি রোগ শেষ হয়ে যাবে। তখন সেগুলোকে পানিতে ধুয়ে আবার পুকুরে ছাড়তে হবে।

চারার গায়ে ঘা হলে সেগুলোকে প্রতি লিটার পানিতে ১ গ্রাম কেএমএনও-৪ গুলে পোনা ১০ মিনিট ডুবিয়ে রাখতে হবে। তারপর সেগুলোকে পুকুরে ছেড়ে দিতে হবে।

আরো পড়ুন: বরবটির মতো ৮-১০ইঞ্চি লম্বা কাঁচা মরিচ

বড় মাছের পুকুরেও কয়েকটি রোগ এ সময় দেখা যাবে। যেমন- মাছের কানকোয় ও গায়ে অসংখ্য আরগুলাস উপদ্রব হতে পারে। এটা দমন করার জন্য পুকুরে নুভান নামক একটি ওষুধ প্রতি বিঘায় ১৩০ মিলিলিটার হারে প্রয়োগ করতে হবে। ওষুধটি প্রয়োগ করে কয়েক দফা জাল টেনে ওষুধটি পানির সাথে মিশিয়ে দিন। ১৫ দিন পর আরগুলাস দমন না হলে পুনরায় একই হারে ওষুধটি প্রয়োগ করতে পারেন।

এ ছাড়া বড় মাছের গায়ে ক্ষতরোগ হতে পারে, ফুলকা ও পাখনায় পচন রোগ দেখা যেতে পারে কিংবা চোখ ফোলা রোগও দেখা যেতে পারে। এ রোগগুলো দমনের জন্য সালফাজল অ্যাসিড অথবা সালফাজিন নামক ওষুধের যে কোনো একটি ১০০ গ্রাম প্রতি কেজি পরিপূরক খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে পুকুরের মাছকে ৫-৭ দিন খেতে দিন। মাছের রোগের নিরাময় হবে।

তারপর পুকুরে ১৩-২০ কেজি চুন প্রতি বিঘা হারে প্রয়োগ করতে হবে। পুকুরের পানিকে শোধন করার জন্য বিঘাপ্রতি ৬৫০ গ্রাম কেএমএনও-৪ ওষুধ পানিতে গুলে পুকুরে দিতে পারেন।

সূত্র: কৃষি তথ্য সার্ভিস।

এসি/ আই.কে.জে

প্রতিকার মাছের রোগ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250