ছবি: সংগৃহীত
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি দাবি করেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শুধু ইউক্রেনেই সীমাবদ্ধ থাকবেন না, তিনি শিগগিরই ইউরোপের আরেকটি দেশে হামলা চালাতে পারেন। জেলেনস্কির মতে, সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ড্রোন প্রবেশ ও আকাশসীমা লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটিয়ে রাশিয়া মূলত ন্যাটোর প্রতিরক্ষা সক্ষমতা যাচাইয়েরই চেষ্টা করছে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর কিয়েভে ফিরে জেলেনস্কি বলেন, ‘পুতিন ইউক্রেনে যুদ্ধ শেষ হওয়ার অপেক্ষা করবেন না। তিনি নতুন ফ্রন্ট খুলে দেবেন, কোথায় তা কেউ জানে না।’
আজ রোববার (২৮শে সেপ্টেম্বর) গার্ডিয়ান জানিয়েছে, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ডেনমার্ক, পোল্যান্ড, রোমানিয়া ও এস্তোনিয়ার আকাশে রাশিয়ার ড্রোন ও যুদ্ধবিমানের উপস্থিতি ধরা পড়েছে। গত ২৬শে সেপ্টেম্বর রাতে ডেনমার্কের একটি সামরিক ঘাঁটির ওপরে এবং ২৭শে সেপ্টেম্বর নরওয়ের একটি ঘাঁটির ওপরে ড্রোন দেখা গেছে।
জেলেনস্কি জানান, ইউরোপের দেশগুলো এখনো নতুন এই হুমকি মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে। চলতি মাসের শুরুতে ইউক্রেন ৯২টি ড্রোন পোল্যান্ডের দিকে ধাবিত হতে দেখেছে। এর বেশির ভাগ প্রতিহত করা হলেও ১৯টি পোল্যান্ডে ঢুকে পড়ে এবং চারটি গুলি করে নামানো হয়।
জেলেনস্কি আরও জানান, কয়েকটি দেশের প্রতিনিধি শিগগিরই ইউক্রেনে গিয়ে রাশিয়ার আকাশপথ আক্রমণ মোকাবিলার বাস্তব প্রশিক্ষণ নেবেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে প্রস্তুত।’
ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে জেলেনস্কি বলেন, আলোচনা ছিল ‘খুবই ইতিবাচক’। বৈঠকের পর ট্রাম্প মন্তব্য করেন, ইউরোপ ও ন্যাটোর সমর্থনে ২০২২ সালের পর থেকে হারানো অঞ্চলগুলো ইউক্রেন পুনরুদ্ধার করতে পারবে। ট্রাম্প আরও বলেন, রাশিয়ার অর্থনীতি বড় সংকটে রয়েছে এবং তাদের সেনাবাহিনী আসলে ‘কাগুজে বাঘ’।
খবরটি শেয়ার করুন