বৃহস্পতিবার, ৩১শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৬ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** এই সরকারের এক্সিট পলিসি চিন্তা করার সময় এসেছে: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য *** জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় সব পদক্ষেপ নেবে নয়াদিল্লি *** ইসরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা চান দেশটির ৩১ বিশিষ্ট নাগরিক *** এক সাপুড়ের প্রাণ নেওয়া সাপকে চিবিয়ে খেলেন আরেক সাপুড়ে *** তিন বাহিনীর প্রধান নিয়োগ রাষ্ট্রপতির হাতে রাখার প্রস্তাব *** ডাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্যানেল দিচ্ছেন উমামা, যোগদানের আহ্বান ফেসবুকে *** ১৫ই আগস্টের মধ্যে চাকসুর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা *** ‘প্রিয় বন্ধু’ ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের *** আইন ও বিচার বিভাগে পদায়ন বিধিমালা জারি *** এনসিপির অনুরোধে সমাবেশের স্থান পরিবর্তন ছাত্রদলের

কেমন দিনে মন ফুরফুরে থাকে- মেঘলা, না রৌদ্রোজ্জ্বল?

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৫:৪৬ অপরাহ্ন, ৩০শে এপ্রিল ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

সূর্য আলো ছড়ালে আমরা খোশমেজাজে থাকি। অর্থাৎ, রৌদ্রোজ্জ্বল দিন সুখানুভূতি দেয়। আর এ বিষয়ে গবেষণার ফলাফলও উল্টো পথে যায়নি। আমেরিকার ব্রিগহাম ইয়ং ইউনিভার্সিটির এক গবেষণা এ কথাই বলছে। 

এতে জানা যায়, মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির ক্ষেত্রে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের মধ্যবর্তী সময়ের স্থায়ীত্ব অন্যান্য আবহাওয়ার পরিবর্তনগুলোর চেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

এ গবেষণার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন একজন মনোবিজ্ঞানী, পদার্থবিদ ও পরিসংখ্যানবিদ। তারা দেখেছেন রৌদ্রোজ্জ্বল ও মেঘাচ্ছন্ন দিন, তাপমাত্রা, বৃষ্টি ও দূষণের সঙ্গে ব্যক্তির আবেগ ও অনুভূতি কীভাবে যুক্ত। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব দিন তেমন রোদ থাকে না, সেসব দিনে মানসিক যন্ত্রণায় ভোগার আশঙ্কা বেশি থাকে।

গৎবাঁধা তরিকায় কমবেশি সবাই ভাবায় বিশ্বাসী যে, গরমে তীব্র ঘাম, বৃষ্টি ও ভারী দূষণের দিনগুলোয় আমরা খারাপ বোধ করি বা এসব দিন আমাদের বিষণ্নতায় ভরিয়ে দেয়। কিন্তু এ গবেষণায় বিস্ময়কর তথ্য জানা গেছে যে, সূর্যের আলো গায়ে পড়লেই মিলিয়ে যায় বিষণ্নতা। 

দিন ছোট হয়ে গেলে যখন সূর্যের আলো দেওয়ার সময়টি কমে আসে, তখনই মানসিক অবসাদ কাজ করতে থাকে। রৌদ্রতাপ সহ্য করার চেয়ে দিনের আলোর কম স্থায়ীত্ব বেশি মানসিক পীড়া দেয় মানুষকে। আর এ কারণেই শীতের সময় বিষণ্নতা কাজ করে। এ সময় সাইকোথেরাপিস্টদের কাজও বেড়ে যায়।

গবেষণা বলছে, ঋতু বা আবহাওয়ার সঙ্গে কখনো কখনো মুড সুইং হয়। এখানে কিছু যুক্তি রয়েছে। বিশেষত শীতের দিকে সূর্যের আধিপত্য কম থাকে, তখন শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেমিক্যাল, যাকে আমরা সেরোটোনিন বলি, তার মাত্রা কমে যায়।

এ সেরোটোনিনের মাত্রা কমে গেলে বিষণ্নবোধ হতে পারে। আর এ কারণে অনেক সময় রোদে দাঁড়িয়ে থাকতে বলা হয়। ত্বকে রোদ পড়লে সেরোটোনিনের স্তর বাড়ে। এ স্তর যত বাড়ে, তত বেশি মন ভালো থাকে। এটা হচ্ছে মূল বিষয়।

এইচ.এস/

মন

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন