ছবি: সংগৃহীত
এবারের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের আগে নিলাম থেকে রেকর্ড ২৭ কোটি রুপি দিয়ে ঋষভ পন্তকে কিনেছেন গোয়েঙ্কা। দাম আরও বেশি উঠলেও পন্তকেই নিতেন, এমনও বলেছিলেন লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের মালিক। সেই পন্ত মাঠে নামার পর প্রথম তিন ম্যাচে আউট হয়েছেন ০, ১৫ ও ২ রানে। খবর বিসিসিআই।
পন্তের মতো ব্যাটসম্যান আর হতাশ করবেন না বলে যারা আশাবাদী ছিলেন, চতুর্থ ম্যাচে তাদের লজ্জাতেই ফেলেছেন পন্ত। গতকাল (৪ঠা এপ্রিল) লক্ষ্ণৌতে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের বিপক্ষে বাহাতি এ ব্যাটসম্যান ৬ বল খেলে হার্দিক পান্ডিয়ার নিরীহ এক বলে ক্যাচ তুলেছেন।
ঋষভ পন্তের এমন পারফরম্যান্স দেখে ক্যামেরা খুঁজে নিল গোয়েঙ্কাকে। লক্ষ্ণৌ মালিক নিজেও হয়তো জানতেন সবাই তার দিকে তাকিয়ে। প্রথমে নির্লিপ্ত থাকার চেষ্টা করলেন। পরে হেসেই দিলেন।
ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত লক্ষ্ণৌ জিতলেও (১২ রানে) পন্তের টানা চতুর্থ ব্যর্থতার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার দাম নিয়ে আবারও হাসিঠাট্টা শুরু হয়েছে। ক্রিকেটবিষয়ক কিছু সাইট বসে গেছে পন্তের রানকে দামের পাল্লায় মাপামাপিতে। যেমন ওয়ানক্রিকেট একটা হিসাব কষে বের করেছে, পন্তের প্রতিটি রানের দামে ৪৭টি রয়্যাল এনফিল্ড মোটরসাইকেল কেনা যাবে।
দিল্লি ক্যাপিটালস ছেড়ে নিলামে ওঠা পন্ত গত বছরের মেগা নিলামে পেয়েছেন ২৭ কোটি রুপি দাম, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৮ কোটি টাকার বেশি। এর বাইরে ম্যাচ ফিও পাবেন তিনি। তবে নিলামে যে দাম উঠেছে, সে অনুসারে ৪ ম্যাচে তাঁর পাওনা ৭ কোটি ৭১ লাখ বা প্রায় ১১ কোটি রুপি। এই চার ম্যাচে পন্তের ব্যাট থেকে এসেছে মোট ১৯ রান। অর্থ্যাৎ পন্তের কাছ থেকে প্রতি ৫৭ লাখ টাকায় ১ রান করে পেয়েছে লক্ষ্ণৌ।
ওয়ানক্রিকেট মজার ছলে লিখেছে, পন্তের কাছ থেকে ফেরারি গাড়ির দামে অটোরিকশার পারফরম্যান্স পাচ্ছে লক্ষ্ণৌ। অর্থনীতির ভাষায় দলটি এরই মধ্যে ৪ ম্যাচে ৬.৬৭ কোটি রুপি সুযোগ ব্যয় (অপরচুনিটি কস্ট) লোকসান করেছে। যে ধারা চলতে থাকলে সুযোগ ব্যয়ের ক্ষতি দাঁড়াবে ২৩ কোটি রুপি পর্যন্ত।
আরএইচ/
খবরটি শেয়ার করুন