মঙ্গলবার, ২৯শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৪ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** প্রেস কাউন্সিলের সদস্য হলেন মাহফুজ আনাম, নূরুল কবীরসহ ১২ জন *** ইসরায়েলি দুই মন্ত্রীকে নেদারল্যান্ডসে ঢুকতে দেবে না দেশটির সরকার *** ডাকসু নির্বাচন ৯ই সেপ্টেম্বর *** আর কাউকে প্রতীকী মূল্যে জমি দেবে না সরকার: অর্থ উপদেষ্টা *** প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের ৩৪ হাজার শুন্য পদ পূরণে উদ্যোগ *** প্রাথমিক পর্যায়ে ঐকমত্যের খসড়া আজকালের মধ্যে পাবে রাজনৈতিক দলগুলো: আলী রীয়াজ *** মাইলস্টোনে বিধ্বস্ত যুদ্ধবিমানটি নিয়ে এখনই মন্তব্য সমীচীন নয়—বললেন রাষ্ট্রদূত *** মানুষের নিরাপত্তা দিতে না পারলে সংস্কার কাজে আসবে না: ফখরুল *** রাঙামাটিতে ইউপিডিএফের আস্তানায় সেনা অভিযান, অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার *** আড়াই লাখ মানুষ ঘর ছাড়া হওয়ার পর যুদ্ধবিরতিতে রাজি থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া

যেখানে শসার কেজি ১ টাকা

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০২:৪৬ অপরাহ্ন, ১৭ই এপ্রিল ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

রমজান আসতে না আসতেই বাজারে শসার চাহিদা স্বাভাবিক দরের চেয়ে বেড়ে যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম ছিল না। তবে রমজান শেষ হওয়ার কয়েকদিন পর থেকেই হুট করে বাজারে শসার দাম কমে গেছে। এদিকে শসা উৎপাদন করে ন্যায্য দাম না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার শসা চাষিরা। 

কয়েক দিন আগে ভালো দাম পেলেও বর্তমানে শসার দাম কমে যাওয়ায় খানসামা উপেজেলার পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ১ থেকে দেড় টাকায়।

শসা চাষিদের অভিযোগ, ১০ থেকে ১৫ দিন আগে বাজারে শসার দাম ভালো থাকলেও গত সপ্তাহ থেকে দাম কমতে শুরু করে। রমজানের শুরুতে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি শসা ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি করলেও কয়েক দিন ধরে প্রতি কেজি শসা এক থেকে দেড় টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা কেজি দরে। এতে লোকসান গুণছেন শসা চাষিরা।

খানসামার ভাবকি ইউনিয়নের চাকিনীয়া গ্রামের কৃষক সাকিব বলেন, কষ্টে উৎপাদিত ৫০ কেজি এক বস্তা শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি করতে কষ্টে আমাদের বুক ফেটে যাচ্ছে। শসার ফলন ভালো হলেও বর্তমান বাজারে দাম না থাকায় খরচের টাকাও তুলতে পারছি না। শসা ছিঁড়তে যে খরচ, সে টাকাই তো উঠছে না। শসা চাষ করে লাভ তো দূরের কথা খরচও উঠল না।

কৃষক এনামুল হক বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে সবজির দাম চড়া থাকায় বড় আশা করে শসা চাষ করেছিলাম। এখন এক টাকা কেজি দরে শসা বিক্রি করতে হচ্ছে। এক বিঘা জমিতে শসা চাষ করতে খরচ হয় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। আশা ছিল শসার ফলন ভালো হয়েছে, ভালো দাম পাব। কিন্তু রমজান শেষে পাইকাররা শসা কিনতে চাচ্ছে না। এরই মধ্যে আমার ৩০ হাজার টাকা লস হয়েছে।

আরও পড়ুন: ৮ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল : মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী

পাইকারি ব্যবসায়ী আরিফুল হক বলেন, বাজারে শসার ব্যাপক সরবরাহ রয়েছে। ক্রেতাদের চাহিদা না থাকায় শসার দাম নেই বললেই চলে। আজ ১ টাকা কেজি দরে শসা কিনেছি।

খানসামা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা ইয়াসমিন আক্তার গণমাধ্যমকে বলেন, এ বছর খানসামা উপজেলায় ৫০ হেক্টর জমিতে শসা চাষ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ জমির ফসল তোলা হয়েছে। চাহিদার বিপরীতে বাজারে শসার সরবরাহ কয়েক গুণ বেশি হওয়ায় বাজারের শসার দাম কমে গেছে। কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। পাইকাররা জমি থেকে মাত্র ১ টাকা থেকে ২ টাকা কেজি দরে শসা কিনে খুচরা বাজারে তা ১০ টাকায় বিক্রি করছেন।

এসকে/ 

কৃষক শসা

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন