ফাইল ছবি (সুখবর)
অমর একুশে বইমেলার ১১তম দিন ছিল মঙ্গলবার (১১ই ফেব্রুয়ারি)।এদিন মেলা শুরু হয় বিকেল ৩টায়। মেলা চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে মেলায় নতুন বই এসেছে ৯১টি।
এদিন বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘আদর্শায়িত কল্পলোক ও শাহেদ আলীর দ্বিধাচিত্ত মন’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শিবলী আজাদ। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মোস্তাক আহমাদ দীন। সভাপতিত্ব করেন চঞ্চল কুমার বোস।
শিবলী আজাদ বলেন, শাহেদ আলীর গল্পে যেমন দার্শনিক প্রতীতি রূপায়ণের চেষ্টা রয়েছে, তেমনি রয়েছে সামাজিক বৈষম্য আর অনাচার ফুটিয়ে তোলার প্রয়াস। তার রচনাগুলো উত্তাল সময়, ঝঞ্ঝা—বিক্ষুব্ধকালের বৌদ্ধিক ও নান্দনিক প্রতীতির প্রতি লেখকের এক ধরনের প্রতিক্রিয়া। সমকালের অন্যান্য লেখকের মতো তিনি উচ্চকন্ঠী নন। তার গল্পে নেই হুল্লোড় কিংবা মতাদর্শিক উচ্ছ্বাস। বিমূর্ত দার্শনিকতা ও সৌন্দর্য অনুসন্ধান শাহেদ আলীর লেখার গুরুত্বপূর্ণ এক বৈশিষ্ট্য। তার গল্পে উঠে আসে গ্রামীণ মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত, হতদরিদ্র প্রান্তিক চাষি এবং শহুরে মুটে—ভিখিরি চরিত্রগুলো। শিল্পের দাবি অক্ষুণ্ণ রাখার ক্ষেত্রে শাহেদ আলী যথেষ্ট সফল একজন লেখক।
আলোচক মোস্তাক আহমাদ দীন বলেন, রাজনীতি—সচেতন সক্রিয় ব্যক্তিত্ব শাহেদ আলী সাহিত্যের বিভিন্ন অঙ্গনে তার প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। তবে তার রাজনৈতিক ও সৃষ্টিশীল জীবনকে কখনও একাত্ম করেননি। এমনকি তার গল্পের মধ্যে কঠোর নীতিবোধও আরোপ করেননি। তার রচনায় জীবনবাস্তবতার যে চিত্র তিনি এঁকেছেন সেখানে নিম্ন ও নিম্ন—মধ্যবিত্ত শ্রেণির উপস্থিতিই আমাদের চোখে পড়ে। ভাষার ক্ষেত্রে তিনি লোকজ, আরবি, ফারসি, উদুর্ শব্দরাজিকে সাবলীলভাবে তার সাহিত্যে স্থান দিয়েছেন।
সভাপতির বক্তব্যে চঞ্চল কুমার বোস বলেন, শাহেদ আলীর রচনায় বাংলার কৃষিভিত্তিক জীবনের ছন্দ, সুর, কথা ও উপকথা ধরা পড়ে। তার লেখার অনুষঙ্গ হলো সাধারণ বাঙালি ঘরের সাংস্কৃতিক উপকরণ। তার বিস্তৃত সাহিত্যকর্ম নিবিড় পাঠ ও গভীর পর্যালোচনার দাবি রাখে।
ওআ/কেবি
খবরটি শেয়ার করুন