সোমবার, ২৮শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৩ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘জুনের মধ্যে গতি ফিরে পাবে দেশের শেয়ারবাজার’

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৪:৫৩ অপরাহ্ন, ১৮ই জানুয়ারী ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

আগামী জুন মাসের মধ্যে দেশের পুঁজিবাজার গতি ফিরে পাবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলাম। 

তিনি বলেন, দীর্ঘদিনের অনিয়ম-দুনীতির বিষয়ে টাক্সফোর্স কাজ করছে। ইতিমধ্যে সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। জুনের মধ্যে সব সংস্কারগুলো শেষ হবে না। তবে কিছু কিছু সংস্কার হয়ে যাবে, যা বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে সহায়তা করবে। বিনিয়োগকারী বিশ্বাস করতে শুরু করবে যে, সংস্কার হচ্ছে। পুঁজিবাজারে দীর্ঘস্থায়ী বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি হবে। এখানে অন্যায় করে ছাড় পাওয়া যাবে না, সেই আস্থা ফিরবে। ফলে জুন নাগাদ সংষ্কারের কিছু বিষয় বাজারে ইতিবাচক বার্তা দিতে পারে। আমরা আশা করছি জুন নাগাদ শেয়ারবাজারে ভালো অবস্থা দেখতে পারবো। 

শনিবার (১৮ই জানুয়ারি) ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) আয়োজিত ‘সিএমজেএফ টক’ এ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলাম এ কথা বলেন।

সিএমজেএফ সভাপতি এস এম গোলাম সামদানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আবু আলী।

সাংবাদিকদের প্রশ্ন ও অতিথির বক্তব্যভিত্তিক এ অনুষ্ঠানে ডিএসই চেয়ারম্যান বলেন, দেশের অর্থনীতিতে প্রকৃত বিনিয়োগ না হলে শেয়ারবাজারেও বিনিয়োগ বাড়বে না। ব্যাংক, সঞ্চয়পত্র ও ট্রেজারি বিল-বন্ডের উচ্চ সুদ, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তাসহ নানা কারণে বর্তমানে বিনিয়োগে কিছুটা স্থবিরতা বিরাজ করছে। প্রকৃত বিনিয়োগে যতটা খরা, তার চেয়ে বেশি খরা শেয়ারবাজারে। কারণ, অতীতের নানা অনিয়ম, অসংগতি ও আর্থিক ক্ষতির কারণে শেয়ারবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীরা সেভাবে আস্থাশীল হতে পারছেন না। তাই বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে একগুচ্ছ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে ডিএসই। এসব কার্যক্রমের বাস্তবায়নও শুরু হয়ে গেছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে কিছু দৃশ্যমান পরিবর্তন দেখা যাবে। 

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মমিনুল ইসলাম বলেন, শেয়ারবাজারে আস্থা ফেরাতে ডিএসইর বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ চারটি কাজে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এগুলো হলো সরকারের দিক থেকে শেয়ারবাজারের জন্য আলাদা কর প্রণোদনার ব্যবস্থা করা, দেশি-বিদেশি কিছু ভালো কোম্পানিকে যত দ্রুত সম্ভব বাজারে আনা, ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণাত্মক ঋণহিসাব বা নেগেটিভ ইকুইটি সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা এবং শেয়ারবাজারে সুবিধাভোগী (ইনসাইডার) লেনদেন ও কারসাজি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

ডিএসইর চেয়ারম্যান বলেন, যে কোনো সংস্কার কার্যক্রম একটি চলমান প্রক্রিয়া। বাজারে আইনকানুনসহ অনেক কিছুরই সংস্কার করতে হবে। সংস্কারকে বেশি প্রাধান্য দিতে গিয়ে বিনিয়োগকারীরা যাতে বাজারবিমুখ হয়ে না পড়েন, সেটিকেও মাথায় নিতে আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কিছু সংস্কারের কাজ করছি। আমরা কৃত্রিমভাবে বা শর্টকাট পদ্ধতিতে কাজ করে বাজারকে টেনে তুলতে চাই না। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সব ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও পেশাদারি নিশ্চিত করার মাধ্যমে স্টক এক্সচেঞ্জের ভিত্তি মজবুত করা। 

শান্তনু/কেবি


শেয়ারবাজার

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন