২০২৩ সালের শেষ দিকে ইসরায়েলি হামলায় নিহত এক শিশুর পাশে তার মায়ের আহাজারি। ছবি: এএফপি
গাজায় দীর্ঘ কয়েক মাসের ইসরায়েলি অবরোধের পর যখন দুর্ভিক্ষে মানুষ প্রাণ হারানো শুরু করেছে, ঠিক তখনই আন্তর্জাতিক চাপের মুখে অঞ্চলটিতে ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে ইসরায়েল। পাশাপাশি, আবারও আকাশপথে উড়োজাহাজ থেকেও ত্রাণ ফেলা শুরু হয়েছে। আমেরিকার সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক চাপ ও গাজার বাসিন্দাদের দুর্ভিক্ষের পরিপ্রেক্ষিতে অবশেষে সহায়তা পাঠানো শুরু হয়েছে ফিলিস্তিনের গাজার উদ্দেশে। আজ রোববার (২৭শে জুলাই) সকালে মিসরের রাষ্ট্র পরিচালিত টেলিভিশন আল-কাহেরা নিউজ জানিয়েছে, ত্রাণ সহায়তা বহনকারী ট্রাকগুলো গাজার দিকে রওনা হয়েছে।
এদিকে, ইসরায়েল জানিয়েছে—তারা গতকাল শনিবার থেকেই গাজায় আকাশপথে ত্রাণ ফেলা শুরু করেছে এবং মানবিক সংকট লাঘবে আরও কয়েকটি পদক্ষেপ নিচ্ছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, জাতিসংঘের ত্রাণবহরের নিরাপদ চলাচলের জন্য ‘মানবিক করিডোর’ চালু করা হবে এবং ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ‘মানবিক বিরতি’ কার্যকর করা হবে।
আল-কাহেরার প্রতিবেদকের ভাষ্য অনুযায়ী, রাফা সীমান্ত থেকে কয়েক ডজন ট্রাক গাজার দক্ষিণ প্রান্তের কারেম শালোম ক্রসিংয়ের দিকে অগ্রসর হয়েছে। ট্রাকগুলোতে ত্রাণসামগ্রী রয়েছে। আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলো জানিয়েছে, গাজার ২২ লাখ মানুষ চরম খাদ্যসংকটে রয়েছে। মার্চে ইসরায়েল গাজায় সব ধরনের সরবরাহ বন্ধ করে দিলে খাদ্য ফুরিয়ে যেতে শুরু করে। পরে মে মাসে সীমিত সরবরাহ আবার চালু হয় নতুন বিধিনিষেধসহ।
খবরটি শেয়ার করুন