ছবি: সংগৃহীত
যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা নিয়ে আলোচনা করতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে এক বৈঠকে অংশ নিয়েছেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার। আজ বৃহস্পতিবার (২৮শে আগস্ট) দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
২০০৭ সালে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর ব্লেয়ার মধ্যপ্রাচ্যের বিশেষ দূত হিসেবে দায়িত্ব নেন এবং ২০১৫ সাল পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এ সময় জেরুজালেমে অবস্থান কালে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান নিয়ে একটি পরিকল্পনা প্রণয়নের চেষ্টা করেছিলেন টনি ব্লেয়ার।
গতকাল বুধবার (২৭শে আগস্ট) ওয়াশিংটন ডিসিতে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন লেবার পার্টির ৭২ বছর বয়সী সাবেক এই নেতা। অ্যাক্সিওস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ট্রাম্পের জামাতা ও সাবেক শীর্ষ উপদেষ্টা জ্যারেড কুশনারও বৈঠকে ছিলেন।
ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ বলেন, আমেরিকা যুদ্ধ-পরবর্তী দিনগুলোর জন্য একটি ব্যাপকভাবে বিস্তৃত পরিকল্পনা তৈরি করছে। গত মঙ্গলবার (২৬শে আগস্ট) ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।
উইটকফ জানান, তিনি বিশ্বাস করেন আগামী চার মাসের মধ্যে গাজা যুদ্ধের ইতি টানা সম্ভব। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এই বিষয়টি অবশ্যই এ বছর শেষ হওয়ার আগেই মীমাংসা করব, যেভাবেই হোক।’
যুদ্ধ-পরবর্তী গাজার প্রশাসন নিয়ে পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাইলে উইটকফ বলেন, “আমরা ‘পরবর্তী দিন’-এর কথা মাথায় রেখে বিস্তৃত একটি পরিকল্পনা সাজাচ্ছি। যা দেখে মানুষ বুঝতে পারে এটি কতটা সুদৃঢ় ও কল্যাণমূলক। আর এটি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মানবিক উদ্দেশ্যকেও প্রতিফলিত করে। ”
তবে আলোচনায় থাকা প্রস্তাবগুলোর কোনো বিস্তারিত এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্পষ্ট করে বলেছেন যে তিনি যুদ্ধের সমাপ্তি এবং এই অঞ্চলের সবার জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি চান।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ওয়াশিংটনে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিয়ন সা’আর-এর সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
গতকাল (২৭শে আগস্ট) বুধবার গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় অনাহারে ১০ জন ফিলিস্তিনি মারা গেছেন, যার মধ্যে দুজন শিশু। গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এবং ইসরায়েলের অবরোধ তীব্র করার পর থেকে ১১৯ জন শিশুসহ কমপক্ষে ৩১৩ জন অনাহারে মারা গেছেন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলা ও গোলাবর্ষণে গাজা জুড়ে অন্তত ৭৬ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন