শুক্রবার, ২৭শে জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১২ই আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফিলিস্তিনের পক্ষে থাকায় অস্ট্রেলিয়ান সাংবাদিক পিটার লালোরকে...

স্পোর্টস ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৭:২৯ অপরাহ্ন, ২৬শে জুন ২০২৫

#

অস্ট্রেলিয়ান সাংবাদিক পিটার লালোর। ছবি: সংগৃহীত

বার্বাডোজের ব্রিজটাউনে গতকাল বুধবার (২৫শে জুন) শুরু হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ–অস্ট্রেলিয়া প্রথম টেস্ট। দিনের খেলা শেষে উসমান খাজার সাক্ষাৎকার নিতে চেয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার রেডিও স্টেশন এসইএন। তবে সংবাদমাধ্যমটির মাইক্রোফোন দেখে কথা বলতে রাজি হননি ৩৮ বছর বয়সী ওপেনার।

এসইএনকে সাক্ষাৎকার দিতে খাজার অস্বীকৃতি জানানোর ঘটনাকে সাংবাদিক পিটার লালোরের সমর্থনে এক ধরনের নীরব প্রতিবাদ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ফিলিস্তিনের পক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেওয়ার কারণে গত ফেব্রুয়ারিতে লালোরকে চাকরিচ্যুত করে রেডিও স্টেশনটি।

২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলের হামলার সময় থেকেই ফিলিস্তিনের পক্ষে সরব উসমান খাজা। গাজায় চলমান সংকটের কঠোর নিন্দা জানিয়ে আসছেন তিনি। সে বছরই পাকিস্তানের বিপক্ষে পার্থ টেস্টে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থনের স্লোগানসংবলিত জুতা পরে খেলতে চেয়েছিলেন খাজা। জুতায় লেখা ছিল ‘স্বাধীনতা একটি মানবাধিকার’ ও ‘সবার জীবনই গুরুত্বপূর্ণ’।

কিন্তু বিষয়টিকে ‘রাজনৈতিক’ হিসেবে বিবেচনা করে তাকে স্লোগানসংবলিত লেখা নিয়ে খেলার অনুমতি দেয়নি আইসিসি। সেই ম্যাচ চলাকালে তাকে কালো বাহুবন্ধনী পরে থাকতেও দেখা যায়। এতে আইসিসি তার বিরুদ্ধে নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ আনে এবং ন্যূনতম শাস্তি হিসেবে ভর্ৎসনা করে।

অস্ট্রেলিয়ান সাংবাদিক পিটার লালোর দীর্ঘ সময় এসইএনে ধারাভাষ্যকার ও উপস্থাপক হিসেবে কাজ করেছেন। গত ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়া দলের শ্রীলঙ্কা সফরের সময় লালোর গাজার অবরুদ্ধ ও নিরস্ত্র মানুষের ওপর ইসরায়েলের বর্বরতার সংবাদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেন এবং লেখেন, ‘নিরস্ত্র–নিরীহ মানুষদের হত্যার পর আমি শান্ত থাকতে পারি না। আমি নিজেকে একজন সহানুভূতিশীল মানুষ মনে করি। নিরীহ মানুষদের হত্যা করা হলে অথবা তাদের মুত্যুর মুখে ঠেলে দিলে আমি তাদের পক্ষেই দাঁড়াব।’

লালোরের এ পোস্টকে অস্ট্রেলিয়ার ইহুদি সম্প্রদায়ের জন্য পীড়াদায়ক দাবি করে তাকে ছাঁটাই করে এসইএন কর্তৃপক্ষ। লালোর চাকরি হারানোর পর প্রকাশ্যে তার পক্ষে কথা বলেন উসমান খাজা, ‘গাজার মানুষের পাশে দাঁড়ানো মানে ইহুদিবিদ্বেষ নয় এবং এর সঙ্গে আমার অস্ট্রেলিয়ার ইহুদি ভাই-বোনদের কোনো সম্পর্ক নেই। এ প্রতিবাদ শুধু ইসরায়েলি সরকারের কার্যকলাপ নিয়ে।’

এবার এসইএনকে সাক্ষাৎকার দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে খাজা আরেক দফা সাংবাদিক লালোরের পাশে দাঁড়ালেন। ব্রিজটাউন টেস্টে কাল প্রথম দিনের খেলা শেষে এসইএনের ধারাভাষ্যকার ভরত সুন্দরেসান ও অ্যাডাম কলিন্স খাজার সঙ্গে কথা বলতে এগিয়ে যান। তাদের কাছে থাকা মাইক্রোফোনে খাজা এসইএনের লোগো দেখে হাত তুলে অস্বীকৃতি জানান এবং চুপচাপ হেঁটে চলে যান। ঘটনাটির ব্যাপারে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) এখনো কোনো বিবৃতি দেয়নি।

সাংবাদিক

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন