ছবি - সংগৃহীত
আজ ৫ই অক্টোবর ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’। দিনটি ‘ওয়ার্ল্ড টিচার্স ডে’, ‘ইন্টারন্যাশনাল টিচার্স ডে’ বা ‘আন্তর্জাতিক শিক্ষক দিবস’ নামেও পরিচিত। শিক্ষকরা হলেন মানুষ গড়ার কারিগর। তাঁরা বিভিন্ন বিষয়ে পাঠদান করে আমাদের জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে সাহায্য করেন। সেইসব শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রতিবছর দিবসটি পালন করা হয়। বাংলাদেশসহ পুরো বিশ্বের শিক্ষকদের সম্মানে পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস।’
প্রতি বছর ভিন্ন ভিন্ন প্রতিপাদ্যে উদযাপন করা হয় দিনটি। ইউনেস্কো এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে ‘শিক্ষকের কণ্ঠস্বর: শিক্ষায় নতুন সামাজিক অঙ্গীকার’।
শিক্ষকরা শুধু পড়ালেখা শেখানোই নয়, পাশাপাশি জীবন গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। একজন আদর্শ মানুষ হতে নানা উপদেশ দেয়া, নৈতিকতা শেখানো, প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করতেও শেখান। আর এই শিক্ষকদের অধিকার আদায় ও সম্মাননা হিসেবেই পালন করা হয় বিশ্ব শিক্ষক দিবস।
১৯৯৪ সালে জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থা ইউনেস্কোর ২৬তম অধিবেশনে গৃহীত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে ৫ই অক্টোবর ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’ হিসেবে পালনের ঘোষণা দেয়া হয়। এরপর থেকে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর অনেক দেশেই প্রতি বছরের ৫ই অক্টোবর যথাযোগ্য মর্যাদায় বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত হয়ে আসছে। অনেক দেশে দিবসটি ভিন্ন ভিন্ন তারিখে পালিত হয়। যেমন: ভারতে শিক্ষক দিবস পালিত হয় ৫ই সেপ্টেম্বর। অস্ট্রেলিয়ায় অক্টোবর মাসের শেষ শুক্রবার শিক্ষক দিবস হিসেবে পালিত হয়। শেষ শুক্রবার যদি ৩১ অক্টোবর হয়, তা হলে ৭ নভেম্বর শিক্ষক দিবস পালিত হয়। ভুটান শিক্ষক দিবস পালন করে ২রা মে, ইন্দোনেশিয়া ২৫শে নভেম্বর, মালয়েশিয়া ১৬ই মে, ইরান ২রা মে, ইরাক ১লা মার্চ, আর্জেন্টিনা ১১ই সেপ্টেম্বর, ব্রাজিল ১৫ই অক্টোবর, চীন ১০ই সেপ্টেম্বর, তাইওয়ান ২৮শে সেপ্টেম্বর, থাইল্যান্ড ১৬ই জানুয়ারি, সিঙ্গাপুর সেপ্টেম্বরের প্রথম শুক্রবার দিবসটি পালন করে।
শিক্ষক হলেন জাতি গঠনের কারিগর। শিক্ষা হলো জাতির মেরুদণ্ড। আর এই জাতির মেরুদণ্ডের শক্ত ভিত তৈরি করেন একজন শিক্ষক। সব শিক্ষককে যথাযথ মর্যাদা দেওয়া উচিত। কিন্তু অতিসম্প্রতি বেশ কিছু ঘটনায় দেখা গেছে ছাত্রদের হাতে শিক্ষক লাঞ্ছিত হয়েছেন এবং ছাত্ররা জোর করে শিক্ষকদের পদত্যাগে বাধ্য করছেন। এসব ঘটনা মোটেও কাম্য নয়। জাতি হিসেবে লজ্জার।
পৃথিবীতে যত মহৎ লোক আছেন, তাদের কোনো না কোনো শিক্ষকের অধীনে জ্ঞান অর্জন করতে হয়েছে। তাই পৃথিবীতে যতগুলো পেশা আছে তার মধ্যে শিক্ষকতা সর্বোচ্চ সম্মানিত পেশা। শুধু একটি দিনের জন্য নয়, প্রতিটি মুহূর্তেই শিক্ষকের মর্যাদা দিতে হবে। আজ বিশ্বব্যাপী শিক্ষকতা পেশাকে উদযাপন করা হবে এবং জানানো হবে মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষকদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।
আই.কে.জে/