মঙ্গলবার, ৮ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৪শে আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ইরানের ৩০০ কিলোমিটারের মধ্যে ঢুকতে পারবে না ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান *** ব্রাজিল বিশ্বকাপে খেলার যে সমীকরণ বাংলাদেশের সামনে *** ইংল্যান্ডে দরিদ্র এলাকার শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় ভালো করছে *** যুদ্ধবিরতির মধ্যে চীনের কাছ থেকে ক্ষেপণাস্ত্রের চালান পেল ইরান *** দেশে রেকর্ড খাদ্যশস্য উৎপাদনের সুখবর দিল এফএও *** তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলুপ্তির বিধান বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ *** জি এম কাদেরের দেওয়া ‘অব্যাহতির সিদ্ধান্ত’ মানেন না আনিসুল-রুহুল-চুন্নু *** পদ্মা ব্রহ্মপুত্র যমুনার পানি বাড়ছে *** সিরিয়ায় ক্ষমতাসীন এইচটিএস গোষ্ঠীকে সন্ত্রাসী তালিকা থেকে বাদ দিচ্ছে আমেরিকা *** দক্ষিণ এশিয়ার নতুন আঞ্চলিক জোটের সম্ভাব্য নাম ‘সাকা’, প্রথম সম্মেলন ইসলামাবাদে

হিমাচলে কুকুরের কান্না যেভাবে ৬৭ জনের প্রাণ বাঁচাল

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০২:৪০ অপরাহ্ন, ৮ই জুলাই ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

ব্যাপক বৃষ্টিপাতের কারণে ভারতের হিমাচল প্রদেশে একের পর এক ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। এ ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে এরই মধ্যে প্রদেশটিতে প্রাণ হারিয়েছেন বেশ কয়েকজন। তবে প্রদেশটির মান্ডি জেলায় একটি চমকপ্রদ ঘটনা ঘটেছে। জেলার একটি গ্রামে কুকুর সময়মতো ডাকতে—বলা ভালো কান্না শুরু করায় প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন ২০টি পরিবারের ৬৭ জন মানুষ। খবর এনডিটিভির।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, গত ৩০শে জুন মধ্যরাত থেকে রাত ১টার মধ্যে মান্ডির ধরমপুর এলাকার সিয়াথি গ্রাম পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় ব্যাপক বন্যা ও ভূমিধসের কারণে।

সিয়াথি গ্রামের বাসিন্দা নরেন্দ্র বলেন, ‘আমার বাড়ির দ্বিতীয় তলায় ঘুমিয়ে থাকা কুকুরটি হঠাৎ জোরে ঘেউ ঘেউ করে ডাকতে শুরু করে, এরপর শুরু হয় কান্নার মতো শব্দ। বাইরে তখন প্রবল বৃষ্টি হচ্ছিল। কুকুরের ডাকে ঘুম ভেঙে যায় আমার। কাছে যেতেই দেখি দেয়ালে বড় ফাটল ধরেছে আর বাড়ির ভেতর পানি ঢুকছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে কুকুরটিকে নিয়ে নিচে নেমে আসি এবং আশপাশের সবাইকে জাগিয়ে তুলি।’

নরেন্দ্র এরপর দ্রুত গ্রামে ছুটে গিয়ে অন্যদের জাগিয়ে দেন এবং নিরাপদ স্থানে চলে যেতে বলেন। এমন বৃষ্টি হচ্ছিল যে, কেউই কিছু সঙ্গে নিতে পারেনি, সরাসরি আশ্রয়ের জন্য দৌড় দেন সবাই। কিছুক্ষণের মধ্যেই গ্রামটিতে ভূমিধস শুরু হয় এবং প্রায় এক ডজন বাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়। এখন পুরো গ্রামে মাত্র চার-পাঁচটি বাড়িই চোখে পড়ে, বাকি সবই চাপা পড়ে আছে ভূমিধসের নিচে।

বেঁচে যাওয়া মানুষজন গত সাতদিন ধরে ত্রিয়াম্বালা গ্রামের নৈনা দেবী মন্দিরে আশ্রয় নিয়েছেন। এদিকে এ ভয়াবহ ঘটনার কারণে অনেক গ্রামবাসী উচ্চ রক্তচাপ ও মানসিক চাপে ভুগছেন। দুর্যোগের পর আশপাশের গ্রামের মানুষজন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের মাথাপিছু ১০ হাজার টাকা করে সহায়তা দিচ্ছে।

রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হিমাচল প্রদেশে এ বছরের বর্ষা শুরু হয়েছে ২০শে জুন। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত রাজ্যে অন্তত ৭৮ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৫০ জন ভূমিধস, আকস্মিক বন্যা ও মেঘভাঙা বৃষ্টির মতো বৃষ্টিজনিত ঘটনায় মারা গেছেন আর ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে সড়ক দুর্ঘটনায়।

কুকুর

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন