ছবি: সংগৃহীত
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও শিক্ষক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, ‘অনেকে মনে করেন, জনগণের অধিকার হরণে যে হস্তক্ষেপ করেছিল ভারত, তা থেকে আমেরিকা আমাদের মুক্ত করবে। ভারতের আধিপত্য থেকে আমাদের মুক্ত করার কোনো দায় আমেরিকার নেই।
তিনি বলেন, ‘আমেরিকার দায় ভারতের সঙ্গে সংহতি রেখে নিজের স্বার্থ ও আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করা। আমেরিকা এ অঞ্চলে সাম্রাজ্যবাদ প্রতিষ্ঠার নেতা হিসেবে ভারতকে স্বীকার করে, তার প্রমাণ হচ্ছে তুলসী গ্যাবার্ডের (আমেরিকার গোয়েন্দা প্রধান) বক্তব্য।’
ত্রৈমাসিক জার্নাল সর্বজনকথা’র সম্পাদক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘বাংলাদেশে ভারতের আধিপত্যের কারণে জমিতে, ভূমিতে, আমাদের রাজনীতিতে বিভিন্ন জটিলতায় পড়েছি। এ ছাড়া বাংলাদেশেও আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদের নানা আয়োজন এখন চলছে।’
প্রসঙ্গগত, আমেরিকার ন্যাশনাল ইনটেলিজেন্সের প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড সম্প্রতি ভারতের নয়াদিল্লি সফরের সময় সেখানকার এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশে ‘ধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতনের’ অভিযোগ তুলেছেন। অন্তর্বর্তী সরকার তার বক্তব্যকে ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে উল্লেখ করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছে।
আনু মুহাম্মদ মনে করেন, ‘আরব দেশগুলোর নিষ্ক্রিয়তার কারণে আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদের সহযোগিতা নিয়ে ফিলিস্তিনে গণহত্যা চালানোর সুযোগ পাচ্ছে ইসরায়েল।’
এ প্রসঙ্গে তিনি সুখবরকে বলেন, ‘আজকে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের এক হাত যদি হয় ইসরায়েল, তাহলে তার আরেক হাত আজকে আমরা দেখতে পাচ্ছি সৌদি আরবকে।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘জাতিসংঘ একটি অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। তার ওপর আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বব্যবস্থা কর্তৃত্ব করছিল, যা এখনো করছে। এ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে দেশে দেশে প্রতিরোধ হলেই তার শক্তি দুর্বল হবে।’
তিনি বলেন, ‘এ সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বব্যবস্থা দুর্বল না হলে, তার একটা পতন না হওয়া পর্যন্ত বিশ্বের কোনো মানুষ, কোনো অঞ্চল নিরাপদ নয়, তার সম্পদ নিরাপদ নয়, তার জীবন নিরাপদ নয় এবং তারই একটা বহিঃপ্রকাশ আমরা ফিলিস্তিনে দেখতে পাচ্ছি।’
সাম্রাজ্যবাদকে কখনো বিশ্বাস করা যাবে না জানিয়ে এ অধ্যাপক বলেন, ‘সাম্রাজ্যবাদকে কখনো ছাড় দেওয়া এবং সাম্রাজ্যবাদের ওপর কখনো ভরসা করা যাবে না।’
এইচ.এস/