শুক্রবার, ১লা আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৬ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** থানা হোক ন্যায়বিচারের প্রথম ঠিকানা: আইজিপি *** জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের প্রথম জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ ‘অদম্য-২৪’ উদ্বোধন *** বিশ্ব রেকর্ড গড়ার পর সোনাও জিতলেন ‘ম্যাজিক’ মারশাঁ *** নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ-আ.লীগ নেতাকর্মীদের ‘গোপন বৈঠক’ ঘিরে গ্রেপ্তার ২২, সেনা হেফাজতে এক মেজর *** জুলাই সনদ আইনের ঊর্ধ্বে: সালাহউদ্দিন আহমদ *** ইসিতে আয়-ব্যয়ের হিসাব দিল বিএনপি-জামায়াতসহ ২৯ দল *** সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে পর্তুগাল *** রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হবে উভয় কক্ষের সদস্যদের গোপন ভোটে *** ১৮৫ বছরের পুরোনো বুনো মহিষের শিং পাহাড়পুর জাদুঘরে হস্তান্তর *** প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের ৩৬তম সভা অনুষ্ঠিত

এই গরমে কতটুকু পানি পান করবেন?

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৪:৪৬ অপরাহ্ন, ২৩শে এপ্রিল ২০২৪

#

ছবি: সুখবর

বাইরে প্রচণ্ড তাপদাহ। রোদের প্রখরতায় অনেকেই অসুস্থ হচ্ছে। পানি খাওয়ার প্রবণতাও যেন ঠিকঠাক নিয়মে নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন স্বাভাবিক নিয়মের থেকে এসময় একটু বেশি পানি পান করতে হয়। তবে এই গরমে কতটুকু পানি খাবেন সে বিয়য়ে অনেকেরই অজানা, চলুন জেনে নেওয়া যাক- 

প্রথমত, শরীরে পানির অভাব হচ্ছে কি না, তা বোঝার জন্য আমাদের মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস অংশে পিপাসা কেন্দ্র আছে। যখনই পানির অভাব হয়, এই কেন্দ্র জানান দেয় যে পানি পান করতে হবে। অবশ্য খুব ছোট শিশু ও বৃদ্ধ বা স্মৃতিভ্রম, স্ট্রোকের রোগী বা মানসিক রোগীরা নিজের চাহিদা ভালো করে বুঝতে পারেন না বা প্রকাশ করতে পারেন না। তাই তাদের ক্ষেত্রে চাই সতর্কতা। আমাদের আবহাওয়ায় একজন পূর্ণবয়স্ক পুরুষ বা নারীর দৈনিক সাত থেকে আট গ্লাস পানি পান করলে মোটামুটি চাহিদা মেটে। কিন্তু জ্বর, ডায়রিয়া, বমি, বেশি ঘাম এই চাহিদা বাড়িয়ে দিতে পারে।

দ্বিতীয়ত, পানি বেশি পানও ভালো নয়। ওভারহাইড্রেশন হলে রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা কমে যেতে পারে, কারও আবার শরীর ফুলে যেতেও পারে। কিডনি, যকৃৎ ও হৃদ্‌রোগীদের চিকিৎসক পানি মেপে খেতে বলেন, সে জায়গায় অতিরিক্ত পানি পান করা বিপজ্জনক হতে পারে। 

আরো পড়ুন : এই গরমে শিশুদের নিরাপদ রাখতে কী করবেন?

অ্যাথলেট বা খেলোয়াড়েরা প্রচুর ঘামেন, যাতে লবণপানি দুটিই হারায় শরীর, সে ক্ষেত্রে তারা যদি শুধু বারবার পানি পান করেন, তাহলে রক্তে লবণের ভারসাম্যহীনতা হতে পারে। তাদের উচিত ইলেকট্রোলাইটসহ পানি, ডাবের পানি, স্যালাইন পানি পান করা। 

অথবা শুধু পানির সঙ্গে মাঝেমধ্যে লবণাক্ত স্ন্যাকস খাওয়া। আর কিডনি, যকৃৎ বা হৃদ্‌রোগীরা কতটুকু পানি পান করবেন, তা তাদের প্রস্রাবের পরিমাণের ওপর নির্ভর করে। ২৪ ঘণ্টায় যতটুকু প্রস্রাব হয়েছে, তার চেয়ে ৫০০ মিলিলিটারের মতো বেশি খেলেই হলো।

তৃতীয়ত, পানিশূন্যতা হলে আমাদের মাথা ফাঁকা লাগে, ত্বক ঢিলে হয়ে যায়, চোখ গর্তে ঢুকে যায়। সবচেয়ে বড় কথা, প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায় বা প্রস্রাবের রং গাঢ় হয়। বিশেষ করে শিশুদের এসব লক্ষণ দেখলে বুঝবেন যে পানিশূন্যতা হচ্ছে, পানি পূরণ করতে হবে। আরেকটা কথা, পানির বদলে চিনিযুক্ত ড্রিংকস, কোলা বা জুস খেলে তাতে পানিশূন্যতা দূর হয় না, বরং এগুলো রক্তের ঘনত্ব আরও বাড়ায়।

এস/ আই.কে.জে/


পানি স্বাস্থ্য পরামর্শ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন