প্রতীকী ছবি
১৫৩ জন যাত্রী নিয়ে বিমান তখন মাঝ আকাশে। ঠিক এমন সময় ঘুমিয়ে পড়লেন দুই পাইলট! অবিশ্বাস্য হলেও সত্যিই এ ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছে ইন্দোনেশিয়ার বাতিক এয়ারের এ৩২০ এয়ারবাসের ক্ষেত্রে। তবে কোনো বিপদ ছাড়াই বিমানটি নির্ধারিত গন্তব্যে পৌঁছায় বিমানটি।
রোববার (১০ই মার্চ) ইন্দোনেশিয়ার ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি কমিটির প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। জার্কাতা গ্লোব জানিয়েছে, গত ২৫শে জানুয়ারি বিমানটি ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় সুলাওয়েসি থেকে জাকার্তায় যাচ্ছিল। উড্ডয়নকালে বিমানে দুইজন পাইলট ও চারজন বিমানবালা ছিলেন। কিন্তু মাঝ আকাশে দুই পাইলট ঘুমিয়ে পড়ায় বেশ কিছু ‘নেভিগেশন’ ত্রুটি দেখা দেয়।
যদিও বিমান অবতরণের আগেই ঘুম থেকে জেগে ওঠেন পাইলটরা। প্রায় দুই ঘণ্টা ৩৫ মিনিট পর বিমানটি নিরাপদে অবতরণ করতে সক্ষম হন তারা।
ইন্দোনেশিয়ার পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন সিভিল এভিয়েশনের মহাপরিচালক এম ক্রিস্টি এন্দাহ মুর্নি বলেন, মন্ত্রণালয় এ ঘটনার জন্য বাতিক এয়ারকে ‘কঠোরভাবে তিরস্কার’ করেছে। এয়ারলাইন্সগুলোকে তাদের পাইলট ও বিমানবালাদের বিশ্রামের ব্যাপারে আরো সচেতন হতে হবে।
আরো পড়ুন: প্রথম তারাবিতে আল আকাসায় মুসল্লিদের ঢল
তদন্ত প্রতিবেদনে জানা গেছে, বিমানটি যখন ৩৬ হাজার ফুট উচ্চতায় পৌঁছায় তখন কমান্ডে থাকা পাইলট (পিআইসি) দ্বিতীয়জনের (এসআইসি) কাছে বিশ্রাম নেয়ার অনুমতি চান। আবেদন মঞ্জুর হলে পিআইসি ঘুমিয়ে পড়েন। অপর পাইলট দায়িত্ব বুঝে নেন।
আধ ঘণ্টা পর কমান্ড পাইলটের ঘুম ভাঙলে অপরজনের কাছে জানতে চান, তিনি বিশ্রাম নেবেন কিনা। জবাবে এসআইসি জানান, তার বিশ্রামের প্রয়োজন নেই। এরপর তারা নিজেদের মধ্যে ৩০ সেকেন্ডের মতো কথা বলেন। তারপর পিআইসি আবার ঘুমিয়ে পড়েন।
প্রায় ২০ মিনিট পর এসআইসি জাকার্তা এয়ার কন্ট্রোল সেন্টারের (এসিসি) একটি নির্দেশ পাঠ করেন। তারপর অসাবধানতাবশত ঘুমিয়ে পড়েন। তখন বিমান চলছিল অটোপাইলটে। ১২ মিনিট পর জাকার্তা এসিসি জানতে চায়, বিমানটি বর্তমানে যেদিকে যাচ্ছে, এটা ধরে আর কতক্ষণ চলবে। কিন্তু পাইলটদের কাছ থেকে কোনো উত্তর পায়নি।
এসআইসির সঙ্গে এসিসির শেষ রেকর্ড করা আলাপচারিতার ২৮ মিনিট পর কমান্ড পাইলট ঘুম থেকে উঠেন। আর আবিষ্কার করেন বিমানটি সঠিক পথে নেই। এরপর কমান্ড পাইলটকে ঘুম থেকে ডেকে তোলেন তিনি।
সূত্র: এনডিটিভি
এইচআ/