রবিবার, ২৭শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১২ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের যৌক্তিকতা পায়নি পর্যবেক্ষণ দল *** জুলাই আন্দোলনের মূল নায়ক তারেক রহমান: আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী *** মৌলিক সংস্কার না হলে গণতান্ত্রিক উত্তরণ হবে না: বদিউল আলম মজুমদার *** মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের দেখতে বার্ন ইনস্টিটিউটে প্রধান উপদেষ্টা *** জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মূল লক্ষ্য ছিল ‘অভ্যন্তরীণ পরাধীনতামুক্ত’ রাষ্ট্র গঠন: ফরহাদ মজহার *** গন্ডগোল লাগিয়ে নির্বাচনের আয়োজনকে ভন্ডুল করার চেষ্টা চলছে: প্রধান উপদেষ্টা *** জুলাই শহীদ পরিবারের জন্য ৮০৪টি ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্প একনেকে উঠছে রোববার *** চার-পাঁচ দিনের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা: মোস্তফা জামাল *** মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার করবে রাজনৈতিক সরকার: অর্থ উপদেষ্টা *** প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আরও ১৪টি দলের বৈঠক আজ

শিশুকে ইন্টারনেট থেকে মুক্ত রাখার এখনই সময়

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:৩১ অপরাহ্ন, ২৭শে জুলাই ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

এখন প্রায় সবার হাতে স্মার্টফোন। সব বাড়িতে শিশুদেরও দেখা যায় ডিজিটাল পর্দার সামনে বসে থাকতে। শিশুর অবসর মানেই যেন মুঠোফোন ধরিয়ে দেওয়া। অনেক শিশুর খাওয়ার অভ্যাসও গড়ে ওঠে রিলস বা ভিডিও দেখতে দেখতে। গ্যাজেটে কোনো কিছু দেখা ছাড়া শিশু খাবার মুখেই তোলে না। এমনকি শিশুকে শান্ত রাখতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মুঠোফোনে ইন্টারনেট সচল করে বসিয়ে দেন অভিভাবকরা। সম্প্রতি দেশ হঠাৎ ইন্টারনেটের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ফলে যেসব মা-বাবা সন্তানকে খাওয়ানো, ঘুম পাড়ানো বা অবসর কাটাতে গ্যাজেট ও ইন্টারনেটকেই একমাত্র উপায় মনে করতেন, তারাও বিকল্প খুঁজেছেন এই সময়ে। শিশু বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই বিকল্প পথটাই শিশুর জন্য জরুরি। মানে শিশুর গ্যাজেট বা ইন্টারনেটে আসক্তি কমাতে তাকে স্বাভাবিক বাস্তব জীবনে অভ্যস্ত করাতে হবে।

কেন কমাবেন শিশুর গ্যাজেটে আসক্তি

গ্যাজেট ও ইন্টারনেটে আসক্তির ভয়াবহ প্রভাব পড়ে শিশুর স্বাভাবিক বেড়ে ওঠায়। অনেক সময় মা-বাবা হয়তো নিজেদের সাময়িক সুবিধার জন্য শিশুর হাতে মুঠোফোন দিচ্ছেন, কিন্তু এতে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যায় পড়ে শিশু। চলুন জানা যাক গ্যাজেট ও ইন্টারনেট আসক্তির কারণে যে যে অসুবিধা হতে পারে-

১. সাধারণত প্রথম তিন বছর শিশুর মস্তিষ্কের বড় অংশের গঠন হয়। তাই এ সময় শিশু কী শিখছে, সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় গ্যাজেটে থেকে যত দূরে রাখা যাবে শিশুকে ততই ভালো।

২. শিশুকে খাওয়ানোর সময় মুঠোফোন ধরিয়ে দিলে কোনটা কী খাবার, কোনটার স্বাদ কেমন, এসব শেখার সুযোগ পায় না।

৩. কম দূরত্ব থেকে মুঠোফোন দেখার কারণে ডিজিটাল পর্দার বিভিন্ন ক্ষতিকর রশ্মি  শিশুর চোখের ক্ষতি করে।

৪. শিশু সামাজিকতা শেখে না। কার সঙ্গে কীভাবে কথা বলতে হয়, এ সব শেখায় ঘাটতি থাকে।

আরো পড়ুন : ইন্টারনেট না থাকলেই একা লাগে?

৫. শিশুর মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। অল্পতেই রেগে যায়। নিজের রাগ প্রকাশ করতে গিয়ে জিনিসপত্র ভাঙচুর, চিৎকার ইত্যাদি বাড়িয়ে দেয়।

৬. একটানা মুঠোফোনে ভিডিও দেখার কারণে শিশুর রাগ বেড়ে যায়। মনোযোগের অভাব দেখা দেয়।

গ্যাজেট থেকে দূরে রাখতে-

‘মুঠোফোন না দিলে সন্তান খেতে চায় না’ বলা অভিভাবকরাও এরই মধ্যে দেশে ইন্টারনেট পুরোপুরি সচল না থাকায় বিকল্প উপায়ে শিশুকে খাওয়াচ্ছেন বা সময় কাটাচ্ছেন। ইন্টারনেট হয়তো কদিন পর পুরোপুরি ফিরে আসবে, শিশুরাও বায়না ধরবে মুঠোফোনের জন্য; তখন শিশুকে একবারে “না” করে দেওয়ার চেয়ে আগে বোঝাতে হবে খাবারটা শেষ করো, তারপর ফোন পাবে। এভাবেও কিন্তু শিশুকে দ্রুত খাওয়ানো যায়। তবে খাওয়ার পর শিশুকে ফোন দিলেও সেটার সময়সীমা বেঁধে দিন।

খাওয়ানোর সময় শিশু যখন একটা খাবারের রং, স্বাদ, গন্ধ, আকার দেখবে, তখন খাবার নিয়ে নিজের মতামতও দিতে শুরু করবে।

শিশুকে খাওয়ানোর সময় গ্যাজেটের বদলে খাবারটা তৈরির গল্প বলতে পারেন। অনেক সময় খাবার ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে বলতে পারেন, ‘এসব পাখির ডিম’। তারপর একটা করে ‘ডিম’ তুলে দিতে পারেন শিশুর মুখে।

সময় কাটানোর জন্য শিশুকে গ্যাজেট নয়, বরং নানা ধরনের আকর্ষণীয় পাজল কিনে দিতে পারেন। বুদ্ধি খাটিয়ে সে সব মেলাতে মেলাতে শিশুর সময় কেটে যাবে।

শিশুর সঙ্গে গল্প করুন। তাকে নতুন নতুন বই পড়ে শোনাতে পারেন।

এস/ আই.কে.জে/


স্মার্টফোন গ্যাজেট

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন