বৃহস্পতিবার, ২৩শে অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৮ই কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ভারতে ধর্মের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর নতুন অস্ত্র এআই: গবেষণা *** মিরপুরেই শেষ ম্যাচ খেলতে চান সাকিব *** শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায় কবে, জানা যাবে ১৩ই নভেম্বর *** হত্যা মামলায় অভিনেতা ইরেশ যাকেরসহ দুজনকে অব্যাহতির সুপারিশ *** জিয়াউর রহমান সরকারের মন্ত্রীর ছেলে যোগ দিলেন আওয়ামী লীগে *** শনিবারের ক্লাস নিয়ে বিভ্রান্তি, স্পষ্ট করলেন শিক্ষক নেতা আজিজী *** বাজারে সবজির সরবরাহ বাড়ছে, দামের উত্তাপ কমছে *** ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানালেন বিশ্বখ্যাত ইহুদিরা *** আরব সাগরে প্রায় ১০০ কোটি ডলারের মাদক উদ্ধার পাকিস্তান নৌবাহিনীর *** সরকারে থাকা ‘দলীয় উপদেষ্টা’ আসলে কারা

সব সাংবাদিক দালালি করেননি: প্রেস সচিব

বিশেষ প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৪:২১ অপরাহ্ন, ১৬ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘সব সাংবাদিক দালালি করেননি। গণঅভ্যুত্থানে পাঁচজন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। অনেকে আহত হয়েছেন। অনেকে এখনো ট্রমাটাইজ (মানসিক আঘাতপ্রাপ্ত)। গণঅভ্যুত্থানে দেশের অনেক পত্রিকা ও সাংবাদিকের ভালো ভূমিকা ছিল।’

রোববার (১৬ই ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শফিকুল আলম। ‘ফ্যাসিবাদমুক্ত গণমাধ্যম চাই’ প্ল্যাটফর্মের উদ্যোগে ‘গণমাধ্যমের ফ্যাসিবাদী বয়ান: ফিরে দেখা ১-৩৬ জুলাই’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়।

শফিকুল আলম বলেন, ‘অসহনীয় পরিস্থিতির মধ্যে থেকে গত ১৫ বছরে হাসিনাশাহির স্বৈরতন্ত্রের রক্তচক্ষুকে পাত্তা না দিয়ে তারা সাংবাদিকতা করেছেন, মৃত্যুর সংখ্যা উল্লেখ করেছেন। বাধা সত্ত্বেও ডিজিএফআই, রাজনীতিবিদ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও সাংবাদিক লীগকে উপেক্ষা করে যারা সাংবাদিকতা করেছেন, তাদের স্যালুট।’

বিগত সরকারের সময়ে যে সাংবাদিকতা হয়েছে, তার ওপর গবেষণা করার আহ্বান জানান প্রেস সচিব। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গবেষণা সরকারি উদ্যোগে হলে ধরা হবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করা হচ্ছে। তাই বেসরকারি উদ্যোগে করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে গণমাধ্যমে নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিবেচনা ছিল। মেধা কতটুকু, কী সাংবাদিকতা করে, সেটা মুখ্য বিষয় নয়। ব্যক্তিজীবন, রাজনৈতিক মতাদর্শ কী, সেটা ছিল বিবেচ্য। এসব দেখার জন্য একটি গোষ্ঠী ছিল। জুলাই অভ্যুত্থানে শুধু পত্রিকাতেই দালালি হয়নি, বিভিন্ন ইউটিউব ভিডিও ও টক শোতেও হয়েছে। ভয়াবহ সাংবাদিকতা হয়েছে। এগুলো করার মূল কারণ ছিল পূর্বাচলে একটা প্লট বা অ্যাকাউন্টে অনেক টাকা।’

শফিকুল আলম বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ছাড়াও গত ১৫ বছরে বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে সাংবাদিকদের একটি দল নিজেদের সুবিধার আশায় দালালি করেছে। তারা স্বৈরাচারকে স্থায়ী করতে, বৈধতা দিতে বয়ান তৈরি করে মানুষকে হয়রানি করেছেন, অধিকার হরণ করেছেন। বর্তমান বাংলাদেশে সাংবাদিকতার গুরুত্বপূর্ণ একটি সময় যাচ্ছে। দায়িত্বশীল ও গঠনমূলক সাংবাদিকতা করার সময় এসেছে।’

তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকেরা কী ভূমিকা পালন করেন, তার সব থেকে যায়। প্রতিটি দালালি ডকুমেন্টেড (নথিভুক্ত) হয়ে গেছে। ১-৩৬ জুলাই ছাড়াও ২০০৯ সাল থেকে বড় বড় ঘটনার বয়ান তৈরি করেছেন এই দালালেরা। বড় কোনো ঘটনার সময়েও ফেসবুকে একটা বড় গ্রুপ, সাংবাদিকদের একটা গ্রুপ বয়ান তৈরি করতো। তারা ঘটনাগুলোকে বৈধতা দিতো। এগুলো করার মাধ্যমে স্বৈরাচারকে স্থায়ী ও মানুষের অধিকার হরণ করা হয়েছে। মানুষকে মারার বৈধতা দেওয়া হতো।’

শফিকুল আলম বলেন, ‘এমন বাংলাদেশ তৈরি করতে হবে, যেখানে কেউ দালালি করবে না। নতুন বাংলাদেশে দায়িত্বশীল ও গঠনমূলক সমালোচনার সাংবাদিকতা করতে হবে। সরকারের বিরুদ্ধে বলা যাবে। প্রমাণসহ যাকে ইচ্ছা সমালোচনা করা যাবে। স্বাধীন সাংবাদিকতা প্রয়োজন, যেখানে প্রতিটা সরকারকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করানো যাবে। এ লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। এ মাসের শেষে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন প্রতিবেদন জমা দেবে।’

হা.শা./কেবি

প্রেস সচিব

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250