শুক্রবার, ৩রা অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** অন্যের ওপর দোষ চাপানো বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ‘অভ্যাস’: ভারত *** পাকিস্তানের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ধ্বংসের দাবি ভারতের বিমানবাহিনীর প্রধানের *** মানচিত্র থেকে পাকিস্তানকে মুছে ফেলার হুমকি দিলেন ভারতের সেনাপ্রধান *** ফ্লোটিলা বহর আটকের তীব্র নিন্দা জানাল বাংলাদেশ *** ভারতের ধনী নারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে ৫০১৭০ কোটি নিয়ে শীর্ষে জয়শ্রী, ষষ্ঠ বলিউড নায়িকা *** ২০২৬ বিশ্বকাপের অফিশিয়াল বল ট্রাইওন্ডা আসলে কী *** যেভাবে আসামে হিন্দু-মুসলিম বিভাজিত সমাজে ঐক্যের সুর হয়ে উঠলেন জুবিন গার্গ *** ফ্লোটিলার সর্বশেষ জাহাজটির বর্তমান অবস্থান, স্টারলিংকের ইন্টারনেট এখনো সচল *** মাথা ঠান্ডা করে আরামে ঘুমান, নিজেদের সমস্যায় মন দিন—পশ্চিমা নেতাদের পুতিন *** বাড়লে গরম, বাড়ে চিনি খাওয়াও—বিস্ময়কর তথ্য দিলেন বিজ্ঞানীরা

লাল মরিচে স্বপ্ন দেখছেন সারিয়াকান্দির চাষিরা

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:০৩ অপরাহ্ন, ৩রা মার্চ ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে এবার লাল মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলার মরিচ চাষিরা জানান, বগুড়ায় সারা বছর মরিচের চাষ হলেও অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত যে মরিচ চাষ হয়ে থাকে তা শুকিয়ে বাছাই করা হয়। বছরের অন্য মাসে যে মরিচ উৎপাদন হয় তা সাধারণত কাঁচা মরিচ হিসেবে বাজারজাত হয়ে থাকে। তাই বর্তমানে ওঠা লাল মরিচে সম্ভাবনার স্বপ্ন দেখছেন সারিয়াকান্দির মরিচ চাষিরা। তাই তো এসব মরিচ শুকিয়ে বাছাই করার কাজে বর্তমানে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।

জেলার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা, গাবতলী উপজেলার কৃষকের উঠানে টিনের চালে, যমুনা গোয়েন বাঁধে লাল মরিচ আর মরিচ। ব্যস্ত সময় পার করছে মরিচ শুকানো কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা। ব্যস্ত প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। তারা এখান থেকে মরিচ সংগ্রহ করে নিয়ে যাবে ফ্যাক্টরিতে।

জেলায় এবার মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। সাড়ে ৩’শ কোটি টাকার শুকনা ও ২শ’ কোটি টাকার টোপা /কাাঁচা মরিচ উৎপাদনের আশা করছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তারা। টোপা/কাঁচা মরিচে শুকনা আকারে হিসাব করলে আড়াইশত কোট টাকা হবে বলে জানান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারী কৃষি অফিসার ফরিদ উদ্দিন। সব মিলিয়ে এ মৌসুমে প্রায় সাড়ে ৫ শ’ কোটি টাকার মরিচ পাওয়া যাবে বলে জনানা এ কৃষি কর্মকর্তা। বর্তমান বাজারের চেয়ে যদি মূল্য বেড়ে যায় তবে হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।

পলি পড়া চরে মরিচেই ভাগ্য ফিরেছে মরিচ চাষীদের। জেলায় এ বছর ৬৫০০ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলন শীল মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৮ হাজার ৫২৫ মেট্রিকটন। এবার ৭৫০০ মেট্রিকটন শুধু শুকনা মরিচ পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারি কৃষি কর্মকর্তা ফরিদ উদ্দিন।

আরো পড়ুন: গম চাষে ৪ গুণ বেশি ফলনের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা

আর কাঁচা/টোপা মরিচ পাওয়া যাবে ৫২ হাজার ৩৬৮ মেট্রিক টন। যা থেকে পাওয়া যাবে ১৮ হাজার ৫২৫ মেট্রিকটন) শুকনা আকারে। তিনি জানান শুকনা ও কাঁচা/ টোপা লাল মরিচ মিলিয়ে প্রায় ৫শ’ কোটি ৮৪ লাখ টাকার উৎপাদন হবে।

ফরিদ উদ্দিন আরো জানান, বাজারে এখন প্রতিকেজি শুকনা মরিচ সাড়ে ৩ শ’ টাকা থেকে সাড়ে ৪শ’ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বর্তমান বাজারের চেয়ে মরিচের বাজার ঊর্ধ্বমুখী হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।

সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হালিম বলেন, মরিচের জন্য বিখ্যাত সারিয়াকান্দিতে বরাবরের মত এ বছরও মরিচের আবাদ বেশ ভালো হয়েছে। বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। মরিচ চাষের জন্য কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান এবং সহযোগিতা দেয়া অব্যাহত আছে বলে জানান তিনি।

এসি/ আই.কে.জে/

মরিচ চাষিরা

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250