হেগে ন্যাটো সম্মেলনে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। ছবি: সংগৃহীত
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কূটনৈতিক ভূমিকার ব্যাপক প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধবিরতিতে ট্রাম্প যে উদ্যোগ নিয়েছেন, একই ধরনের উদ্যোগ গাজা সংকট ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের ক্ষেত্রেও প্রত্যাশিত। আজ বৃহস্পতিবার (২৬শে জুন) ন্যাটো সম্মেলন শেষে দেশে ফেরার পথে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। খবর আনাদোলুর।
এরদোয়ান বলেন, ‘হরমুজ প্রণালি বন্ধ হয়ে যাওয়া পুরো অঞ্চলের জন্য বড় সমস্যার কারণ হবে। তবে আমরা বিশ্বাস করি না, ইরান এমন কোনো পদক্ষেপ নেবে।’ তিনি জ্বালানি নিরাপত্তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এ সংঘর্ষ আবারও প্রমাণ করেছে, জ্বালানি সরবরাহের নিরাপত্তা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তুরস্ক নিজস্ব শক্তির উৎস বাড়াতে গুরুত্ব দিচ্ছে এবং তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রমও চালিয়ে যাচ্ছে।
তেহরানের গ্যাস সরবরাহ নিয়ে তুরস্কের ভয়ের কিছু নেই বলেও জানান এরদোয়ান। তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি না যে, ইরান প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করবে। বর্তমানে সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে এবং কোনো সমস্যার মুখে পড়িনি।’
গত ১৩ই জুন ইসরায়েল ইরানের বিভিন্ন সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়। তাদের দাবি, তেহরান পারমাণবিক বোমা তৈরির দ্বারপ্রান্তে। যদিও ইরান তা জোরালোভাবে অস্বীকার করেছে। এর জবাবে ইসরায়েলে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায় ইরান। এ সংঘাতে ইসরায়েলের হয়ে আমেরিকাও ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা ফেলেছে। ১২ দিনব্যাপী চলা এ সংঘাতের পর সোমবার (২৩শে জুন) ট্রাম্প ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন।
এরদোয়ান বলেন, ‘বন্ধু ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক ছিল ফলপ্রসূ। আমরা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, ন্যাটো সহযোগিতা এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছি। আঞ্চলিক সংকট নিরসনে আমাদের সমাধানভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গি ট্রাম্পকে জানানো হয়েছে এবং তিনি ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন।’
খবরটি শেয়ার করুন