শুক্রবার, ১০ই অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৫শে আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** মাহফুজ-সারজিসরা গণ–অভ্যুত্থানের প্রকৃত নায়ক নন, যা বললেন মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম *** মানুষের শরীরে শূকরের যকৃৎ, চীনা চিকিৎসকদের সাফল্য *** দায়মুক্তি পাচ্ছেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৮টি ধারার মামলার আসামিরা *** নোবেল না পেলে ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া কী হবে—শঙ্কিত নরওয়ে *** অবশেষে গাজায় শান্তির আভাস, শান্তিচুক্তি সই *** সেফ এক্সিটকে সন্দেহের চোখে দেখছে বিএনপি, বিব্রত কোনো কোনো উপদেষ্টা *** থেমেছে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান–কামানের গর্জন, ২ বছর পর শান্তির ঘুমে গাজাবাসী *** জামায়াতে ৪৩ শতাংশ নারী—এটা খুশির খবর, কিন্তু তাদের দেখা যায় না: শারমীন মুরশিদ *** তহবিলসংকটের কারণে এক-চতুর্থাংশ শান্তিরক্ষী কমাচ্ছে জাতিসংঘ *** খালেদা জিয়ার সেফ এক্সিটের দরকার পড়েনি: রিজভী

চালু হতে যাচ্ছে আরো দুটি গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০২:৩০ অপরাহ্ন, ১লা ফেব্রুয়ারি ২০২৪

#

দেশে চালু হতে যাচ্ছে আরও দুটি গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। চলমান গ্যাস সংকটের মধ্যেই চালু হচ্ছে ইউনিক ও সামিটের দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র। এগুলো এই বছর বাণিজ্যিকভাবে কার্যক্রম শুরু করবে।

রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ ক্রয়কারী সংস্থা বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যে কোনো দিন ৫৮৪ মেগাওয়াটের ইউনিক মেঘনাঘাট বিদ্যুৎকেন্দ্র ও ৫৮৩ মেগাওয়াটের সামিট মেঘনাঘাট-২ বিদ্যুৎকেন্দ্র তাদের বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন পাবে।

নারায়ণগঞ্জের মেঘনাঘাট এলাকায় এই দুটি কেন্দ্রের কাছাকাছি অবস্থিত ভারতের রিলায়েন্স পাওয়ার ও জাপানের জেরা ৭১৮ মেগাওয়াট ক্ষমতার আরেকটি গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করছে। কেন্দ্রটি থেকে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের লাইনটি প্রস্তুত হলে সেটিও উৎপাদনে আসবে।

মেঘনাঘাটের ওই এলাকার মানুষের জীবিকা ছিল ধান চাষ আর মাছ শিকার। বর্তমানে একটি বিদ্যুৎ উৎপাদনের 'হাব' হিসেবে গড়ে ওঠা ওই এলাকায় এক হাজার ৮৮৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তিনটি কেন্দ্র ২০১৯ সালে অনুমোদন পায়। ২০২২ সালের মধ্যে উৎপাদনে যাওয়ার শর্ত থাকলেও নির্মাণকাজ বেশ কয়েক দফা পিছিয়ে এখন উৎপাদনে আসছে।

এই তিন বিদ্যুৎকেন্দ্র ছাড়াও পিডিবির আরও দুইটি গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ঘোড়াশাল রিপাওয়ারিং স্টেশন ইউনিট ৩ ও ৪ নির্মাণাধীন রয়েছে। পিডিবির প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, এর মধ্যে একটি কেন্দ্রের ৯৭ শতাংশ ও আরেকটির ৯৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

বর্তমানে দেশের মোট উৎপাদন সক্ষমতা ২৫ হাজার ৪৮১ মেগাওয়াটের মধ্যে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা ১০ হাজার ৭১২ মেগাওয়াট। এসব কেন্দ্রগুলো চালাতে দৈনিক এক হাজার ৯৬৯ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের দরকার হয়।

কিন্তু গ্যাস সরবরাহকারী রাষ্ট্রীয় সংস্থা পেট্রোবাংলা স্বাভাবিক সময়েও মোট সাড়ে তিন হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করতে পারে, যার মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে দিতে পারে এক হাজার মিলিয়ন ঘটফুট। আর বর্তমান গ্যাস সংকটে পেট্রোবাংলার মোট সরবরাহ দুই হাজার ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট, যার মধ্যে বিদ্যুৎ খাত পাচ্ছে মাত্র ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট।

জ্বালানির মধ্যে গ্যাস সবচেয়ে সস্তা হলেও গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বর্তমান উৎপাদন মাত্র সাড়ে তিন থেকে চার হাজার মেগাওয়াট। বর্তমানে মোট সাড়ে নয় হাজার থেকে সাড়ে ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।

আই.কে.জে/

গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250