মঙ্গলবার, ২১শে অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৬ই কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে প্রধান উপদেষ্টাকে ৬ আন্তর্জাতিক সংগঠনের চিঠি *** জন্ম নিয়েই বাপের সঙ্গে পাল্লা দিয়ো না—এনসিপি নেতাদের গোলাম পরওয়ার *** দীপাবলিতে ভারতীয়দের শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলাদেশি হাইকমিশনের ভিডিও প্রকাশ *** ভারতের সঙ্গে ১০ চুক্তি বাতিলের তথ্য প্রকাশ, যা বললেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা *** ‘জামায়াত ও আ. লীগ মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ’ *** সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত ও আ.লীগের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান *** সংখ্যালঘুদের বিপদে ফেলবেন না, সরকারকে মির্জা ফখরুল *** বড় পুঁজির স্বপ্ন দেখা শ্রীলঙ্কাকে ২০২ রানে থামাল বাংলাদেশ *** সালমান শাহর মৃত্যুর ২৯ বছর পর হত্যা মামলা করার নির্দেশ *** নির্বাচনে সেনা এক লাখ, পুলিশ দেড় লাখ ও ছয় লাখ আনসার মাঠে থাকবে

ধানমণ্ডি লেকের গাছে গাছে ঝুলছে বইয়ের বাক্স

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১০:৩৯ অপরাহ্ন, ২৬শে নভেম্বর ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

ধানমণ্ডি লেকের গাছে ঝুলে আছে ছোট ছোট বাক্স, দেখতে ঠিক যেন পোষা পাখির ঘরের মতোই। আবার রাস্তার পাশেও ছোট্ট ডাকবাক্স। এসব বাক্সে রাখা আছে নানা লেখকের বই- যা আকৃষ্ট করেছে দর্শনার্থীদেরও। মূলত মানুষকে বইমুখী করতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে লেকের পাড়ে। আবার লেকের পাশে উন্মুক্ত পাঠাগার দেখে ভীষণ আনন্দিত বইপ্রেমীরা। এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছেন লেকে আগতরা।

রাজধানীর অনেক বাসিন্দা বই পড়তে আসেন এখানে। যারা অবসর সময়টাতে পার্কে একটু বিশ্রাম নেন, তারাও এক ফাঁকে পাচ্ছেন বইয়ের সান্নিধ্য। কেউ কেউ পৃষ্ঠা উল্টিয়ে পড়ছেন আবার কেউ পড়ে শোনাচ্ছেন পাশেরজনকে।

যার হাত ধরে এই উদ্যোগ তিনি ধানমণ্ডির বাসিন্দা জাকিয়া রায়হানা রুপা। উন্মুক্ত পাঠাগারের ভাবনা থেকে লেকপাড়ে প্রথমে একটি বাক্স স্থাপন করেন। পরে ফেসবুকে শেয়ার করলে অন্যরাও এগিয়ে আসতে শুরু করেন।

লেকের পাশে বইয়ের বাক্স স্থাপনের ধারণাটা কীভাবে এলো? কার থেকে হলেন অনুপ্রাণিত- তাও জানালেন এই উদ্যোক্তা।

আরো পড়ুন : আজ সন্ধ্যা থেকে ৫ দিন অনলাইনে বন্ধ থাকবে ভূমি সেবা

জাকিয়া রায়হানা রুপা গণমাধ্যমকে জানালেন, মানো অন দ্য ওয়ে নামে একটি ফেসবুক পেজ, সেই পেজের মানো একজন জার্মান বাসিন্দা। তার একটি পোস্ট দেখে আমি অনুপ্রাণীত হয়েছি।

তিনি আরও জানান, ‘সেই পোস্টে লেখা ছিল জার্মানির জঙ্গলে, লেকে, নদীর পাড়সহ অনেক জায়গায় বুক কেস থাকে। যার থেকে পড়ার আগ্রহ তৈরি হয়। ওপেন বুক কেসগুলোতে কোনও তালা কিংবা নিরাপত্তাকর্মীরা পাহারা দেন না। মানুষ যখন খুশি এসে বই পড়তে পারে। বই ডোনেটও করতে পারে। আমি পোস্ট করি তার সেই লেখাটি।’

কিছুদিন পর আমি ভাবলাম জার্মানিও পৃথিবীর অংশ, বাংলাদেশও। তাহলে আমাদের দেশে এটি কেন সম্ভব নয়? সেই ধারণা এবং ইচ্ছা থেকে আমি ফেসবুকে বিষয়টি জানাই। অনেকের সাড়াও পাই। আর্থিক সহযোগিতাও পেয়েছি, বললেন রুপা।

একেকটি বই যেন একেকটি বাতিঘর যদি তা হয় সুখপাঠ্য, শিক্ষণীয়। বই আমাদের যেমন জ্ঞানদান করে, তেমনি দিতে পারে প্রকৃত মানুষ হওয়ার শিক্ষা।

মাত্র কয়েকদিনেই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ সবখানে ব্যাপক উৎসাহ দেখে যেমন আনন্দিত ও তেমনি আশাবাদী জাকিয়া রায়হানা রুপা। 

তাই চাইলেন, এই উদ্যোগ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ছড়িয়ে যাক সারা দেশে। ব্যক্তিগত উদ্যোগের সঙ্গী হোক সরকারও।

এস/ আই.কে.জে/

বইয়ের বাক্স

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250