ছবি: সংগৃহীত
দেশের আইন অনুযায়ী, নারীর বিয়ের ন্যূনতম বয়স আঠারো, পুরুষের একুশ। আইন বলছে যে, এই বয়সের আগে বিয়ে নয়। তবে শরিয়াহ ভিত্তিক আদর্শ নিকাহ (বিবাহ) ব্যুরো ও কনসালটেন্ট প্ল্যাটফর্ম ‘আইডিয়াল ম্যারেজ ব্যুরোর প্রতিষ্ঠাতা মুফতি মামুনুর রশিদ কাসেমী মেয়েদের ১২-১৩ বছরেই বিয়ের পক্ষে যুক্তি দিচ্ছেন।
এই বয়সটাকে তিনি পারফেক্ট উল্লেখ করেছেন। একইসঙ্গে বলছেন, এই বয়সে বিয়ের বিরোধীতাকারী কেউ মুসলিম হতে পারে না। এক ফেসবুক পোস্টে কাসেমী বলেন, যারা যারা ১২/১৩ বছরের নারীকে অপ্রাপ্ত বা ছোট বলে সম্বোধন করে এবং বিবাহের বিরোধিতা করে, তারা হয় ইসলাম বোঝে না, না হয় তাগুতের ভাষ্যকার।
তার মতে, ১৩ বছরের মেয়েকে ইসলামে ছোট বলা হয় না, বরং এই বয়সই নারীদের বিবাহের পারফেক্ট বয়স। রাসুল (সা.) এটাই আদেশ করেছেন। ১২/১৩ বছরের মেয়েদের বিবাহ নিয়ে অমুসলিমরা কটূক্তি করতে পারে, কোনো মুসলিম নয়। তবে এই পোস্টের কমেন্ট সেকশনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে।
অনেকেই প্রশাসনকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন পেজ ট্যাগ করেছেন। এর আগে কাসেমীর তৃতীয় স্ত্রী তার বিরুদ্ধে গর্ভের সন্তান নষ্টের অভিযোগ করেন, একই সঙ্গে কুষ্টিয়ায় ১৩ বছরের একটি মেয়েকে বিয়ের অভিযোগ করেন। এরপর এই পোস্ট দেন কাসেমী।
দেশের আইনে বিয়ের ক্ষেত্রে মেয়ের বয়স হতে হবে ন্যূনতম ১৮ বছর এবং ছেলের বয়স হতে হবে ন্যূনতম ২১ বছর। যদি ১৮ বছরের নিচে কোনো মেয়েকে কিংবা ২১ বছরের নিচে কোনো ছেলেকে বিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে ছেলে ও মেয়ের উভয়ের অভিভাবক এবং বিয়ে পরিচালনার কাজে যারা জড়িত ছিলেন, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন অনুযায়ী তারা দোষী সাব্যস্ত হতে পারেন।
সে ক্ষেত্রে দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। যদি দেখা যায়, ছেলের বয়স ২১ বছর হয়েছে, কিন্তু মেয়ের বয়স ১৮ বছর হয়নি, তাহলে ছেলের অভিভাবকেরা নয়, বরং ছেলে নিজে এবং অন্য ব্যক্তিরা যারা বিয়ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তারা দোষী সাব্যস্ত হতে পারেন। সে ক্ষেত্রেও দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
খবরটি শেয়ার করুন