শুক্রবার, ৩রা অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** তেহরান থেকে রাজধানী অন্যত্র সরিয়ে নেবে ইরান, নেপথ্যে পানি *** গাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের *** ৪৭ দেশের ৪৪৩ স্বেচ্ছাসেবীকে অপহরণ করেছে ইসরায়েল *** মর্ত্য ছেড়ে কৈলাসে ফিরলেন দুর্গতিনাশিনী *** শহিদুল আলমের জাহাজ এখনো আটক হয়নি, দিলেন ভিডিওবার্তা *** পাকিস্তানকে হারিয়ে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ শুরু *** এনসিপিকে শাপলা দিলে মামলা করব না, তবে ইসি দিতে পারে না: মান্না *** শুধু থালাবাটি নয়, এনসিপির জন্য আছে লাউ-বেগুন-কলাসহ ৫০ প্রতীক *** ঝড় উপেক্ষা করে গাজার পথে ফ্লোটিলা, শহিদুল আলমের ভিডিও বার্তা *** ইসরায়েলি সব কূটনীতিককে কলম্বিয়া থেকে বের হয়ে যাওয়ার নির্দেশ প্রেসিডেন্ট পেত্রোর

ডিম নিয়ে কোম্পানিগুলোর কারসাজি থামছেই না

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০২:০৭ অপরাহ্ন, ২৯শে জুন ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

ঈদুল আজহার পর রাজধানীসহ সারা দেশে থেকে ডিমের বাজার বেশ চড়া। ডিমের এই অস্বাভাবিক দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন স্বল্প আয়ের মানুষ। পাইকারি বাজারে যে ডিম সাড়ে ৯ টাকা দরে বিক্রি করা হয়, খুচরা পর্যায়ে এসে একজন ক্রেতাকে সেই ডিম কিনতে হচ্ছে ১৩ অথবা ১৪ টাকা পর্যন্ত দরে। খুচরা পর্যায়ে এক হালি ডিম ৫৫ টাকা এবং এক ডজন ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। ডিমের মূল্যবৃদ্ধির পেছনে খুচরা বিক্রেতারা দায়ী করছেন পাইকারি বিক্রেতাদের। আর পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, ডিমের জোগান কম।

ডিমের মূল্যবৃদ্ধির আসল কারণ কী, তা খুচরা এবং পাইকারি বিক্রেতাদের রেষারেষিতে অগোচরেই রয়ে গেছে। ফাঁকে পড়ে ভুক্তভোগী সাধারণ ক্রেতা।  রাজধানীর কাপ্তান বাজার ও তেজগাঁওয়ে ডিমের পাইকারি বাজার থেকে জানা যায় যায়, পাইকারিতে ১০০ ডিম বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৮০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা। সেই হিসাবে প্রতি পিস ডিমের মূল্য ১১ টাকার মতো। আর খুচরা বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ১৪ থেকে ১৫ টাকা। যা ঈদের আগেও ডিম প্রতি অন্তত দুই টাকা কম ছিল। হঠাৎ করে ডিমের দাম বেড়েছে কেন, তার কারণ অজানা।

পাইকারিতে মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে বিক্রেতারা জানান, চাহিদার তুলনায় বাজারে ডিমের সরবরাহ কম। কোম্পানিগুলো যে দামে ডিম বিক্রি করেন বাধ্য হয়ে সেই দামেই কিনতে হয়। যে সব কোম্পানি কম দরে বিক্রি করেন তাদের আবার উৎপাদন বা বিক্রি সীমিত। তাছাড়া ডিমের গাড়িতে সিটি করপোরেশন করের নামে চাঁদাবাজি, মধ্যস্বত্বভোগী এবং বাজারকেন্দ্রিক ডিম সমিতির নিয়মনীতির বেড়াজালে বাড়ে ডিমের দাম। খুচরা বিক্রেতারা জানান, খরচ বাদে ডিম প্রতি সর্বোচ্চ এক টাকা লাভ করা হয়। এদিকে প্রান্তিক পর্যায়ের খামারিরা কম দামে ডিম বিক্রি করলেও তা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে না বলে অভিযোগ সাধারণ ক্রেতাদের। 

আরো পড়ুন : বাজার মূলধন বেড়েছে সাড়ে ১৭ হাজার কোটি টাকা

একেক কোম্পানির একেক দর

ডিমের পাইকারি বাজার কাপ্তান বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোম্পানিগুলো কারসাজির মাধ্যমে বাজারে ডি‌মের দাম অস্বাভাবিকভাবে করে রেখেছে। সব কোম্পানির ডিমের দর একরকম না। একই ডিম অথচ একেক কোম্পানি একেক দামে ডিম বিক্রি করছেন। কাপ্তান বাজারের পাইকারি ডিম ব্যবসায়ী মো. শাহাজ উদ্দিন (সাজু) গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ডিমের দাম ভিন্ন হওয়ার কারণ কী? আগে এটা উদঘাটন করতে হবে। বাজারে পাঁচ-সাতটা কোম্পানি সবচেয়ে বেশি ডিম সাপ্লাই করে। তাদের পাইকারি ডিমের দর এক না। একেকজন একেক দামে ডিম বিক্রি করে। কোম্পানিগুলোর উৎপাদন খরচ কত তা বের করা উচিত। দাম বৃদ্ধির মূল কারণ কোম্পানি।’

কাপ্তান বাজারের ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে সবচেয়ে কম দরে ডিম বিক্রি করছে ‘কাজী ফার্মস’। তারা ৯ টাকা ৬১ পয়সা দরে বাজারে ডিম বিক্রি করছেন। অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি দরে ডিম বিক্রি করছেন ‘পিপলস এগ’। তারা ১১ টাকা ৩০ পয়সায় ডিম বিক্রি করছেন। অর্থাৎ একই ডিম, কিন্তু কোম্পানির ভিন্নতায় প্রতি ডিমে ১ টাকা ৬৯ পয়সার ব্যবধান। যার কারণে বাজারের মাঝেই রয়েছে ডিম বিক্রির এক অন্যরকম কারসাজি। এছাড়াও ‘ডায়মন্ড এগ’ বিক্রি করছেন ১১ টাকা দরে। প্যারাগন ১০ টাকা ৫০ পয়সা এবং নারিশ কোম্পানি ১০ টাকা ৭০ পয়সা দরে ডিম বিক্রি করছেন।

এস/ আই.কে.জে/

ডিমের দাম

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250