ছবি: সংগৃহীত
নতুন অর্থবছরের জন্য আট লাখ কোটি টাকার বাজেট তৈরির চিন্তা করছে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আগামী ২০২৫-’২৬ অর্থবছরের এ বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হতে পারে ৫ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা। আর ঘাটতি ধরা হতে পারে সর্বোচ্চ ২ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছর শেষে প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৪ শতাংশ। তবে ৫ শতাংশে উঠতে গেলে সময় লাগবে আরও দুই বছর। এমনটাই জানিয়েছেন শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির সদস্য ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন।
শনিবার (১৮ই জানুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘শ্বেতপত্র এবং অতঃপর অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, সংস্কার ও জাতীয় বাজেট’ শিরোনামে আয়োজিত সিম্পোজিয়ামে এসব কথা বলেন জাহিদ হোসেন।
শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি-২০২৪ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে। বর্তমানে দেশে জাতীয় সংসদ না থাকায় রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে আসন্ন অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করা হবে আগামী জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে। তবে বাজেট ঘোষণার তারিখ এখনো ঠিক হয়নি।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন সিম্পোজিয়ামে বলেন, চলতি অর্থবছর শেষে প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৪ শতাংশ। যদি প্রবৃদ্ধি পাঁচ শতাংশে উঠতে হয়, তাহলে সময় লাগবে আরও দুই বছর। এই সময় দেশের ব্যাংকখাত নিয়ে তিনি বলেন, গত বছরের সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকখাতে দুর্দশাগ্রস্ত ঋণের পরিমাণ ৭ লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকার মতো। এটা গত জুন শেষে ছিল ৬ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা।
তিনি আরো বলেন, সরকারিভাবে ২০১৪ সাল থেকে প্রবৃদ্ধি বাড়ার কথা বলা হলেও আমরা দেখেছি এই অর্থবছর থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রবৃদ্ধি কমেছে। ২০২২ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রতিমাসে ১০০ কোটি ডলার রিজার্ভ কমেছে। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সরকারিভাবে সাত শতাংশ প্রবৃদ্ধির কথা বলা হয়েছিল, সেখানে আমাদের বিশ্লেষণে পেয়েছি মাত্র চার দশমিক দুই শতাংশ।
জানা গেছে, ২০২৫ সাল শুরুর আগে থেকেই নতুন বাজেট প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ লক্ষ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কাজ করছে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাস থেকে অর্থ বিভাগ ও এনবিআর সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে আসন্ন বাজেটের বিষয়ে বৈঠক করবে। এসব বৈঠকে উঠে আসা সুপারিশের প্রতিফলন রাখা হবে বাজেটে। চলতি ২০২৪-’২৫ অর্থবছরের বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা।
শান্তনু/কেবি
খবরটি শেয়ার করুন