রবিবার, ২৭শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১২ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের যৌক্তিকতা পায়নি পর্যবেক্ষণ দল *** জুলাই আন্দোলনের মূল নায়ক তারেক রহমান: আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী *** মৌলিক সংস্কার না হলে গণতান্ত্রিক উত্তরণ হবে না: বদিউল আলম মজুমদার *** মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের দেখতে বার্ন ইনস্টিটিউটে প্রধান উপদেষ্টা *** জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মূল লক্ষ্য ছিল ‘অভ্যন্তরীণ পরাধীনতামুক্ত’ রাষ্ট্র গঠন: ফরহাদ মজহার *** গন্ডগোল লাগিয়ে নির্বাচনের আয়োজনকে ভন্ডুল করার চেষ্টা চলছে: প্রধান উপদেষ্টা *** জুলাই শহীদ পরিবারের জন্য ৮০৪টি ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্প একনেকে উঠছে রোববার *** চার-পাঁচ দিনের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা: মোস্তফা জামাল *** মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার করবে রাজনৈতিক সরকার: অর্থ উপদেষ্টা *** প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আরও ১৪টি দলের বৈঠক আজ

মৃত স্বজনদের সঙ্গে কথা বলা যায় যে টেলিফোন বুথে!

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৩:১৮ অপরাহ্ন, ১৬ই আগস্ট ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

স্বজন হারানোর শোক মানুষ কাটিয়ে উঠতে পারলেও তাদের স্মৃতি সহজে ভুলতে পারে না। তবে জাপানে এমন একটি টেলিফোন বুথ আছে যেখান থেকে নাকি মৃত স্বজনদের সঙ্গে কথা বলা যায়।

জাপানের টোকিও শহর থেকে দূরে এক পাহাড়ে এই বুথটি তৈরি করেন ইতারু সাসাকি নামে এক ব্যক্তি। তিনি তার এক নিকটাত্মীয়ের মৃত্যুতে খুব কষ্ট পেয়েছিলেন। তার শোক কাটিয়ে উঠতে দূরে এই পাহাড়ে এসে বসে থাকতেন। তিনি এই পাহাড়েই বুথটা তৈরি করেন এবং সেখান থেকে তার সেই আত্মীয়কে মিছেমিছি ফোন করেন, মনের কথা বলেন। এভাবে কিছুটা স্বস্তিবোধ করতেন তিনি।

২০১০ সালে প্রথম এমন সংযোগবিহীন টেলিফোন বুথ তৈরি করেন। যাকে ইতারু বলছেন ‘উইন্ড ফোন’। বাতাসে (উইন্ড) ভেসে না বলা কথা পৌঁছে যাবে প্রয়াত প্রিয়জনের কাছে, এমন ধারণা থেকেই এই নামকরণ। কাচের তৈরি বুথে রয়েছে আদ্যিকালের কালো রঙের এক টেলিফোন। সামনে নোটবই। সোনালি রঙের ডায়ালে ব্যবহারের দাগ স্পষ্ট। এখানেই এপারের লোকেরা কথা বলেন ওপারের লোকেদের সঙ্গে।

আরো পড়ুন : বিশ্বের সবচেয়ে ভাগ্যবান ব্যক্তি বলা হয় ফ্রেন সিলাককে, কিন্তু কেন?

২০১১ সালের ভূমিকম্প ও সুনামিতে জাপানের তোহোকু শহরে প্রাণ হারায় প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। মাত্র আধাঘণ্টার মধ্যে শহরটি পুরো ধবংসস্তূপে পরিণত হয়। শহরের প্রায় ১০ শতাংশ মানুষ মারা যায় এতে। তখন থেকেই জনপ্রিয়তা পায় উইন্ড ফোন। হাজারো মানুষ প্রতিদিন উইন্ড ফোনের কাছে ভিড় করতে থাকে। প্রিয়জনকে না বলা কথা ভাসিয়ে দেন হাওয়ায়।

মন হালকা করেন মনের কথা বলে। আসলে এই টেলিফোনে কিন্তু কোনো সংযোগ নেই। মৃতদের সঙ্গে কথা বলা, পুরোটাই মানুষের কল্পনা। মূলত স্বজন হারানোর ব্যথা মানুষকে সারাজীবন কষ্ট দেয়। নিজেকে সান্ত্বনা দিতেই এই কথোপকথনের অভিনয়টুকু করেন তারা।

এই বিস্ময়কর ফোন বুথ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে, ওয়েলিংটনের একজন নার্স ওহিরো বে সৈকতে অনুরূপ একটি বুথ স্থাপন করেন। যেন সেখানকার শোকাতুর মানুষরা নিজেদের একটু সান্ত্বনা দিতে পারেন। অনেকেই আসছেন এবং ধীরে ধীরে এই বুথটিও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

সূত্র: ডেইলি সান, টাইমস অব ইন্ডিয়া

এস/  আই.কে.জে


টেলিফোন বুথ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন