মঙ্গলবার, ২৪শে জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১০ই আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঈদের দ্বিতীয় দিনেও চলছে পশু কোরবানি

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:০৯ অপরাহ্ন, ১৮ই জুন ২০২৪

#

ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্যে সারাদেশে সোমবার (১৭ই জুন) উদযাপিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল আজহা। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় সামর্থ্যবান মুসলমানেরা ত্যাগের মহিমায় পশু কোরবানি দিয়েছেন। কসাই না পাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে যারা ফরজ এই ইবাদত পালন করতে পারেননি, তারাই আজ পশু কোরবানি দিচ্ছেন।

মঙ্গলবার (১৮ই জুন) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানীর ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা, পুরান ঢাকা, ধূপখোলা ও গেন্ডারিয়া এলাকা ঘুরে পশু কোরবানি করতে দেখা গেছে। তবে ঈদের দিনের তুলনায় এ সংখ্যা অনেকটাই কম।

ঈদের দ্বিতীয় দিন কোরবানি দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে অধিকাংশ কোরবানিদাতাই প্রথম দিন কসাই সংকটের কারণ উল্লেখ করেছেন। আবার অনেকেই পারিবারিক ও প্রথাগত ঐতিহ্য ধরে রাখতেও দ্বিতীয় দিন কোরবানি করেন।

আরো পড়ুন: কোরবানিতে পশু বিক্রি ১ কোটি ৬ লাখ ২১ হাজার

শেওড়াপাড়ার বাসিন্দা শিমুল বিশ্বাস বলেন, ঈদের দিনও মৌসুমি কসাই দিয়ে কোরবানি দিতে পারতাম কিন্তু তারা মাংস ঠিকমত বানাতে পারে না। ঈদের দিন পেশাদার কসাইয়ের সংকট থাকে। তাই আমরা পেশাদার কসাইয়ের সংকটের কারণে ঈদের দ্বিতীয় দিন কোরবানি দিচ্ছি।

নারিন্দার বাসিন্দা কামাল হোসেন বলেন, আমরা প্রতিবারই পরের দিন কোরবানি দিই। এইডা আমগো ঐতিহ্য। আমগো বাপ-দাদারাও ঈদের পরের দিন কোরবানি দিতো। ওইডা অহন নিয়ম হইয়া গেছে। আজকে ঝামেলাও কম। তাই আইজকাই কোরবানি দিতাছি।

অবশ্য ইসলামী শরিয়তেও কোরবানির মোট সময় তিনদিন। ১০ জিলহজ ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে শুরু করে জিলহজের ১২ তারিখ সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত কোরবানি করা যায়। জিলহজের ১২ তারিখ সূর্যাস্তের পর আর কোরবানি করার সুযোগ থাকে না।

তবে কেউ যদি কোরবানির সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পর অর্থাৎ ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের পর কোরবানির পশু জবাই করে ফেলে, তাহলে ওই পশুর সব মাংস সদকা করে দিতে হবে। এ রকম ক্ষেত্রে গোশতের মূল্য জীবিত পশুর চেয়ে কমে গেলে যে পরিমাণ মূল্য কমবে, তাও সদকা করতে হবে।

এসি/

ঈদের দ্বিতীয় দিন পশু কোরবানি

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন