শনিবার, ৭ই জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাদুঘরে রাখা হলো একটি কনডম

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:০৫ অপরাহ্ন, ৬ই জুন ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

নেদারল্যান্ডসের একটি জাদুঘরে প্রদর্শিত হচ্ছে উনিশ শতকের একটি বিরল কনডম। এর একটি বৈশিষ্ট্য হলো, এতে খোদাই করা রয়েছে তিনজন ধর্মযাজকের সঙ্গে একজন নানের সঙ্গম মুহূর্তের নগ্ন ছবি।

আমস্টারডামের রাইকসমিউজিয়ামের এক বিবৃতি অনুযায়ী, ১৮৩০ সালের এই কনডম সম্ভবত ভেড়ার অ্যাপেন্ডিক্স (অন্ত্রের একাংশ) দিয়ে তৈরি এবং এটি কোনো যৌনপল্লির স্মারক বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর সিএনএনের।

রাইকসমিউজিয়ামের ছাপচিত্র বিভাগের কিউরেটর জয়েস জেলেন সিএনএনকে জানিয়েছেন, সে সময়ে কনডম মূলত গোপনে বিক্রি হতো। সংগৃহীত কনডমটি একেবারে আনকোড়া অবস্থায় রয়েছে বলেও জানান তিনি। অতিবেগুনি আলোতে পরীক্ষা করে দেখা গেছে, এটি কখনো ব্যবহৃত হয়নি।

জেলেন বলেন, ‘কনডমটির ওপরের খোদাই চিত্র এবং এর ২০ সেন্টিমিটার (৭.৯ ইঞ্চি) দৈর্ঘ্যের বিষয়টি ইঙ্গিত করে, এটি ছিল একটি বিলাসবহুল যৌনপল্লির স্মারক।’

খোদাই করা চিত্রে দেখা যায়, একজন নান নগ্ন অবস্থায় দুই পা প্রসারিত করে বসে আছেন, আর তার সামনে তিনজন ধর্মযাজকও পোশাক খুলে দাঁড়িয়ে আছেন—তাদের উত্থিত যৌনাঙ্গ দৃশ্যমান।

খোদাই চিত্রে একটি ফরাসি বাক্য লেখা রয়েছে, বাংলায় যার অর্থ দাঁড়ায়, ‘এটাই আমার পছন্দ’। জাদুঘরের মতে, এই লেখা সন্ন্যাসজীবনের সংযম এবং গ্রিক পুরাণে উল্লেখিত চরিত্র প্যারিসের বিচারের একটি ব্যঙ্গচিত্র হিসেবে কাজ করছে।

জেলেন ব্যাখ্যা করেন, ছাপচিত্রকার প্রথমে ভেড়া বা ছাগলের অন্ত্র সমান জায়গায় রেখে তাতে কপারে খোদাই করা মুদ্রণশিল্পের সাহায্যে কালি দিয়ে  চিত্র ছাপিয়েছিলেন। ওই কনডম বাস্তবে ব্যবহৃত না হলেও সেই সময়ের যৌনরোগ বা অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ থেকে সামান্য সুরক্ষা দিতে একই ধরনের উপাদান দিয়েই কনডম তৈরি করা হতো। ১৯ শতকে ইউরোপে সিফিলিসের মতো যৌনরোগ ছিল একটি বড় জনস্বাস্থ্য সমস্যা।

রাইকসমিউজিয়াম ছয় মাস আগে একটি নিলাম থেকে কনডমটি সংগ্রহ করে। ১৯ শতকের যৌনতা ও পতিতাবৃত্তিবিষয়ক একটি প্রদর্শনীর অংশ হিসেবে কনডমটি জাদুঘরের ছাপচিত্র গ্যালারিতে নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত প্রদর্শিত হবে।

এইচ.এস/

জাদুঘর

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন