ছবি: সংগৃহীত
বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে আউটসোর্সিং কর্মচারী নিয়োগ, টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল অবৈধভাবে বিক্রির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল সোমবার (১৫ই সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বলেন, এনফোর্সমেন্ট দল অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এনফোর্সমেন্ট দলের প্রতিবেদনের বরাতে দুদকের এক কর্মকর্তা বলেন, রামপাল অফিস (মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট) ও ঢাকা অফিসে বর্তমানে মোট ৫২৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত আছেন। এর মধ্যে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান এনটিপিসি নিয়োজিত কর্মকর্তা রামপাল অফিসে ৩০ জন এবং ঢাকা অফিসে ৬ জন, অর্থাৎ মোট ৩৬ জন।
নিয়ম অনুযায়ী একজন বিদেশি কর্মকর্তার বিপরীতে ২০ জন দেশি কর্মকর্তা থাকার কথা থাকলেও এ নিয়ম মানা হয়নি। অথচ বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ( বিপিডিবি) থেকে লিয়েনে দক্ষ কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া সম্ভব ছিল।
এর আগে গত ২৭শে জুন বেতনবৈষম্য, যন্ত্রপাতি লুটপাট, কর মওকুফে অনিয়ম ও কয়লা ক্রয়ে নয়ছয়সহ নানা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের বাগেরহাট কার্যালয়ে অভিযান চালায় দুদকের এনফোর্সমেন্ট দল।
২০১০ সালের আগস্ট মাসে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) ও ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জাতীয় তাপবিদ্যুৎ করপোরেশনের (এনটিপিসি) মধ্যে রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিষয়ে সমঝোতা হয়।
এর দুই বছর পর ২০১২ সালের ২৯শে জানুয়ারি এনটিপিসির সঙ্গে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে চুক্তি করে সরকার। চুক্তি অনুযায়ী ‘বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল)’ নামের একটি কোম্পানি গঠন করা হয়।
২০১৩ সালে পিডিবির সঙ্গে বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি হয় এই কোম্পানির। ওই বছরই জমি অধিগ্রহণ, ভরাট ও সড়কের নির্মাণকাজ শুরু হয়। দীর্ঘ সময় ধরে নির্মাণকাজ চলার পর ২০২২ সালের ২৩শে ডিসেম্বর বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু করে।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন