রবিবার, ৬ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২২শে আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** কমেছে করোনা শনাক্তের সংখ্যা, মৃত্যু নেই *** সোমবার ১১ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় *** পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পথে বাংলাদেশ *** কক্সবাজারে সাগরের উত্তাল ঢেউ, তবু লাখো পর্যটকের ভিড় *** ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে এক বছরে রেকর্ড পরিমাণ হলুদ আমদানি *** চোখধাঁধানো গোল করা মেসিকে প্রশংসায় ভাসালেন আর্জেন্টাইন কোচ *** ইসরায়েলের পাঁচটি সামরিক ঘাঁটিতে আঘাত হানে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র *** বিশেষ বিমানে ২৫০ জনকে সীমান্তে এনেছে ভারত, শিগগিরই বাংলাদেশে ‘পুশইন’ *** ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র বরখাস্ত, নেতানিয়াহুর স্ত্রীর সঙ্গে বিরোধের গুঞ্জন *** যুদ্ধের পর পবিত্র আশুরায় প্রথম জনসমক্ষে এলেন খামেনি

আমেরিকা-ইসরায়েলের মিত্রতার নতুন অধ্যায়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৯:৩৫ পূর্বাহ্ন, ৬ই জুলাই ২০২৫

#

লেবানন সীমান্তে আমেরিকা-ইসরায়েলের সম্মিলিত পতাকা। ছবি: সংগৃহীত

ইরান-ইসরায়েলের ১২ দিনের যুদ্ধে আবারও প্রমাণিত হয়েছে আমেরিকা ও ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্রতা। ইসরায়েল যখন এক সপ্তাহ ধরে ইরানি বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থার ওপর হামলা চালায়, তখন আমেরিকা সরাসরি ইরানের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে বোমা বর্ষণ করে।

ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর প্রধান অস্ত্র এফ-৩৫, এফ-১৫ ও এফ-১৬ যুদ্ধবিমান—সবই আমেরিকার তৈরি। তাই বিশ্লেষকরা বলছেন, এ যুদ্ধ কেবল সামরিক সংঘর্ষ নয়, বরং ওয়াশিংটন ও জেরুজালেমের মধ্যকার আরও ঘনিষ্ঠ, কৌশলগত ও রাজনৈতিক সম্পর্কের প্রতীক। খবর জেরুজালেম পোস্টের।

মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার প্রভাব বজায় রাখতে ইসরায়েলকে এখন গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত মিত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। দুই দেশের এ সম্পর্কের ভিত্তি তৈরি হয়েছে ১৯৪৮ সালে ইসরায়েলের প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে, যার পেছনে রয়েছে ঐতিহাসিক, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সংযোগ।

বিশেষ করে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সময়; যখন কানাডা, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া বা দক্ষিণ কোরিয়ার মতো ঐতিহ্যবাহী মিত্রদের নিয়ে আমেরিকায় প্রশ্ন উঠেছে, তখন ইসরায়েলকে ঘিরে সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে।

প্রথম দিকে আমেরিকা ও ইহুদিদের সম্পর্ক ছিল সীমিত। ১৯৪৮ সালে প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যান ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিলে সম্পর্ক কিছুটা স্বাভাবিক হয়। পরে আইজেনহাওয়ার প্রশাসন ১৯৫৬ সালের সুয়েজ সংকটে ইসরায়েলকে সমর্থন না করে মিসরকে সোভিয়েত প্রভাব থেকে সরিয়ে রাখতে চেয়েছিল। এতে আমেরিকা-ইসরায়েল কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয়।

এরপর ১৯৬০-এর দশকে জন এফ কেনেডি প্রশাসনের অধীনে সম্পর্ক দৃঢ় হয়। ১৯৬৫ সালে ইসরায়েলকে হক মিসাইল বিক্রির মাধ্যমে ওয়াশিংটন-জেরুজালেম সম্পর্কে নতুন মোড় আসে। এরপর ১৯৭৩ সালের ইয়োম কিপুর যুদ্ধে নিক্সন প্রশাসন সরাসরি ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা পাঠায়।

জে.এস/

ইসরায়েল-আমেরিকা

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন