ছবি: সংগৃহীত
দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে টেস্ট খেলছে বাংলাদেশ। টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার ২৫ বছর পূর্তি হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৬শে জুন)। এ সময়ে টেস্টে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার মতো পরাশক্তিকে বাংলাদেশ হারালেও পরাজয়ের পাল্লাটাই বেশি ভারী হয়েছে।
টেস্টে বাংলাদেশের ব্যর্থতার পাল্লা ভারী হওয়ার কারণ মূলত প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের বাজে অবকাঠামো। ‘পিকনিক ক্রিকেট’ নামে পরিচিত এ প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অনেকে ভালো খেললেও আন্তর্জাতিক মঞ্চে গিয়ে বারবার ধরা খেয়ে যান। এ ছাড়া দেশের ক্রিকেট মাঠ ব্যবস্থাপনা নিয়েও রয়েছে নানা সমস্যা।
ক্রিকেট অবকাঠামো ও মাঠ ব্যবস্থাপনার জটিলতা দূর করতে বিসিবির গ্রাউন্ড বিভাগের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন বিসিবির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
টেস্ট মর্যাদার রজতজয়ন্তীর আগের দিন আজ বুধবার (২৫শে জুন) রাজধানীর ধানমন্ডির রিয়া গোপী নারী স্পোর্টস কমপ্লেক্সে এ আয়োজন নিয়ে কথা বলেছেন বুলবুল। সাংবাদিকদের বিসিবির সভাপতি বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার আগে ক্রিকেট থেকে কিছুটা দূরে ছিলাম। তখন ভাবতাম, গত ২৫ বছরে হয়তো ২৫টি বড় আয়োজন হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, ২৫ বছর পেরিয়ে আমরা এবার প্রথমবারের মতো একটি বড় আয়োজন করছি। প্রোগ্রামটি আমরা করছি মূলত দুটি কারণে—এক, টেস্ট ক্রিকেটের ২৫ বছর পূর্তি উদযাপন; দুই, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যেখানে ক্রিকেট কার্যত ঘুমিয়ে ছিল, সেসব জায়গায় একটা তাদেরকে একটা ‘ওয়েকআপ কল’ দেওয়া।’
ক্রিকেট বিকেন্দ্রীকরণের কথা অনেক বছর ধরেই বলে আসছে বিসিবি। বিভিন্ন সময়ে বোর্ড সভাপতির মুখে প্রতিশ্রুতির কথা শোনা গেলেও কার্যকর উদ্যোগের অভাবে সেই পরিকল্পনা আলোর মুখ দেখেনি। এবারের প্রেক্ষাপট কিছুটা ভিন্ন। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের টেস্ট মর্যাদার ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে দেশজুড়ে আয়োজিত বিভাগীয় অনুষ্ঠানে বুলবুল যেমন বলেছিলেন, তেমনি বাস্তবায়নের পথে কিছুটা পরিকল্পনার ইঙ্গিত মিলছে একাধিক কার্যক্রমে।
ধানমন্ডির রিয়া গোপী নারী স্পোর্টস কমপ্লেক্সে আজ বিসিবির সভাপতি দেশের সব জেলায় ক্রিকেট উইকেট হিসেবে সিনথেটিক টার্ফ বসানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। বুলবুল বলেন, ‘আমাদের ৬৪ জেলায় ৬৪ জন কোচ রয়েছেন। তারা কী অবস্থায় আছেন, সেটি মূল্যায়নের মধ্য দিয়ে আমরা ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ দেখছি। মিরপুরে বসে সারাদেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই মাঠপর্যায়ে কাজ করার মতো শক্তিশালী কোচ তৈরি করতে চাই। যেন তারা উপজেলা পর্যায়েও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেন এবং সেই কার্যকারিতা আমরা ভবিষ্যতে জাতীয় দলে দেখতে পাই।’
খবরটি শেয়ার করুন