ছবি: সংগৃহীত
ইরানের সাম্প্রতিক বিষয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ডের বিরোধ দেখা দিয়েছে। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ট্রাম্প প্রশাসনের একাধিক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এমনটাই জানিয়েছেন। খবর এনসিবির।
এ ছাড়া ইরানের বিরুদ্ধে আমেরিকার সামরিক পদক্ষেপ বিবেচনার প্রেক্ষাপটে তুলসী গ্যাবার্ড আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পছন্দের তালিকা থেকে সরে গেছেন বলেও ট্রাম্প প্রশাসনের একাদিক কর্মকর্তা মনে করছেন।
তবে হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা এনবিসি নিউজকে বলেছেন, ক্যাম্প ডেভিডের বৈঠকটিতে তুলসী উপস্থিত থাকতে পারেননি। কারণ, ন্যাশনাল গার্ডের সদস্য হিসেবে তখন তাকে পূর্বনির্ধারিত প্রশিক্ষণে অংশ নিতে হচ্ছিল।
গত মঙ্গলবার (১৭ই জুন) এক বিবৃতিতে আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেন, তুলসী একজন সাবেক সেনাসদস্য, একজন দেশপ্রেমিক, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একনিষ্ঠ সমর্থক। ২০২৪ সালে ট্রাম্প যে জোট গড়েছেন, তার গুরুত্বপূর্ণ অংশ তিনি। তুলসী আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা দলের অবিচ্ছেদ্য সদস্য। আমেরিকাকে বিদেশি হুমকি থেকে নিরাপদ রাখতে তার নিরলস প্রচেষ্টার জন্য তারা কৃতজ্ঞ।
আমেরিকার একাধিক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইসরায়েল-ইরান সংঘাত নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের অভ্যন্তরীণ আলোচনা থেকে তুলসীকে কার্যত দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে।
এদিকে এনবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, অতীতে তুলসীকে বিদেশে আমেরিকার সামরিক হস্তক্ষেপের কড়া সমালোচনা করতে দেখা গেছে।
আর তুলসীর ঘনিষ্ঠরা জোর দিয়ে বলছেন, ইরান ইস্যুতে হোয়াইট হাউসে কিছুটা টানাপোড়েন আছে। তবে জনপরিসরে যে প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে, তার অনেকটাই অতিরঞ্জিত।
ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার উত্তেজনা নিয়ে আলোচনার জন্য ৮ই জুন আমেরিকার মেরিল্যান্ডের ক্যাম্প ডেভিডে শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তাদের একটি বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে যোগ দেননি তুলসী। এতে করে প্রশাসনে তার অবস্থান নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন ওঠে।
ট্রাম্প প্রশাসনের দুই কর্মকর্তা বলেন, তুলসী অনেক দিন ধরেই ইরানের বিরুদ্ধে আমেরিকার সামরিক পদক্ষেপের বিরোধিতা করে আসছেন। পাশাপাশি তিনি পর্দার আড়ালে কূটনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
আরএইচ/
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরান-ইসরায়েল সংকট তুলসী গ্যাবার্ড আমেরিকা
খবরটি শেয়ার করুন