বৃহস্পতিবার, ২৩শে অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৮ই কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ভারতে ধর্মের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর নতুন অস্ত্র এআই: গবেষণা *** মিরপুরেই শেষ ম্যাচ খেলতে চান সাকিব *** শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায় কবে, জানা যাবে ১৩ই নভেম্বর *** হত্যা মামলায় অভিনেতা ইরেশ যাকেরসহ দুজনকে অব্যাহতির সুপারিশ *** জিয়াউর রহমান সরকারের মন্ত্রীর ছেলে যোগ দিলেন আওয়ামী লীগে *** শনিবারের ক্লাস নিয়ে বিভ্রান্তি, স্পষ্ট করলেন শিক্ষক নেতা আজিজী *** বাজারে সবজির সরবরাহ বাড়ছে, দামের উত্তাপ কমছে *** ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানালেন বিশ্বখ্যাত ইহুদিরা *** আরব সাগরে প্রায় ১০০ কোটি ডলারের মাদক উদ্ধার পাকিস্তান নৌবাহিনীর *** সরকারে থাকা ‘দলীয় উপদেষ্টা’ আসলে কারা

গুম কমিশনের প্রতিবেদন

শব্দনিরোধক কক্ষে জমটুপি পরিয়ে ১০ কায়দায় চলত নির্যাতন

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৭:২৫ অপরাহ্ন, ১লা জুলাই ২০২৫

#

প্রধান উপদেষ্টার কাছে বন্দী জীবনের বর্ণনা দেন এক ভুক্তভোগী। ফাইল ছবি

গুম করে ভুক্তোভোগীদের নির্যাতনের জন্য শব্দনিরোধক বিশেষ কক্ষ তৈরি করেছিল র‍্যাব। যাতে নির্যাতনের সময় ভুক্তোভোগীদের কান্নার শব্দ বাইরে থেকে না শোনা যায়। ভুক্তোভোগীদের ১০ ধরনের শারীরিক নির্যাতন করা হতো। নির্যাতনে শরীরে ক্ষত সৃষ্টি হলে ওষুধ ও মলম দেওয়া হতো। এরপর শরীরের দাগ মুছলে তাদের জনসমক্ষে আসামি হিসেবে উপস্থাপন করা হতো।

এসব তথ্য উঠে এসেছে গুম সংক্রান্ত কমিশনের প্রতিবেদনে। আজ মঙ্গলবার (১লা জুলাই) বিকেলে গুম সংক্রান্ত কমিশন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুম ও নির্যাতনের প্রাতিষ্ঠানিক দিক উন্মোচন করে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে গত বছরের ৫ই আগস্টের আগে যে গুমের সংস্কৃতি তৈরি হয়েছিল, তার পদ্ধতিগত চর্চা উন্মোচনের চেষ্টা করে কমিশন। গুম করে মানুষকে গোপন বন্দিশালায় মাস ও বছরের পর বছর রাখা হতো। এসব ব্যক্তিদের নির্যাতনের জন্য আলাদা কক্ষ তৈরি করা হয়েছিল। 

এতে বলা হয়, এসব কক্ষ বিশেষ কায়দায় শব্দনিরোধক করে তৈরি করা হতো। নির্যাতনের জন্য সেখানে বৈদ্যুতিক শর্ট দেওয়ার চেয়ার, ঘূর্ণয়মান চেয়ার, হাত–পা বাধার বিশেষ রশি, নখ তুলে ফেলাসহ শারীরিক নির্যাতন করতে বিভিন্ন ষন্ত্র রাখা হতো। এসব কক্ষ র‍্যাব ও ডিজিএফআই ব্যবহার করতো।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভুক্তোভোগীদের নির্যাতনের জন্য র‍্যাব ২–এ সিপিসি ৩–এ বৈদ্যুতিক ঘূর্ণায়মান চেয়ার, টিএফআই সেলে মানুষকে ঝুলিয়ে রাখার জন্য পুলি–সিস্টেম এবং একাধিক স্থানে শব্দনিরোধক কক্ষ তৈরি করেছিল তারা।

গুম সংক্রান্ত কমিশন নির্যাতনের গুম হওয়া মানুষের উপর চালানো নির্যাতনের দশটি দিক তুলে ধরেছে প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কমিশনের কাছে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৮৫০টি অভিযোগ এসেছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৩৫০টি অভিযোগ যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। এখনো নিখোঁজ ৩৪৫ জন।

গুম কমিশনের প্রতিবেদন

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250