বৃহস্পতিবার, ৩১শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৬ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** এই সরকারের এক্সিট পলিসি চিন্তা করার সময় এসেছে: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য *** জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় সব পদক্ষেপ নেবে নয়াদিল্লি *** ইসরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা চান দেশটির ৩১ বিশিষ্ট নাগরিক *** এক সাপুড়ের প্রাণ নেওয়া সাপকে চিবিয়ে খেলেন আরেক সাপুড়ে *** তিন বাহিনীর প্রধান নিয়োগ রাষ্ট্রপতির হাতে রাখার প্রস্তাব *** ডাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্যানেল দিচ্ছেন উমামা, যোগদানের আহ্বান ফেসবুকে *** ১৫ই আগস্টের মধ্যে চাকসুর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা *** ‘প্রিয় বন্ধু’ ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের *** আইন ও বিচার বিভাগে পদায়ন বিধিমালা জারি *** এনসিপির অনুরোধে সমাবেশের স্থান পরিবর্তন ছাত্রদলের

বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস আজ, কর্মক্ষেত্রে সুস্থ পরিবেশের ওপর গুরুত্ব

স্বাস্থ্য ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:৪৩ অপরাহ্ন, ১০ই অক্টোবর ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

মানুষের জীবনের অনেকটা সময় ব্যয় হয় কর্মক্ষেত্রে। ফলে কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ সুস্থ না হলে মানুষের জীবনেও সেই প্রভাব পড়ে। বর্তমান সময়ে কর্মক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা, কাজের চাপ, সময়ের সংকট এবং ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্য বজায় রাখার চ্যালেঞ্জ কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্যে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। 

তারা বলছেন, সহযোগিতামূলক কর্মপরিবেশ, কাজের উদ্দেশ্য ও দৃঢ়তা থাকলে কাজের গতি বাড়ে। কিন্তু কর্মীর মধ্যে হতাশা এবং উদ্বেগ থাকলে কর্মক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব ফেলে। ফলে কর্মে নিয়োজিতদের মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে নিরাপদ কাজের পাশাপাশি তাদের মানসিক স্বাস্থ্য নিশ্চিতের পরামর্শ দিয়েছেন তারা। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, বাংলাদেশে বর্তমানে ৩ কোটিরও বেশি মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রয়োজন। এমন পরিস্থিতিতে সারা বিশ্বের মতো আজ ১০ই অক্টোবর দেশে পালিত হচ্ছে—বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস-২০২৪। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে—‘কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্য, অগ্রাধিকার দেওয়ার সময় এখনই।’ প্রতিপাদ্যের মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্য এবং সহায়ক কাজের পরিবেশ গড়ে তোলার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।

মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কর্মক্ষেত্রে মানসিক চাপকে বুঝতে এবং তা মোকাবিলা করার জন্য ব্যবস্থাপকদের প্রশিক্ষণ দরকার। কর্মক্ষেত্রে সুস্থ কর্মপরিবেশ তৈরি করা, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করা, পর্যাপ্ত বিরতি ও বিশ্রাম নিশ্চিত করা, অফিস সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করার চর্চা করা, মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও কর্মশালার আয়োজন করা এবং মেন্টাল হেলথ সাপোর্ট প্রোগ্রাম চালু করার মাধ্যমে মনের যত্ন নেওয়া যেতে পারে।

দেশে মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে ২০১৮-১৯ সালে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট একটি জরিপ চালায়। ঐ জরিপ বলছে, দেশে লঘু থেকে গুরুতর মাত্রার মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগা প্রাপ্তবয়স্ক ১৭ শতাংশ (নারী ১৯ শতাংশ পুরুষ ১৫ শতাংশ)। ১৮ বছরের নিচের জনগোষ্ঠী ১৩ দশমিক ৬ শতাংশ। তবে সব বয়সীদের মিলিয়ে মানসিক স্বাস্থ্য পেশাজীবীর (মনোচিকিৎসক, মনোবিজ্ঞানী ও অন্যান্য প্রশিক্ষিত মানসিক স্বাস্থ্য পেশাজীবী) সংখ্যা ১ হাজারের কম। সমস্যাগ্রস্ত ৯০ শতাংশের বেশি ব্যক্তি চিকিৎসার বাইরে থাকছে।

আরো পড়ুন : আজ দুর্গোৎসবের মহাসপ্তমী

এস/ আই.কে.জে/

মানসিক স্বাস্থ্য দিবস

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন