শুক্রবার, ৩রা অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** তেহরান থেকে রাজধানী অন্যত্র সরিয়ে নেবে ইরান, নেপথ্যে পানি *** গাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের *** ৪৭ দেশের ৪৪৩ স্বেচ্ছাসেবীকে অপহরণ করেছে ইসরায়েল *** মর্ত্য ছেড়ে কৈলাসে ফিরলেন দুর্গতিনাশিনী *** শহিদুল আলমের জাহাজ এখনো আটক হয়নি, দিলেন ভিডিওবার্তা *** পাকিস্তানকে হারিয়ে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ শুরু *** এনসিপিকে শাপলা দিলে মামলা করব না, তবে ইসি দিতে পারে না: মান্না *** শুধু থালাবাটি নয়, এনসিপির জন্য আছে লাউ-বেগুন-কলাসহ ৫০ প্রতীক *** ঝড় উপেক্ষা করে গাজার পথে ফ্লোটিলা, শহিদুল আলমের ভিডিও বার্তা *** ইসরায়েলি সব কূটনীতিককে কলম্বিয়া থেকে বের হয়ে যাওয়ার নির্দেশ প্রেসিডেন্ট পেত্রোর

হঠাৎ যে চিত্র চালের বাজারে

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৫:৫১ অপরাহ্ন, ২৪শে জুন ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

ঈদের পরপরই হঠাৎ অস্থির চালের বাজার। রাজধানীর বাজারে আবারো চালের দাম বাড়ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকারভেদে প্রতি কেজি চালের দাম ২ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। হঠাৎ চালের দাম বাড়ায় সাধারণ ক্রেতারা চাপে পড়েছেন।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশের বিভিন্ন মোকামের মালিকরা চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এর প্রভাব পড়েছে রাজধানীর বাজারে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, মিল মালিকরা প্রতি বস্তায় ৫০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি দাম বাড়িয়েছেন।

দেশের উত্তরবঙ্গের বৃহত্তম চালের মোকামগুলোতে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকারভেদে প্রতি কেজি চালের দাম ২-৪ টাকা বেড়েছে। জিরাশাইল ৬৮-৭০ টাকা, শুভলতা ৬০-৬২ টাকা, কাটারি ৭০-৭২ টাকা, ব্রি আর-২৮ চাল ৬২-৬৪, স্বর্ণালতা-৫ চাল ৫৫-৫৬ টাকা বিক্রি হচ্ছে। 

যা এক সপ্তাহ আগে অর্থাৎ ঈদের সময়ও জিরাশাইল ৬৪-৬৮ টাকা, শুভলতা ৫৭-৫৮ টাকা, কাটারি ৬৬-৬৮ টাকা, ব্রি আর-২৮ চাল ৫৮-৬০, স্বর্ণালতা-৫ চাল ৫৩-৫৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

রাজধানীর বড় বড় চালের বাজারগুলোতে ঈদের পর থেকে চালের দাম বাড়ছে। যার প্রভাব খুচরা বাজারগুলোতে পড়েছে।বাজারে মোটা চাল (বিআর-২৮, পারিজা) বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৫৮ থেকে ৬২ টাকা, জিরা নাজিরশাইল ৭৪ থেকে ৭৮ টাকা, মিনিকেট ৭৫ থেকে ৮০ টাকা এবং কাটারি ভোগ ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে। 

গত এক সপ্তাহে মিনিকেট চালের দাম কেজি প্রতি ৬ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। মোটা ও মাঝারি চালের কেজিতে বেড়েছে ২ থেকে ৩ টাকা। খুচরা দোকানরা বলছেন, মোকামগুলোতে চালের দাম বাড়ার কারণে চালকল মালিকরাও দাম বাড়িয়েছেন। এতে ঈদের পর চালের দাম হঠাৎ করে বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০ কেজির প্রতি বস্তায় চালের দাম ২৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। 

ব্যবসায়ীরা বলছেন, তারা বেশি দামে ধান কিনেছেন, তাই চালের দাম পড়ছে বেশি। প্রকৃতপক্ষে, বড় মিলাররা ধান কিনে নিয়েছেন উৎপাদনের পরপরই। তখন ভেজা ধান প্রতি মন বিক্রি হয় ৯০০ থেকে ১১০০ টাকা দামে। সরকার নির্ধারিত ১৩২০ টাকা দর কৃষককে দেন না ব্যবসায়ীরা। 

বিশেষজ্ঞদের মতে, পরে যখন মোকামে ধানের দাম বাড়ে, তখন কৃষকের হাতে বিক্রির মতো উদ্বৃত্ত থাকে না। অল্প করে শুকনো ধান তখন বিক্রি হয় বেশি দামে। ক্ষেত্র বিশেষে সরু ধান ১৩০০-১৪০০ টাকা মন দরেও বিক্রি হতে দেখা যায়। মোট বিক্রি করা ধানের মধ্যে এর পরিমাণ খুবই নগণ্য। তাই চালের বেশি দামের সুবিধার ভাগ কৃষক পান না। এর ফায়দা নেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, চালের ব্যবসা পুরোটাই সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি। বড় বড় ব্যবসায়ীরা কমদামে ধান কিনে রাখেন। যখন সংকট তৈরি হয়, তখন বেশি দামে বিক্রি করেন। ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা মিল মালিকদের সাথে পেরে উঠেন না। 

অভিযোগ আছে, সরকারি নজরদারি না থাকার কারণে মিল মালিকরা কৃত্রিম মজুদ করেন। যার কারণে বাজারে চালের দাম বেড়েছে। অথচ এখন ধানের মৌসুম, কিছুদিন আগে নতুন ধান উঠেছে। সংকট থাকার কোনো কারণ নেই।

চালের দাম

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250