বুধবার, ১১ই জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৮শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** দেশের করোনার নতুন উপধরন, প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১১ দফা নির্দেশনা *** লন্ডন বৈঠক দেশের রাজনীতিতে সুবাতাস বয়ে আনবে: রিজভী *** ড. ইউনূস-তারেক বৈঠক, আলোচনায় খালেদা জিয়ার বার্তা ও নির্বাচন ইস্যু *** বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারত্ব গড়ে তুলতে আগ্রহী এয়ারবাস ও মেনজিস *** কমনওয়েলথ বাংলাদেশের সংস্কার প্রক্রিয়ায় সহায়তায় আগ্রহী *** রাজধানীতে ফিরছেন কর্মজীবীরা *** লস অ্যাঞ্জেলেস ‘স্বাধীন’ করার ঘোষণা ট্রাম্পের *** কালিহাতীতে সিনেমার প্রদর্শনী নিয়ে যা করছেন 'আলেম-ওলামা' *** হাসপাতালগুলোয় করোনা পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আবার *** সবার নজর লন্ডনে, দুই ঘণ্টার বৈঠকে বসছেন ড. ইউনূস- তারেক

পুরো দেশটাই যেন অগ্নি ঝুঁকিতে : জিএম কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৪:১৫ অপরাহ্ন, ৫ই মার্চ ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, আমাদের অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। প্রমাণ হয়েছে, অগ্নি নির্বাপণে বর্তমান সক্ষমতা একেবারেই অপ্রতুল। এতে প্রতিবছর শতশত মানুষের প্রাণ যাচ্ছে ভয়াবহ আগুনে। পুরো দেশটাই যেন অগ্নি ঝুঁকিতে। 

তিনি বলেন, অগ্নিকান্ডের নির্মম বাস্তবতা থেকে জাতি মুক্তি চায়। ফায়ার সার্ভিসের দেয়া তথ্যে জানা গেছে, গেলো বছর ২৭ হাজার ৬২৪টি অগ্নিকান্ডে ৭৯২ কোটি ৩৬ লাখ ৮২ হাজার ১৪ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অগ্নিকান্ডে নিহত হয়েছেন ১০২ জন আর আহত হয়েছেন ২৮১ জন। যদিও সাধারণ মানুষের ধারণা এই সংখ্যা আরো বেশি।

মঙ্গলবার (৫ই মার্চ) এক বিবৃতিতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এসব কথা বলেন।

কাদের বলেন, ৪ঠা মার্চ চট্টগ্রামের কর্ণফুলি থানা এলাকায় একটি চিনি কলের আগুন পুড়ে পুড়েই নিভেছে। সেখানে অগ্নি নির্বাপণ কর্মীদের অসহায় মনে হয়েছে। গেলো ২৯শে ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রীণ কোজি কটেজে আগুনে পুড়ে মারা গেছেন ৪৬ জন। মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন আরো কয়েকজন। ২০১০ সালের ৩রা জুন রাতে চানখারপুলের নিমতলীতে ক্যামিকেলের গোডাউনে অগ্নিকান্ডে ১২৪ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অর্ধশত এবং কারখানা ও বাড়ি পুড়েছে ২৩টি। ২০১৯ সালের ২০শে ফেব্রুয়ারি রাতে চকবাজারের চুরিহাট্টা এলাকায় অগ্নিকান্ডে ৭১ জন মারা যায়। আহত হয়েছেন কয়েকশো মানুষ। ২০১৯ সালের ২৮শে মার্চ দুপুরে বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকান্ডে মারা যায় ২৬ জন, আহত হয়েছে অন্তত ৭০ জন। ২০২১ সালের ২৭শে জুন সন্ধ্যায় মগবাজারের রাখি নীড়ে অগ্নিকান্ডে মারা যায় ১২ জন, আহত দুই শতাধিক। ২০২৩ সালের ৪ এপ্রিল বঙ্গবাজার অগ্নিকান্ডে ১ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে ব্যবসায়ীরা। ২০২৩ সালের ১৫ই এপ্রিল নিউ সুপার মার্কেটে অগ্নিকান্ডে ২২৬টি দোকান পুড়ে ক্ষতি হয়েছে ৩৫০ কোটি টাকার। 

আরও পড়ুন: বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ড: চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরলেন আরও ২ জন

বিবৃতিতে বিরোধীদলীয় নেতা আরও বলেন, শুধু অগ্নিকান্ডে প্রাণ ও সম্পত্তি হানি হচ্ছে তাই নয়। এদেশের মানুষ আজ কোথাও নিরাপদ নেই। দূর্ঘনা নিত্তনৈমত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রেলে কাটা পড়ে মৃত্যু, লঞ্চ দূর্ঘটনায় পানিতে ডুবে মারা যাওয়া হরহামেশাই ঘটছে। সড়ক দূর্ঘটনার ফিরিস্তি ও এতে হতাহতের সংখ্যা প্রতিদিনই নতুন উচ্চতায় উঠছে। দূর্ঘটনা এখন স্বাভাবিক ঘটনায় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। 

তিনি বলেন, এর প্রধান কারণ হচ্ছে, সু-শাসনের অভাব। জবাবদিহিতা নেই কোন স্তরে। দূর্ণীতির বিস্তার হচ্ছে অপ্রতিরুদ্ধ গতিতে। কারোরই নিয়ম-কানুন মানার প্রয়োজন নেই যদি ক্ষমতা বা অবৈধ অর্থের যোগান থাকে। 

মোহাম্মদ কাদের বলেন, কোন ভাল কিছু ঘটলে তার কৃতৃত্ব নেয়ার ও দেয়ার লোকের অভাব নেই। দূর্ঘটনার জন্য কেউই দায় নিতে চায়না। একে অন্যের ঘারে দোষ চাপিয়ে সময় ক্ষেপন করা হয়। তাই, দূর্ঘটনা আবার স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবে অন্য কোথাও ঘটতে শুরু করে।

এসকে/ এএম/

জিএম কাদের অগ্নি ঝুঁকি

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন