বৃহস্পতিবার, ২৩শে অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৭ই কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** সরকারে থাকা ‘দলীয় উপদেষ্টা’ আসলে কারা *** জুলাই সনদ বাস্তবায়নে নভেম্বরে গণভোটের দাবি জামায়াতের *** পুলিশের বলা ‘ত্রিভুজ প্রেমের গল্প’ নিয়ে প্রশ্ন জোবায়েদের শিক্ষকের *** দেশের সব ভূমি অফিসে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ *** ‘উপদেষ্টা পরিষদে শুদ্ধি অভিযান জরুরি’ *** বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা পেলেই জুলাই সনদে স্বাক্ষর: নাহিদ *** শুক্র ও শনিবার বিমানবন্দরের শুল্কায়ন কার্যক্রম পুরোদমে চলবে *** সেন্ট মার্টিন নিয়ে ১২ নির্দেশনা সরকারের, প্রজ্ঞাপন জারি *** সেন্ট মার্টিনে পর্যটকদের রাতযাপন নিয়ে মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা *** ‘অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত উপদেষ্টাদের জেলে যেতে হতে পারে’

বছরে ২ কোটি টাকার নৌকা বিক্রি হয় যে গ্রামে

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৯:২২ পূর্বাহ্ন, ৬ই অক্টোবর ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

গ্রামের পাশ দিয়ে হেঁটে গেলেই শোনা যায় ঠুকঠাক শব্দ। একটি-দুটি নয়, ঘরে ঘরে এ শব্দ। সূর্য ওঠার আগেই কারিগররা ব্যস্ত হয়ে পড়েন নৌকা তৈরির কাজে। বছরের ১২ মাসই থাকে এ ব্যস্ততা। বরগুনার আমতলীর কুকুয়া ইউনিয়নের পূর্ব চুনাখালী গ্রামজুড়ে হাতুড়ি-বাটালের এ শৈল্পিক ছন্দে যে কারও মন ভরে যাবে। 

চুনাখালী গ্রামে ৯ শতাধিক পরিবারের বসবাস। ২০০ বছর ধরে বংশপরম্পরায় নৌকা তৈরির পেশাটি ধরে রেখেছে আড়াই শতাধিক পরিবার। বছরে প্রায় দুই কোটি টাকার নৌকা তৈরি হয় এ গ্রামে। এ কারণে গ্রামটি সবার কাছে নৌকা তৈরির গ্রাম হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

ইউপি চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন আহম্মেদ মাসুম তালুকদার বলেন, এ গ্রামে নৌকা তৈরির ঐতিহ্য সুদীর্ঘকালের। দূরদূরান্তের মানুষ এই গ্রামকে নৌকা গ্রাম হিসেবে চেনে। ক্রেতাদের আনাগোনায় স্থানীয় দোকানিদের চা, পান-সিগারেট বেচাবিক্রি বাড়ে। মোট কথা, এ পেশা ঘিরে অর্থনৈতিকভাবেও এগিয়ে যাচ্ছে গ্রামটি।

সরেজমিন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি বাড়ির আঙিনায় পলিথিন, ছাপরা বা টিন দিয়ে ঘর বানানো হয়েছে। কারিগররা জানান, দুজন কারিগর প্রতিদিন গড়ে একটি করে নৌকা তৈরি করতে পারেন। প্রত্যেকে মজুরি পান ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা। এখানকার তৈরি নৌকাকে ডিঙি বলে। সহজেই অল্প পানিতে চলাচল করতে পারে। ক্ষেত থেকে কাটা ধান, হালের লাঙল-জোয়াল হাটবাজারে এ নৌকায় পরিবহন করা যায়। তাই এর চাহিদা বেশি। 

কথা হয় গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি বারেক মিস্ত্রির সঙ্গে। ৫০ বছর ধরে নৌকা তৈরি করছেন। তার বাবা-দাদাও এ কাজ করেছেন। এখন তার ছেলে রাসেলও এ পেশায় যুক্ত হয়েছেন। 

বারেক মিস্ত্রি জানান, প্রায় ২০০ বছর আগে এই গ্রামে লালু মিস্ত্রি নামে এক ব্যক্তি ছিলেন। তার হাত ধরে নৌকা তৈরি শুরু হয়। ধীরে ধীরে গ্রামের অন্য পরিবারগুলো তার কাছ থেকে এ কাজ রপ্ত করে।

জে.এস/

নৌকা তৈরির গ্রাম

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250