সোমবার, ২৮শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৩ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের মাঝে ফায়ার অ্যালার্ম, তদন্তে ৫ সদস্যর কমিটি *** ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের মাঝে ফায়ার অ্যালার্ম, তদন্তে ৫ সদস্যর কমিটি *** ৩রা আগস্ট খুলছে মাইলস্টোনের দিয়াবাড়ি ক্যাম্পাস *** মাঝ আকাশ থেকে ফেরত এলো বিমানের ঢাকা-দাম্মাম ফ্লাইট *** শেখ হাসিনা তো বাংলাদেশের মানুষ, তাকে পুশ-ইন করা হচ্ছে না কেন: রিজভী *** দুই বছরের মধ্যে বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি নেওয়া হবে দলগুলোর *** আগস্ট থেকেই শুরু পুলিশের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা *** ২০ বছর পর নিজের নাম লিখলেন পক্ষাঘাতগ্রস্ত নারী, সম্ভব করল মাথায় বসানো চিপ *** প্রথমবারের মতো এক বছরেই ৪০৯ কোটি ডলার বিদেশি ঋণ শোধ *** স্বৈরাচার রুখতেই সংলাপে অংশ নিচ্ছি: সালাহউদ্দিন আহমদ

স্বাভাবিক জীবনে ফিরল ৭ শতাধিক শিশু

স্বাস্থ্য ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৬:৫৫ অপরাহ্ন, ২রা সেপ্টেম্বর ২০২৩

#

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্টের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ৭ শতাধিক মানুষ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে, যাদের প্রায় প্রত্যেকেই শিশু। এদেরকে পরিবার এবং সমাজে অনেকটা ‘বোঝা’ হিসেবেই বিবেচনা করা হতো। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে নতুন করে আরও ২১ শ্রবণ প্রতিবন্ধী অসচ্ছল রোগীর মাঝে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট এক্সটার্নাল ডিভাইস বিতরণ করা হয়েছে।

শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট এক্সটার্নাল ডিভাইস বিতরণ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট প্রকল্পের কর্মসূচি পরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচএম জহুরুল ইসলাম সাচ্চু।

এসময় অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট ডিভাইসের মূল্য একটি টয়েটা গাড়ির সমান। যা বর্তমান সরকারের আমলে বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট ডিভাইসকে সার্জারি মাধ্যমে কানে স্থাপনের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে একটি সুদক্ষ সার্জারি টিম। তারা সফলভাবে এই মহতী কাজটি সম্পন্ন করে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, যেসকল শিশুরা কানে শোনেন না, তারা কথাও বলতে পারেন না। এখানে তাদের স্পিচ থেরাপিস্টদের মাধ্যমে কথা শেখানোর ব্যবস্থা রয়েছে। ফলে এ সকল শিশুরা কানে শুনতে পারছে, কথা শিখে কথা বলতে পারছে এবং লেখাপড়া পর্যন্ত শিখছে। ফলে তারা সুস্থ ও সুন্দর জীবনে ফিরতে পারছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এ পর্যন্ত ৭ শত ৪৫ জন সম্পূর্ণ শ্রবণ প্রতিবন্ধীর কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট করা হয়েছে। যাদের প্রায় সকলেই শিশু।

উপাচার্য বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার হলো জনকল্যাণমুখী সরকার। বিশ্ব মানবতার প্রতীক জননেত্রী শেখ হাসিনার আমলে দেশের কোনো মানুষ অবহেলিত থাকবে না। কোনো মানুষ সমাজ ও পরিবারের বোঝা হয়ে থাকবে না। প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে বর্তমান সরকার বহুমুখী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে এবং বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

শারফুদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, এই সরকারের আমলে অটিস্টিক শিশুদের চিকিৎসাসহ তাদের সার্বিক উন্নয়নে যে কর্মসূচি বাস্তবায়ন হয়েছে তা বিশ্বের জন্য উদাহরণ। একইভাবে শ্রবণ প্রতিবন্ধী বা সম্পূর্ণ বধির শিশুদের জন্য যেভাবে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে তাও বিশ্বের জন্য একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আর এর পুরো কৃতিত্ব, অবদান হলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তার অবদানের কারণেই সুস্থ সুন্দর জীবন ফিরে পাচ্ছে প্রতিবন্ধী শিশুরা।

এসকে/ 



বিএসএমএমইউ শিশু শ্রবণ প্রতিবন্ধী রোগী

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন